চাই ইস্পাতকঠিন জাতীয় ঐক্য by বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বীরউত্তম

আজ ক’দিন থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মারাত্মক তোলপাড় চলছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আগাগোড়াই একজন বিতর্কিত মানুষ। কখনো তিনি নামিদামি ছিলেন না, কখনো নিষ্কলুষ ছিলেন না। পাবনায় কলেজে পড়ার সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তখনো শাস্তি ভোগ করেছেন। তার মূল নেতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের প্রবাদপুরুষ নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, অন্যদিকে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। তাই তার অতীত খুব একটা সমুজ্জ্বল নয়। ইদানীং তিনি যা করছেন- যা বলছেন- তা সম্পূর্ণই সংবিধান লঙ্ঘন, নীতি-নৈতিকতাবিরোধী মিথ্যাচার। ৫ই আগস্টের পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে জাতির উদ্দেশ্যে তার বেতার ভাষণে স্পষ্ট করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তিনি সে পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন। তারপর নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। যথারীতি অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা পরিষদের তিনি শপথ পড়িয়েছেন। রাষ্ট্র কাঠামো চলছে।

তার মধ্যে তিনি কেন, কি উদ্দেশ্যে নানা অগ্রহণযোগ্য অপ্রীতিকর কথা বলে চলেছেন। হ্যাঁ এটা ঠিক, যারা বিগত সরকারকে উৎখাত করেছে তাদের পক্ষে যেমন জনমত আছে, ঠিক তেমনি তাদের বিপক্ষে অনেক শক্তিধররা রয়েছে। তারা আপ্রাণ চেষ্টা করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনকে ব্যর্থ করার। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করবেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অভাব এবং আসমানসমান মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করবেন- এসব একেবারে অতি সাধারণ ব্যাপার। ক’দিন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চাচ্ছে। হয়ে যাবে। সাবেক প্রধান বিচারপতিকে ঘাড় ধরে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। সবার আগে গেছেন প্রাক্তন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা, তার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই যাবেন। রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে শূন্যতার সৃষ্টি হবে। কারও হায়াত মওত তো বলা যায় না। তাকে হত্যা করা না হোক- আল্লাহ যদি আজরাইল পাঠিয়ে দেন- তাহলে কে ফেরাবে? তখন কী হবে? সাহাবুদ্দিন চুপ্পু যদি পরপারে চলে যান তার জন্য কি দেশ বসে থাকবে? কখনো না। মাননীয় স্পিকার পদত্যাগ করেছেন। মাননীয় স্পিকারের পদত্যাগের কোনো সুযোগই নেই। পরবর্তী সংসদ পর্যন্ত বেঁচে থাকলে তিনি স্পিকার। কিন্তু পণ্ডিতি করে তিনি পদত্যাগ করেছেন। তাতে কী হবে? সংসদীয় ধারাবাহিকতা রাখতে গেলে একজন বয়োজ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য দিয়ে শপথ পড়িয়ে নিলেই সমস্ত লেঠা চুকে যাবে। বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি মরে গেছেন ধরে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিলে কী তেমন মহাভারত অশুদ্ধ হবে? কে এলো, কে গেল- এটা তেমন বড় কথা নয়। বড় কথা সত্যিই রাষ্ট্র ভালোভাবে চলছে কিনা, মানুষ স্বস্তিতে-শান্তিতে আছে কিনা। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই অনেকের মধ্যে প্রশ্ন আছে এবং এটা ধ্রুব সত্য, এক চোখে তেল, আরেক চোখে নুন বেচাকেনা করলে চলবে না। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এই দুর্যোগের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। তার জন্য জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।

