দুদকের মামলা নিয়ে বিতর্ক: চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সাড়ে ৫ কোটি টাকার বিল জালিয়াতি

চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনাকাটার বিল পরিশোধে সাড়ে ৫ কোটি টাকার বিল জালিয়াতির ঘটনায় দুদকের মামলা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। পুরো ঘটনায় হাসপাতালের তৎকালীন  তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বির যোগসাজশের অভিযোগ থাকলেও শেষমেশ ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির হিসাবরক্ষক মো. ফোরকানকে। একই যন্ত্রপাতি কেনাকাটা অনিয়মে দুদকের আরেকটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ডা. সেখ ফজলে রাব্বি নিজেকে বাঁচিয়ে দুদকের মাধ্যমে হিসাবরক্ষককে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। আলোচিত বিলটিতে তত্ত্বাবধায়কের একক স্বাক্ষর থাকলেও তাকে বাদ দিয়েই মামলা করেছে দুদক। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল এবং দুদকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) আটটি শয্যা, ভেন্টিলেটর ও কার্ডিয়াক পেশেন্ট মনিটরসহ প্রায় ১৫ কোটি টাকার চিকিৎসা যন্ত্রপাতি কেনে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল। ঠিকাদার যন্ত্রপাতি সরবরাহের পর সেগুলো মানসম্মত না হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে সমালোচনা তৈরি হলে কিছু যন্ত্রপাতি সংযোজন ছাড়াই দীর্ঘদিন হাসপাতালের গোডাউনে ফেলে রাখা হয়। এরমধ্যে ৮টি আইসিইউ বেড, ৮টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর এবং একটি কার্ডিয়াক পেশেন্ট মনিটর। এসব যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে ঢাকার পল্লবীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজ।

পরবর্তী সময়ে এসব যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়ম অনুসন্ধানে দুর্নীতির সত্যতা পায় দুদক। যন্ত্রপাতি ক্রয়ে প্রায় ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই সময়ের সিভিল সার্জন (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ড. সরফরাজ খান চৌধুরী, হাসপাতালের তিন ডাক্তার এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চারজনসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর মামলা করে দুদক। মামলাটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন। এরপর ২০২০ সালের শুরুতে দেশে করোনা মহামারি শুরু হলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে ১০০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড ঘোষণা করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসময় সারা দেশে আইসিইউ সংকটের মধ্যে ওই হাসপাতালের গোডাউনে পড়ে থাকা যন্ত্রপাতিগুলো জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের উদ্যোগ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। পাশাপাশি তৎকালীন  শিক্ষা উপমন্ত্রী ও  স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে সভাপতি করে গঠিত একটি কমিটি ২০২০ সালের ১৯শে মে আলোচনার মাধ্যমে এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত দেন। যথারীতি এসব যন্ত্রপাতি জেনারেল হাসপাতালে সংযোজন করা হয়।

আর এ সুযোগে এসব যন্ত্রপাতির বকেয়া থাকা ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার বিল দাবি করেন ঠিকাদার। ঠিকাদারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিলের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে ব্যয় মঞ্জুরি প্রদান করা হয়নি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে উপ-পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে যোগ দেন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এর আগে তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের দায়িত্বে। এদিকে ২০২২ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার বিল পরিশোধের জন্য ব্যয় মঞ্জুরিপত্র চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তারপরও মন্ত্রণালয় ব্যয় মঞ্জুরিপত্র না দিলেও  ২০২১-২২ অর্থবছরের মধ্যেই ঠিকাদারকে বিল পরিশোধে উদ্যোগী হয় ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। যথারীতি ২০২২ সালের ২৮শে জুন বিলটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিসে উপস্থাপন করা হয়। বিলের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়া হয় একটি ভুয়া ব্যয় মঞ্জুরিপত্র। ওই বিলটিতে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে একক স্বাক্ষর করেন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। অনুসন্ধান বলছে, বিলটিও তৈরি করেননি  হিসাবরক্ষক ফোরকান। ইব্রাহিম নামের আরেক কর্মচারীকে দিয়ে বিল তৈরি করে বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিসে পাঠান তত্ত্বাবধায়ক।

