সংবিধানের যে ধারাগুলো স্বৈরাচার হওয়ার সুযোগ দেয় তা বাতিল করতে হবে: মান্না
মান্না বলেন, প্রথম পর্যায়ে যে লড়াইটা হয়েছে, দীর্ঘ ১৫ বছর যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলেছে সেটায় আমরা বিজয়ী হয়েছি। পরে, সময়ের প্রয়োজনে অন্তর্বর্তী একটি সরকার গঠিত হয়েছে। আন্দোলনের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, তা হলো একটি নতুন বাংলাদেশ চাই। বর্তমানে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, অর্থনীতিতেও গতি ফিরে আসছে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আছে, তবে তারা চুপ। তাদেরকে আরও বেগবান হওয়ার তাগিদ দেন তিনি। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ ছিল স্বৈরাচারের আখড়া। পটপরিবর্তনের পর এটা এখন খুবই স্পষ্ট যে, আমাদের প্রথম পর্যায়ে বিজয় হয়ে গেছে। স্বৈরাচার যেটা চেপে বসেছিল, সেটা যে যেতে পারে এবং এত তাড়াতাড়ি সেটা বিশ্বাসও করতে পারি নাই। ৪ তারিখেও আমাকে অনেকে ফোন করে বলেছিল, ভাই এটা কী পারবেন? এটা কী হবে? ৫ তারিখেই স্বৈরাচারের পতন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জীবনবাজি রেখে এত বড় ঘটনা শিক্ষার্থীরা করলো যা কোনো রাজনৈতিক দল করতে পারেনি। রাজনৈতিক দলগুলো লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগম ঘটিয়েছে আবার যখন পুলিশ বলেছে, তারা তখন চলে গেছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা করেনি। তারা বুক পেতে দিয়েছে। পুলিশ গুলি করেছে একজন প্রাণ হারিয়েছে আরেকজন দাঁড়িয়ে গেছে। নতুন কিছু দেখতে হলে দৃষ্টির পরিবর্তন করতে হবে। এখন পলিটিক্স মাসলম্যান দিয়ে চলবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা করছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এবারের আন্দোলনের সঙ্গে অতীতের আন্দোলনের মিল নেই। এখানে কোনো নেতৃত্ব নেই, কোনো স্ট্রাকচারই নেই। এটা কালচারাল ফাইট। এটা না বুঝলে সমস্যা হবে। এই পরিবর্তন আমাদের বুঝতে হবে। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করবো। কিন্তু সরকার ভুল করলে সমালোচনাও যেন করতে পারি, সেই পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলেও জানান তিনি। নারায়ণগঞ্জ জেলা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ইকবাল কবিরের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ঢাকা উত্তরের সভাপতি খসরু, নারায়ণগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমানসহ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
No comments