দক্ষিণসুদানের গণভোট নিয়ে দুই পক্ষের সমঝোতা

দক্ষিণ সুদানের পূর্ণ স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটের ব্যাপারে দুই পক্ষ একটি সমঝোতা চুক্তিতে সই করেছে। উত্তর ও দক্ষিণ সুদানের কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার এ তথ্য দিয়েছে।
আধাস্বায়ত্তশাসিত দক্ষিণ সুদানের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাইয়েক মাশার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সমঝোতায় পৌঁছেছি। নানা বিষয়ে আমাদের মতপার্থক্য দূর হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আমরা এ ব্যাপারে একটি সমঝোতা চুক্তিতে সই করেছি।’ উত্তরের রাজধানী খার্তুমে এক বৈঠক শেষে উত্তর সুদানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলী ওসমান ত্বাহাও একই ধরনের কথা বলেছেন।
দক্ষিণ সুদানকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে কি না, এ প্রশ্নে ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে গণভোট হবে। ২০০৫ সালের শান্তিচুক্তি অনুযায়ী দক্ষিণ সুদানের অধিবাসীরা এ ভোটে অংশ নেবে। ওই শান্তিচুক্তির মধ্য দিয়ে দেশটিতে তখন ২২ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান হয়।
আসন্ন গণভোট কীভাবে নেওয়া হবে, এ ব্যাপারে দক্ষিণ ও উত্তর সুদানের কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। খার্তুম থেকে ফিরে দক্ষিণ অংশের রাজধানী জুবা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাইয়েক মাশার বলেন, ‘নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পাওয়ার শর্তে আমরা সমঝোতায় পৌঁছেছি, যেখানে দক্ষিণকে স্বাধীন হতে হলে ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেলেই হতো। এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ৭৫ ভাগ ভোট জেতার শর্তারোপ করে আসছিল উত্তরের কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ সুদানের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ উত্তরে বসবাস করে। দেশটির উত্তরাঞ্চলে কিংবা বিদেশে বসবাসরত দক্ষিণের নাগরিকদের এ ভোটে অংশ নেওয়ার বিরোধিতা করে আসছিলেন দক্ষিণ সুদানের নেতারা। তাঁদের আশঙ্কা, এই লোকগুলো হয়তো চাইবে না, দক্ষিণ সুদান পূর্ণ স্বাধীনতা পাক।

No comments

Powered by Blogger.