আইনের শাসন : সন্তুষ্টির অবকাশ কোথায়? by সালাহউদ্দিন বাবর

বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে নানা ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে। আওয়ামী ঘরানার লেখক-বুদ্ধিজীবীরাই এদিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন। এই বলয়ের পত্র-পত্রিকা তা বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করছে। কেউ কেউ তার এই দণ্ড হওয়াকে ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা’ বলে মন্তব্য করেছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরোধী দল ও নেতাদের সমালোচনা হতেই পারে। কিন্তু সে সমালোচনার ভাব ও ভাষা বাস্তবভিত্তিক হতে হবে। তা প্রতিহিংসামূলক ও কঠোর হওয়া সমীচীন নয়। কিন্তু লক্ষ করা গেছে, এ ক্ষেত্রে লেখাগুলোয় সেই সীমা বজায় থাকেনি। কেউ কেউ বলেছেন, তার দণ্ড হওয়ার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এসব মন্তব্য গ্রাহ্য করা যেত যদি দেখা যেত, সব বিষয়েই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে; আইনের শাসন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ভুলত্রুটি করা হচ্ছে না, পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে না এবং এর ফলে রাষ্ট্রীয় জীবনে অনিয়ম দূর হয়েছে, শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। যদি দেখা যেত, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক নেতাদের রঙের বাছবিচার হচ্ছে না। আর কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার ব্যাপারে আইনকানুনের সঠিক প্রয়োগ এবং মানদণ্ড বজায় থাকছে কি না, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার মামলা ও বিচার নিয়ে বহু বিচ্যুতির অভিযোগ রয়েছে। এই মামলাগুলো দায়ের হয়েছে বিতর্কিত এক সরকারের আমলে। ১/১১-এর সেই সরকার রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি ছিল চরম বিদ্বেষপরায়ণ। তাদের ক্রোধেই এই মামলাগুলোর উৎপত্তি। এমন মামলা বিএনপির নেতাদের নামে যেমন হয়েছিল, তেমনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে নিজেদের বিরুদ্ধে আনীত সব মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। অথচ বিএনপির প্রতি বৈষম্য করে তাদের মামলাগুলো সরকার আজো চালিয়ে নিচ্ছে।
এ ছাড়াও রয়েছে বর্তমান সরকারের দায়ের করা অনেক হাস্যকর মামলা। ১/১১ সরকারের দায়ের করা বিতর্কিত মামলাগুলো চালু রাখা বস্তুত ন্যায়ানুগ নয়। কারণ ১/১১ সরকারের লক্ষ্য ছিল কার্যত ষড়যন্ত্রমূলক। সেই সরকারের উদ্দেশ্য ছিল দেশের রাজনৈতিক নেতাদের বিশেষ করে দেশের প্রধান দুই দলে শীর্ষে থাকা দুই নেত্রীসহ অন্য নেতাদের চরিত্র হনন করে জনসমক্ষে তাদের হেয়প্রতিপন্ন ও দোষী সাব্যস্ত করা। তাদের রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দিয়ে এক শূন্যতা সৃষ্টি করাই ছিল লক্ষ্য। আর সেই শূন্যতার সুযোগে তারা দেশের শাসনব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করত। এখন সেই ধারাবাহিকতার একটি অংশ নেই বটে; তবে খালেদা জিয়াকে নির্বাচনী রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হবে, তা শুধু বিএনপির জন্য ক্ষতিকর হবে না; দেশের গোটা রাজনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অস্থিরতা দেখা দিলে সর্বত্র এর অশুভ প্রভাব পড়বে। তা ছাড়া, আলোচ্য এই মামলার রায় নিম্ন আদালতে দেয়া হয়েছে। তাই এটা শেষ কথা নয়। উচ্চ আদালতে এর আপিল হবে। বিচারকার্যের এখন মাত্র প্রথম ধাপ পেরিয়েছে। উচ্চতর আদালতে তার আপিল নিশ্চয়ই হবে। মামলার শুনানি শেষে বাদি-বিবাদিদের পক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক হবে। এর পর রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে আপিল। বিচারের এতগুলো ধাপ শেষ হওয়ার আগে ঢালাও মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। মন্তব্যকারীদের সে পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষী বলা সঠিক নয়। ১/১১ সরকারের আমলে মামলা হয়েছে। অথচ সেই সরকার নিজেও গুরুতর অপরাধ করেছে। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত ছিল। তারা দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছিল, যা গুরুতর অপরাধ। সে সময় সংবিধান অনুসারে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক রাষ্ট্র পরিচালনার সময়সীমা ছিল ৯০ দিন; অথচ তারা ক্ষমতায় ছিল একটানা দুই বছর। এটা মারাত্মক অপরাধ। তাদের পর যারা ক্ষমতায় এসেছেন তাদের বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল। সংবিধানে বর্ণিত নির্দেশনা উপেক্ষা করা নিয়ে ঘোরতর অনিয়ম হয়েছিল। এমন অপরাধকে বিবেচনায় না নেয়া একটা অন্যায়। সংবিধানের আরো এক বিধান সেই সরকার অমান্য করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রের কেবল দৈনন্দিন কাজ সমাধা করা। অথচ তারা বহু মৌলিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সে সরকার বিনা কারণে দুই নেত্রীকে কারারুদ্ধ করেছিল।যদি দেশের আইনের শাসন তথা সুশাসনের হালের দিকে নজর দেয়া হয় তাহলে কিন্তু হতাশ হতে হবে। সেদিকে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের কোনো দৃষ্টি নেই। দেশে আইনের শাসনের একটি বড় অনুষঙ্গ হচ্ছে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা; কিন্তু বাংলাদেশে এখন সে ব্যবস্থা নেই। সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় একটি কার্যকর সংসদ থাকা জরুরি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ এখন সমাসীন, তা মূলত এক দলের সংসদ ও সরকার। সত্যিকারভাবে সরকারবিরোধী কোনো দলের উপস্থিতি সেখানে নেই। একই দলের সরকার ও সংসদ হলে সরকারের জবাবদিহিতা থাকে কিভাবে?