জন্মেছিলাম ’৪৭-এর ১৪ই জুন একেবারে এক পশ্চাৎপদ পল্লী কালিহাতীর ছাতিহাটিতে। তারপর পদ্মা মেঘনা যমুনার পানি বহু গড়িয়েছে। একটা সময় ছিল- কিছুই বুঝতাম না। লাল বিল্লাওয়ালার হাওয়ালদার গ্রামে গেলে গোলাঘরের মাচার উপর সরিষা, কালাই, ধান রাখা ঢোলের মধ্যে পালাতাম। সেই মানুষ আজও বেঁচে আছি। রাজনীতিতে এসেছিলাম বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীকে অবলম্বন করে বা তাকে দেখে দেখে। যে সময় পুলিশ দেখে কাঁপতাম তখন লতিফ ভাই আইয়ুব-মোনায়েমের বিরুদ্ধে তারস্বরে বক্তৃতা করতেন। নিজে কাঁপতেন, শ্রোতাদেরও উতালা করে তুলতেন। আর দুনিয়ার ভীরু কাপুরুষ আমি ভাবতাম একই বাবার ঔরসজাত একই মায়ের সন্তান, একজনের অত সাহস, আরেকজন আমি এত ভীতু কেন? এভাবেই এক সময় ’৬২-র শিক্ষা কমিশন বাতিলের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। সেই হয়তো প্রথম টাঙ্গাইলের ছাত্র-জনতার মিছিল। তখন পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুমুদিনী মহিলা কলেজ এবং টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী গার্লস স্কুলের মেয়েরা রাস্তায় বেরিয়ে ছিল। পুরনো বাসস্ট্যান্ড থেকে কুমুদিনী কলেজ এবং আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে আগ্নেয়গিরির মতো গর্জন করে ছাত্র-জনতার মিছিল সিএন্ডবি’র মোড় হয়ে বটতলা, সেখান থেকে টাঙ্গাইল পার্কের পাশে আনসার ক্যাম্পের সামনে আমতলে এক অভাবনীয় সভা হয়েছিল। সেখানে অনেকেই বক্তৃতা করেছিলেন। কিন্তু আজও আমার কানে বাজে কুমুদিনী কলেজের এক নেত্রীর গলা। নাম মনে নেই। গত ৫-১০ বছর অনেককেই জিজ্ঞেস করেছি, কিন্তু কেউ তার নাম বলতে পারেননি। যারা দু’একজন বলেছেন- আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। তখন টাঙ্গাইলে জাতীয় নেতা হুজুর মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, মুসলিম লীগের বেশ কিছু নেতা ছিলেন। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহের বাইরে তাদের তেমন বিচরণ ও পরিচিতি ছিল না। আওয়ামী লীগের কয়েকজন ছিলেন। তাদের মধ্যে সর্বজনাব আব্দুল মান্নান, শামসুর রহমান খান শাজাহান, বদিউজ্জামান, হাতেম আলী তালুকদার, ছাত্রনেতাদের মধ্যে ফজলুল করীম মিঠু, আল মুজাহিদী, ফজলুর রহমান খান ফারুক, শওকত আলী তালুকদার, লতিফ সিদ্দিকী, আতিকুর রহমান সালু, বুলবুল খান মাহবুব, এম এ রেজা, আনোয়ার বক্‌শ, দাউদ খান, আলমগীর খান মেনু আরও অনেকেই। সেই যে ’৬২তে রাজপথে পা মিলিয়ে ছিলাম আজও চলছি তো চলছি। জীবনে কতো উত্থাল-পাথাল দেখলাম। মোনায়েম খানের সৃষ্ট এনএসএফ, তার দাপটে রাস্তায় চলা যেতো না, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কথা বলা যেতো না। তারাও এক সময় ’৬৯-এর আগে আগে একেবারে সুতার মতো সোজা হয়ে গিয়েছিল। তাই গত জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে এক অখ্যাত প্রাক্তন বিচারপতি যখন বলেছিলেন, আন্দোলন দমাতে ছাত্র-যুবলীগই যথেষ্ট। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সে কি হামবড়া ভাব! শেখ হাসিনাও খুব একটা কম যান না। কীসব অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেছেন যা সুস্থ মস্তিষ্কে ভাবাই দুষ্কর। তবু করেছেন। তার ফলও ভোগ করেছেন। যতকাল রাষ্ট্র থাকবে, রাষ্ট্র ব্যবস্থা থাকবে- ততকাল সরকারে যাওয়া-আসা থাকবে। সরকারে গিয়েই কেউ যদি ভাবে তিনি কিয়ামত পর্যন্ত থাকবেন তাহলে সেটা যে ভ্রান্ত তার ভূরি ভূরি প্রমাণ আছে। এক সময়ের ইরাকের বাদশাহ নুর-ই সাঈদ। তাকে জনগণ উৎখাত করেছিল। কর্নেল গাদ্দাফি, কি তেজই না ছিল তার। জনপ্রিয়তাও ছিল হিংসা করার মতো। হোসনি মোবারক, কতো দেশ কতো নেতা এক সময় ইরানের বাদশাহ রেজা শাহ পাহলভী, খোমেনির হাতে পরাজিত হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। এরকমই হয়। ’৬০-’৬২ তে মনে হতো আইয়ুবের বুঝি শেষ নেই, অজেয় অমর হয়ে এসেছেন। কিন্তু তা সত্য নয়। লৌহমানব আইয়ুব খানকে আমরাই তামা-কাঁসা করেছিলাম। একটা সময় শেখ হাসিনা এবং তার চাটুকাররা ভেবেছিলেন, শত বছর ক্ষমতায় থাকবেন। শেখ হাসিনার পর উত্তরাধিকার কে- সে নিয়েও চিন্তা করছিলেন। মানুষ ভাবে এক, আল্লাহ করেন আরেক। এক গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা ছেড়েছিলেন, জেলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পালাননি, তাকে পালাতে হয়নি। কিন্তু নিদারুণভাবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে ছেড়ে বিপদের মুখে ফেলে পালিয়েছেন। শুধু পালিয়েই ক্ষান্ত হননি, ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আমিও দেড় যুগের বেশি ভারতে নির্বাসনে ছিলাম। বারবার সরকার পরিবর্তন হলেও তারা আমাকে যথেষ্ট গুরুত্ব ও মর্যাদা দিয়েছে। এখনকার অনেক নেতাদেরই চিনি না, জানি না। কিন্তু ভারতকে জানি, চিনি এবং বুঝি। মহান ভারত খুব একটা কোনো ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছায় চলে না। চলে জাতীয় স্বার্থনির্ভর করে চাণক্য নীতিতে। তাই ভারত তার স্বার্থে শেখ হাসিনাকে যেভাবে রাখা দরকার সেভাবেই রাখবে- তার বেশি নয়, কমও নয়। ভারতে তার যে সুবিধা-অসুবিধা হওয়ার পুরোটাই হবে। তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মুখ সামলাতে না পারলে সামনে তার প্রচুর বিপদ আছে।

