শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারত চলে যান শেখ হাসিনা। তখন থেকে তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। এদিকে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতা হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। চলছে তদন্ত।
এ পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু বিচার এবং শাস্তি নিশ্চিতে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতে সোপর্দের দাবি উঠেছে। সংবাদ সম্মেলনে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি টেনে এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। জবাবে জয়শঙ্কর স্পষ্ট তথ্য না দিয়ে সাংবাদিককে থামিয়ে দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা কূটনৈতিক চ্যানেলে কাজ করি। কোন মিডিয়ায় কী রিপোর্ট ছাপা হলো তার ভিত্তিতে কাজ করা জরুরি নয়।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নবনিযুক্ত চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ ছাড়া সরকারে এবং সরকারের বাইরে থাকা বিভিন্ন জন শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন।
চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের বলেন, সম্ভাব্য প্রধান অপরাধী দেশ থেকে পালিয়েছেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়া আমরা শুরু করব। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে ২০১৩ সালে। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে এ চুক্তিটি হয়েছিল। তিনি যেহেতু বাংলাদেশে গণহত্যার প্রধান আসামি হবেন মনে করি। অধিকাংশ মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। সুতরাং এ প্রক্রিয়া শুরুর মাধ্যমে তাকে আইনগতভাবে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করব।
No comments