৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা কেজরিওয়ালের
রোববার দিল্লিতে পার্টির কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার সময় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করার পাশাপাশি তিনি বলেন, 'দু'দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছি। মানুষ রায় না দেয়া পর্যন্ত আমি চেয়ারে বসব না। প্রত্যেক বাড়িতে যাব, দরজায় দরজায় পৌঁছব। মানুষের রায় না পাওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না।'
একইসঙ্গে দিল্লিবাসীর উদ্দেশেও কেজরিওয়ালের অনুরোধ, যদি মানুষ তাকে নির্দোষ বলে মনে করেন, যদি মানুষ ভাবেন তিনি দিল্লির জন্য কাজ করেছেন, তবে তাকে যেন পুনরায় ভোট দেয়া হয়।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা ব্যাখ্যা করে কেজরিওয়াল বলেন, ‘আদালত জামিন দিয়েছে। এই মামলা চলবে। আইনজীবীদের বললাম, আদালত থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না। কিন্তু ওরা বললেন, মামলা বেশ কয়েক বছর চলতে পারে। আদালত যা করতে পারত করেছে। যে আইনে জামিন হয় না, সেই আইনে আদালত থেকে জামিন পেয়েছি। কিন্তু আজ আমি জনতার আদালতে এসেছি। আপনারা বলুন, আপনারা আমাকে দোষী মনে করেন না নির্দোষ? কেজরিওয়াল সৎ না অসৎ? ‘ আপ কর্মীদের উদ্দেশ্যে তার ভাষণে কেজরিওয়াল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে বৃটিশদের চেয়েও কর্তৃত্ববাদী বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র বাঁচাতে চেয়েছিলাম বলে গ্রেপ্তার হওয়া সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করিনি। তারা (কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী) সিদ্দারামাইয়া, (কেরলের মুখ্যমন্ত্রী) পিনারাই বিজয়ন, (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী) মমতা দিদির (ব্যানার্জি) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আমি অ-বিজেপিদের কাছে আবেদন করতে চাই, তারা (বিজেপি) যদি আপনার বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করে তাহলে পদত্যাগ করবেন না। এটি তাদের নতুন খেলা।’
যদিও বিজেপির দাবি কেজরিওয়াল নাটক করছেন। বিজেপির হরিশ খুরানা প্রশ্ন তোলেন, ‘৪৮ ঘণ্টা পরে কেন? তার আজই পদত্যাগ করা উচিত। অতীতেও তিনি এমন করেছেন। দিল্লির মানুষ জিজ্ঞাসা করছে, তিনি সচিবালয়ে যেতে পারবেন না, নথিতে সই করতে পারবেন না, তাহলে লাভ কী?’
বিজেপি আগাম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে খুরানা বলেন, ‘আজ হোক বা কাল হোক আমরা প্রস্তুত। আমরা ২৫ বছর পর দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরব।’
সূত্র : এনডিটিভি
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ছবি : সংগৃহীত |
No comments