আমাদের দেশে অনেক বছর থেকেই সর্বক্ষেত্রেই পণ্ডিতের ছড়াছড়ি। যে পরিমাণ জ্ঞানী পণ্ডিত বাস করে সারা পৃথিবীর সব পণ্ডিত জ্ঞানী-গুণী বিদ্বান একত্র করলেও বিশ্ব জোড়া বিদ্বান পণ্ডিতের সংখ্যা কম হবে। আজ কিছুদিন থেকেই বৈধ-অবৈধ সংবিধান-অসংবিধান এসব নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। ক’দিন থেকেই শুনছি, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে শূন্যতার সৃষ্টি হবে। কি শূন্যতা হবে? আমরা বুঝতে পারছি না, দেশের মানুষ বুঝতে পারছে না। যে অধ্যাপক ইউনূসকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চোখের কাঁটা ভাবছিলেন গণেশ উল্টে যাওয়ায় তিনিই প্রধান নিয়ামক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। এটা কোন সংবিধানে, কোন পাতায় লেখা ছিল? কিন্তু আন্দোলনের রায়ে যে সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন তার মতো বৈধ শাসক অতীত সরকারে কেউ ছিলেন না। হ্যাঁ এটা ঠিক, অনভিজ্ঞ লোকজনদের নিয়ে তেমন খুব ভালো একটা কিছু করতে পারছেন না। কিন্তু হাসিনার দুঃশাসনের চাইতে খুব খারাপ অবস্থায় আমরা নেই। দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি- এটা খুবই স্বাভাবিক। এমন দুর্যোগের মধ্যদিয়ে দেশ বা জাতি যখন যায় তখন এমন অনেক কিছুই ঘটে যা অল্প আগেও কল্পনা করা যায় না। তেমনটাই হচ্ছে। কম বেশি আরও হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সবার দেশপ্রেমিক হওয়া দরকার, দেশের প্রতি যত্নবান হওয়া দরকার। ব্যক্তি স্বার্থ ত্যাগ করে সমষ্টির স্বার্থের প্রতি নজর দেয়া উচিত।

