গাজায় আর যুদ্ধে যাবেন না ইসরায়েলি ১৩০ সেনা
এ বছরের গ্রীষ্মে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় কাজ করার পর ইয়োতাম সেখানে যেতে অস্বীকার করছেন। তিনি বলেছেন, সরকার যদি আবার ডাকে তিনি আর যাবেন না। তিনি মনে করেন, কিছু ক্ষেত্রে গাজায় সামরিক পদক্ষেপ জরুরি ছিল। কিন্তু এটা হওয়া উচিত ছিল শান্তি প্রচেষ্টায় সহায়ক হতে পারে, এমন কূটনৈতিক সমাধানের একটি উপায় হিসেবে। তিনি এখন বিশ্বাস করেন, গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের জীবনকে আরও কঠিন করে তোলার পাশাপাশি জিম্মি মুক্তি কঠিন করে তোলা হয়েছে। নেতানিয়াহু সরকার সেখানে শান্তি অর্জন করতে চায় না।
৯ অক্টোবর ইয়োতামসহ ইসরায়েলি ১৩০ অনিয়মিত সেনা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের কাছে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে তাঁরা বলেছেন, গাজা যুদ্ধ শেষ করতে ও হামাসের হাতে জিম্মি ১০১ জনকে মুক্ত করতে চুক্তি সই না করলে তাঁরা সরকারের হয়ে আর কোনো কাজ করবেন না।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে সীমারেখা পার হয়ে গেছে। আবার অনেকে সীমারেখার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আমরা ভাঙা মন নিয়ে এই সেবা থেকে সরে দাঁড়াতে এ চিঠি লিখছি।’
ইয়োতামের সীমারেখা আগেই ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত নেওয়া তাঁর জন্য সহজ ছিল না।
এই অনিয়মিত ইসরায়েলি সেনার মনে হয়েছে, যুদ্ধে সহযোগিতা করা থেকে সরে না দাঁড়ালে গাজায় আরেকটি দখলদারির যুদ্ধের অংশ হবেন তিনি। নেতানিয়াহু যতই বলুন না কেন, গাজায় নেতানিয়াহুর ইচ্ছা নিয়ে তাঁর সন্দেহ তৈরি হয়েছে। নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা ও ডানপন্থী মন্ত্রীরা গাজায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের কথা বলছেন।
ইয়োতাম ভিল্ক বলেন, ‘তাঁরা আমাকে এক বীভৎস পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছেন। আমি আমার নিজের সরকারের কাছ থেকে প্রতারিত বোধ করছি।’
ইয়োতাম শুধু একা নন, মার্ক ক্রেসও তাঁর মতো লেবানন সীমান্তে ৬৬ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তিনি মনে করছেন, যথেষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, বাড়ি ফেরার পর থেকে তাঁর মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে। বিষণ্নতায় ভুগছেন তিনি।
গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলা। ফাইল ছবি: রয়টার্স |
No comments