মূলত বিলের সঙ্গে থাকা ব্যয় মঞ্জুরিপত্রটি বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিস ভুয়া দাবি করায় বিপত্তির সৃষ্টি হয়। বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। তবে সরকারি বিলে ডকুমেন্ট জালিয়াতির বিষয়টি দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় ২০২২ সালের ৩০শে জুন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ লিখিত অভিযোগ দেন হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক।ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিলের সঙ্গে যুক্ত ভুয়া ব্যয় মঞ্জুরিপত্রটি যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী ঠিকাদার মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মুন্সি ফারুক হোসেন, তাদের অফিস স্টাফ সাজ্জাদ হোসেন ও মুকিত মণ্ডল এবং হাসপাতালের হিসাবরক্ষক ফোরকান পরস্পর যোগসাজশে তৈরি করেছেন। এরপর দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে অভিযোগটি অনুসন্ধান করে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১। ওই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক অভিযোগটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে দুদকে অভিযোগকারী বাদী আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বিকেও আসামি করার সুপারিশ করা হয়।

প্রতিবেদনে মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মুন্সী ফররুখ হোসাইন ওরফে মুন্সি ফারুক, তার ভাই মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন, তাদের অফিস স্টাফ মুকিত মণ্ডল, জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মোহাম্মদ ফোরকান এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বির বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে ভুয়া ব্যয় মঞ্জুরিপত্র সৃজনপূর্বক তা খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে দণ্ডবিধির ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯, ৫১১ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর সুপারিশ করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হকের প্রতিবেদনটি গত বছরের ২৯শে আগস্ট  দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে পাঠান ওই কার্যালয়ের উপ-পরিচালক। এরপর চলতি বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে, “যেহেতু আলোচিত বিলটি পাস হয়নি এবং সরকারি টাকা তহবিলে রক্ষিত রয়েছে, সেহেতু মামলা রুজুর পরিবর্তে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এবং হিসাবরক্ষক মো. ফোরকানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তিনজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে” উল্লেখ করে সুপারিশ দিয়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদনটি দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠান দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মো. সফিকুর রহমান ভুঁইয়া।

পরবর্তীতে গত ৩১শে জুলাই দুদক প্রধান কার্যালয়ের চট্টগ্রাম ডেস্কের উপ-পরিচালক (অনুঃ ও তদন্ত-৫) খান মো. মীজানুল ইসলাম ডা. সেখ ফজলে রাব্বিকে বাদ দিয়ে অন্য চারজনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দেয়। গত ১১ই আগস্ট মামলাটি রেকর্ড করে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মুন্সি ফারুকের সহোদর মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন তার হোয়াটসঅ্যাপ মোবাইল নম্বর থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সুশীল কুমার পাল স্বাক্ষরিত চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার, সেগুনবাগিচা বরাবর প্রেরিত একটি ভুয়া ব্যয় মঞ্জুরিপত্র (স্মারক নং-৪৫.০০.০০০০.১৩৯.১২৯.২০২১/৪৫৯ তারিখ ২৬/০৬/২০২২ খ্রি.) চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ ফোরকানের মোবাইল নম্বরে প্রেরণ করেন। মোহাম্মদ ফোরকান ভুয়া ব্যয় মঞ্জুরিপত্রটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বির মোবাইলে ফরোয়ার্ড করেন। এছাড়া ২৮শে জুন আহমেদ এন্টারপ্রাইজের অফিস সহকারী মুকিত মণ্ডল জেনারেল হাসপাতালে আসেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মুন্সি ফারুক, তার সহোদর সাজ্জাদ মুন্সি, অফিস সহকারী মুকিত মণ্ডল, জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফোরকান ও ডা. সেখ ফজলে রাব্বি পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া ব্যয় মঞ্জুরি সৃজন করে ডা. সেখ ফজলে রাব্বি একক স্বাক্ষরে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার একটি বিল প্রস্তুত করেন।