আজ ক’দিন থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মারাত্মক তোলপাড় চলছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আগাগোড়াই একজন বিতর্কিত মানুষ। কখনো তিনি নামিদামি ছিলেন না, কখনো নিষ্কলুষ ছিলেন না। পাবনায় কলেজে পড়ার সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তখনো শাস্তি ভোগ করেছেন। তার মূল নেতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের প্রবাদপুরুষ নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, অন্যদিকে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। তাই তার অতীত খুব একটা সমুজ্জ্বল নয়। ইদানীং তিনি যা করছেন- যা বলছেন- তা সম্পূর্ণই সংবিধান লঙ্ঘন, নীতি-নৈতিকতাবিরোধী মিথ্যাচার। ৫ই আগস্টের পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে জাতির উদ্দেশ্যে তার বেতার ভাষণে স্পষ্ট করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তিনি সে পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন। তারপর নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। যথারীতি অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা পরিষদের তিনি শপথ পড়িয়েছেন। রাষ্ট্র কাঠামো চলছে। তার মধ্যে তিনি কেন, কি উদ্দেশ্যে নানা অগ্রহণযোগ্য অপ্রীতিকর কথা বলে চলেছেন। হ্যাঁ এটা ঠিক, যারা বিগত সরকারকে উৎখাত করেছে তাদের পক্ষে যেমন জনমত আছে, ঠিক তেমনি তাদের বিপক্ষে অনেক শক্তিধররা রয়েছে। তারা আপ্রাণ চেষ্টা করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনকে ব্যর্থ করার। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করবেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অভাব এবং আসমানসমান মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করবেন- এসব একেবারে অতি সাধারণ ব্যাপার। ক’দিন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চাচ্ছে। হয়ে যাবে। সাবেক প্রধান বিচারপতিকে ঘাড় ধরে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। সবার আগে গেছেন প্রাক্তন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা, তার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই যাবেন। রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে শূন্যতার সৃষ্টি হবে। কারও হায়াত মওত তো বলা যায় না। তাকে হত্যা করা না হোক- আল্লাহ যদি আজরাইল পাঠিয়ে দেন- তাহলে কে ফেরাবে? তখন কী হবে? সাহাবুদ্দিন চুপ্পু যদি পরপারে চলে যান তার জন্য কি দেশ বসে থাকবে? কখনো না। মাননীয় স্পিকার পদত্যাগ করেছেন। মাননীয় স্পিকারের পদত্যাগের কোনো সুযোগই নেই। পরবর্তী সংসদ পর্যন্ত বেঁচে থাকলে তিনি স্পিকার। কিন্তু পণ্ডিতি করে তিনি পদত্যাগ করেছেন। তাতে কী হবে? সংসদীয় ধারাবাহিকতা রাখতে গেলে একজন বয়োজ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য দিয়ে শপথ পড়িয়ে নিলেই সমস্ত লেঠা চুকে যাবে। বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি মরে গেছেন ধরে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিলে কী তেমন মহাভারত অশুদ্ধ হবে? কে এলো, কে গেল- এটা তেমন বড় কথা নয়। বড় কথা সত্যিই রাষ্ট্র ভালোভাবে চলছে কিনা, মানুষ স্বস্তিতে-শান্তিতে আছে কিনা। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই অনেকের মধ্যে প্রশ্ন আছে এবং এটা ধ্রুব সত্য, এক চোখে তেল, আরেক চোখে নুন বেচাকেনা করলে চলবে না। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এই দুর্যোগের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। তার জন্য জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।

mzamin
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বীরউত্তম

No comments

Powered by Blogger.