ভারতে বন্দী শিবিরে অনশনে শতাধিক রোহিঙ্গা
ওই বন্দী শিবিরের নাম মাটিয়া ট্রানজিট ক্যাম্প। সেখানে অনশনরতদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকা এক রোহিঙ্গা জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের মধ্যে প্রায় ১০৩ জন রোহিঙ্গা। এ ছাড়া ৩০ জন মিয়ানমারের চিন সম্প্রদায়ের শরণার্থী রয়েছে। তাঁদের অনেকের জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) দেওয়া শরণার্থী কার্ড রয়েছে।
ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করা অভিবাসীদের আটক রাখার জন্য সবচেয়ে বড় বন্দী শিবির মাটিয়া ট্রানজিট ক্যাম্প। রয়টার্সের সঙ্গে কথা হওয়া ওই রোহিঙ্গা জানিয়েছেন, অনশনরত অনেকের বন্দিত্বের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপরও তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে। এমনকি ৩৬ জন রোহিঙ্গার ইউএনএইচসিআরের শরণার্থী কার্ড রয়েছে।
ওই বন্দী শিবিরের পরিবেশ ভালো নয় এবং সেখানে বন্দীদের সঙ্গে আত্মীয়-স্বজনের দেখা করতে দেওয়া হয় না বলে জানিয়েছেন ওই রোহিঙ্গা। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের যেন ইউএনএইচসিআরের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানো হয়। এ নিয়ে তাঁরা আসাম সরকারের কাছেও চিঠি লিখেছেন।
এ বিষয়ে আসামের সর্বজ্যেষ্ঠ আমলা রবি কোটা বলেছেন, আন্দোলনকারীরা মুক্তির দাবি করেছেন। তাঁদের সমস্যার বিষয়ে জানতে ওই বন্দী শিবিরে সরকারি কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। সার্বিক বোঝাপড়ার পর তাঁরা একটি প্রতিবেদন দেবেন। এই আন্দোলনকারীদের সবাইকে আদালতের একই নির্দেশে আটক রাখা হয়নি। তাঁদের বিরুদ্ধে দেওয়া আদালতের আদেশগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কী কী এবং আইনগতভাবে তাঁরা কোন অবস্থায় আছেন তা-ও জানা হচ্ছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দমনপীড়নের মুখে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাছবি: প্রথম আলো |
No comments