কাশ্মীরে সহিংসতার বলি শিশুরা

সরকার ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সংঘর্ষে একাধিক দেশের মতো ভারতেও শিশুরা সংঘাতের শিকার হচ্ছে। গত মঙ্গলবার এ মর্মে একটি রিপোর্ট পেশ করেছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তাতে আরও বিশেষ ভাবে বলা হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর এবং মাওবাদী সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতেই সংঘাতের শিকার হয় শিশুরা। তবে রিপোর্টের বিরোধিতা করেছে ভারত।

গত মঙ্গলবার 'অ্যানুয়াল রিপোর্ট অফ দ্য সেক্রেটারি জেনারেল অন চিলড্রেন অ্যান্ড আর্মড কর্নফ্লিক্ট' শীর্ষক রিপোর্টে একটি বিশেষ অংশে ভারতের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেই অংশের নাম দেওয়া হয়েছে 'সিচ্যুয়েশন নট অন দ্য অ্যাজেন্ডা অফ দ্য সিকিউরিটি কাউন্সিল অর আদার সিচুয়েশনস।' সেটিকেই নিরাপত্তা পরিষদে খোলা বিতর্কে হাতিয়ার করেন ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি পৌলোমী ত্রিপাঠী।

গত শুক্রবার আয়োজিত তিনি বলেন, 'নিরাপত্তা পরিষদের স্পষ্ট মত সত্ত্বেও মহাসচিবের রিপোর্টে এমন কিছু পরিস্থিতির উল্লেখ রয়েছে যা কিনা মোটেও সশস্ত্র সংঘর্ষের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনীয় নয়, এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা রক্ষার ক্ষেত্রেও বিপজ্জনক নয়। তারপরেও বিষয়গুলি বেছে বেছে মতামত প্রকাশ করলে তাতে রাজনৈতিক রং চড়ে এবং তাতে আখেরে সেই উদ্দেশ্যগুলিই কাঙ্খিত পরিসর পেয়ে যায়। মাঝখানে বিশ্বশান্তির পক্ষে আসলে বিপজ্জনক যে বিষয়গুলি রয়েছে, সেগুলি আলোচনার প্রেক্ষাপট হারায়।'

রিপোর্টটিতে দাবি করা হয়েছে, 'হিজবুল মুজাহিদিন এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি পাঁচ জন শিশুকে নিয়োগ করেছে।' নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে গত ডিসেম্বরে লস্কর-ই-তৈয়বার দুই 'নাবালক জঙ্গির' মৃত্যু হয়। রিপোর্টে এ-ও বলা হয়, 'মাওবাদীরাও যে নিয়মিতভাবে শিশুদের নিয়োগ করে থাকে, সে খবরও রয়েছে।' তাতে কাঠুয়ার গণধর্ষিতা শিশুটির কথাও বলা হয়েছে। তবে পাশাপাশি সরকার যে ভাবে শিশু-সুরক্ষায় পদক্ষেপ করেছে, তাকেও স্বাগত জানিয়েছেন গুতেরেস।

No comments

Powered by Blogger.