শেয়ারবাজারে অবৈধ লেনদেন, যুক্তরাষ্ট্রে ছয়জন গ্রেপ্তার

যুক্তরাষ্ট্রে শেয়ারবাজারে অবৈধভাবে লেনদেন করার অভিযোগে ছয়জনকে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই ‘ইনসাইডার ট্রেডিং’ করে প্রচুর অর্থ কামিয়েছিলেন।
ইনসাইডার ট্রেডিং হলো জনগণের কাছে উন্মুক্ত নয় এমন তথ্য অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানের ভেতর থেকে সংগ্রহ করে কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা বন্ডের বা অন্য কোনো সিকিউরিটিজের লেনদেন করা।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহত্ হেজ ফান্ড গ্যালিওন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রাজ রাজারত্নাম এবং আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা অবৈধভাবে দুই কোটি ডলার মুনাফা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গুগল, হিলটন হোটেল ও এএমডির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ভেতরকার তথ্য অবৈধভাবে সংগ্রহ করে তা কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করে তাঁরা এই মুনাফা করেছেন।
ফোর্বস ম্যাগাজিন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনীদের তালিকায় রাজারত্নামকে রেখেছে এবং হিসাব দিয়েছে যে তাঁর ১৩০ কোটি ডলারের সম্পদ আছে।
ইন্টেলের বিনিয়োগ শাখা ইন্টেল ক্যাপিটাল এবং নিউ ক্যাসেল নামের আরেকটি হেজ ফান্ডেও এ ধরনের অবৈধ লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
সে কারণে ইন্টেল ক্যাপিটালের একজন পরিচালক রাজীব গোয়েল এবং আইবিএমের একজন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাবর্ট মোফ্যাটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের তালিকায় আরও আছেন ম্যাককিনসে কোম্পানির একজন পরিচালক অনিল কুমার এবং নিউ ক্যাসেলের দুই অংশীদার ড্যানিয়েল চেইসি ও মার্ক কুরল্যান্ড।
বলা হচ্ছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম হেজ ফান্ড মামলা।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন অ্যাটর্নি প্রিট বাহরারা বলেন, ‘লোভ মোটেও ভালো নয়। এই ঘটনা ওয়ালস্ট্রিটের জন্য একটি সতর্কবার্তা হতে পারে।’
অ্যাটর্নি প্রিট বাহরারা আরও বলেন, ওয়ালস্ট্রিটে যাঁরা আছেন, তাঁদের এখন আইন ভঙ্গ করার আগে একবার চিন্তা করা উচিত যে তাঁদের কথাবার্তা কেউ শুনছে কি না।
উল্লেখ্য, ছয়জনকে গ্রেপ্তার করার আগে আদালতের অনুমতি নিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের টেলিফোন-আলাপে আড়ি পাতা হয়।
প্রসঙ্গত, হেজ ফান্ড হলো এক বিশেষ ধরনের বিনিয়োগপ্রতিষ্ঠান, যেখানে নির্দিষ্ট কিছু বিনিয়োগকারী বিভিন্ন ধরনের শেয়ার, পণ্য ও ঋণে বিনিয়োগ করে থাকে। তবে এই বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

No comments

Powered by Blogger.