বিলটি পাস করার জন্য একই দিনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অফিস বরাবরে প্রেরণ করেন। বিলটি অনুস্বাক্ষরবিহীন ছিল। চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিস কর্তৃক বিলটি যাচাই-বাছাইকালে অর্থ বরাদ্দপত্রে পৃষ্ঠাঙ্কন না থাকা, বরাদ্দপত্রটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় না আসা অর্থাৎ পত্রটি চট্টগ্রামের হিসাবরক্ষণ অফিস বরাবর না হয়ে, হিসাবরক্ষণ অফিস সেগুনবাগিচা বরাবর হওয়াসহ সার্বিক পর্যালোচনায় জিওটি ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করে এবং বিলটি বাতিলপূর্বক ফেরত প্রদান করেন। ভুয়া ব্যয় মঞ্জুরিপত্রে যে স্মারকটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোর্সিং খাতে নিয়োজিত জনবলের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য বরাদ্দ আদেশের স্মারকটি ব্যবহার করে সুশীল কুমার পালের স্বাক্ষর জাল কিংবা স্ক্যানিং করে চিকিৎসা যন্ত্র ব্যয় মঞ্জুরির ভুয়া ও অবৈধ আদেশ দাখিল হয়েছে। এ ব্যাপারে কথা হলে জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ফোরকান বলেন, ভুয়া ব্যয় মঞ্জুরিপত্রের ঘটনাটি ২০২২ সালের ২৮শে জুনের। ওই দিনটি ছিল অর্থবছরে সরকারি বিল ছাড় করার শেষ দিন। হাসপাতালের অনেক বিল ছাড়ের বিষয় থাকায় আমি বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিসে ছিলাম। ওইদিন দুপুর ২টা ১৩ মিনিটে বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ত্যাগ করি। দুপুর আড়াইটার দিকে ঠিকাদারের লোক সাজ্জাদ মুন্সি আমার হোয়াটস অ্যাপে আলোচিত সেই ব্যয় মঞ্জুরিপত্রের কপিটি পাঠান। তখন সেটি আসল না নকল, তা আমার পক্ষে যাচাই করা সম্ভব ছিল না। এ কারণে আমি তাৎক্ষণিক এটি তত্ত্বাবধায়ক স্যারের হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিই। কারণ ওই বিলটি ছিল তত্ত্বাবধায়ক স্যারের কাছে। তত্ত্বাবধায়ক ওই বিলটি নিজেই তৈরি করেছিলেন। তবে বিলটি হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে ফেরত দেয়ার দুইদিন পর ২রা জুলাই আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক বিলের অফিস কপিতে স্বাক্ষর নেয়া হয়।

তিনি বলেন, হিসাবরক্ষণ অফিসে উপস্থাপিত বিলে আমার স্বাক্ষর ছিল না। বিলটি অন্য আরেকজন কর্মচারী দিয়ে তৈরি করা। বিলটিতে তত্ত্বাবধায়ক স্যার একাই সই করেন। পরে যখন পত্রটি ভুয়া প্রমাণিত হলো, তখন তত্ত্বাবধায়ক স্যার আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। দু’দিন পরে আমার কাছ থেকে জোর করে বিলের অফিস কপিতে সই নিয়েছেন। এটার প্রমাণ আমার হাতে রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক স্যার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন।’ এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. সেখ  ফজলে রাব্বি মানবজমিনকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে দুদক তদন্ত করছে। তাই এ বিষয়ে আমি কথা বলতে পারবো না। প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত ড. সেখ ফজলে রাব্বিকে  গত ৫ই সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে তাকে স্বাস্থ্য  অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন)  পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তবে  বুধবার (১১ই সেপ্টেম্বর)  স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু রায়হান দোলন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এই  পদ  থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ৩রা আগস্ট কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শান্তি সমাবেশে নেতৃত্ব দেয়ার বিষয় সামনে আসায় ফজলে রাব্বিকে এই পদ থেকে সরানো হয়।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.