চার বছরের বেশি সময় ধরে এমন জবাবদিহিহীন অবস্থায় দেশ চলছে। তাই বলা যায়, সুশাসন কোথায়? অথচ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে না কেউ। জবাবদিহিমূলক প্রশাসন না থাকায় দেশ অনিয়ম-দুর্নীতিতে ডুবতে বসেছে। সরকারি আর্থিক খাতের অবস্থা শোচনীয়। হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে। কয়েকটি সরকারি ব্যাংক লোকসান দিতে দিতে দেউলিয়ার পর্যায়ে পৌঁছেছে। তার কোনো বিহিত না করে সরকার তাদের ক্ষতিপূরণে রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে বিপুল অর্থ সাহায্য দিচ্ছে। অপকর্মের যদি কোনো প্রতিবিধান না হয় তবে আইনের শাসন থাকে কোথায়? কারো অপরাধের শাস্তি হওয়া-না-হওয়া আইনের শাসন নয়। সর্বত্র আইনের প্রয়োগ হতে হবে সমভাবে। বাংলাদেশে আইনের কোনো ঘাটতি নেই; কিন্তু ঘাটতি রয়েছে তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালান ও মজুদদারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কঠোর বিধান রয়েছে। বিভিন্ন সময় দেখা যায়, এসব সমাজবিরোধী ব্যক্তির কারসাজিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের জনগণ এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে। কিন্তু এসব আইনের প্রয়োগ করে যথাবিহিত ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন ভয়াবহ অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে। আর এসব নির্যাতনকারী প্রভাবশালী মহলের সদস্য। কখনো কখনো আইন এদের কাছেও ঘেঁষতে পারে না। বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া এখন নিত্যদিনের ব্যাপার। এর ফলে গোটা শিক্ষাব্যবস্থায় নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নকল প্রশ্ন বহনকারী দু-চারজন ছিঁচকে ধরা পড়ে বটে; কিন্তু এই অবক্ষয়ের যারা নেপথ্য নায়ক, তারা নাগালের বাইরেই থেকে যাচ্ছে। এখানে আইনের শাসন অনুপস্থিত।
তাদের আইনের অধীনে এনে বিচার করা ছিল সরকারের কর্তব্য। কিন্তু সে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে না। এতে অপরাধপ্রবণতা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে। এ দিকে নির্বাচনের বছরে বিএনপির চেয়ারপারসনকে আটক করার বিষয়টি দলটির জন্যই শুধু কঠিন অবস্থার সৃষ্টি করেনি, গোটা দেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হচ্ছিল, তারা বেগম জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না। আর বিএনপি যদি নির্বাচনে না যায়, তবে বহু প্রত্যাশিত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। যদি তা না হয় তবে ২০১৪ সালের মতো আরেকটি প্রহসনের কোনো অর্থ হয় না। তেমন একদলীয় নির্বাচন হলে দেশের যে গণতান্ত্রিক সঙ্কট রয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। তাই এখন সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই। এখানে সরকারের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আইনের সরল গতিপথকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করা ঠিক হবে না। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জব্দ করার জন্য অনেক নিচে নামার উদাহরণ রয়েছে। বেগম জিয়ার ব্যাপারে তেমনটি করা হোক, কেউ আশা করে না। চূড়ান্ত রায় হওয়ার আগে তিনি জামিন পাবেন, স্বাভাবিক রাজনৈতিক জীবনে ফিরে এসে দলকে নিয়ে নির্বাচনে যাবেন, এটাই সবাই আশা করেন। জনগণের দুয়ারে কী রায় তারা পান, সেটা দেখার সুযোগ থাকা আবশ্যক। দেশের মানুষ সেটাই কামনা করে। গণতন্ত্র, সুশাসন ও উন্নয়ন পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। দেশে গণতন্ত্র সমস্যায় পড়লে সুশাসনে ব্যত্যয় ঘটে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সঙ্কট চলছে বিধায় এখানে সুশাসন ও উন্নয়নের বিষয়গুলো ঠিকপথে চলছে না। গণতন্ত্র এক অর্থে জবাবদিহিমূলক শাসন।
গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত বিধায় রাষ্ট্রীয় জীবনে এখন জবাবদিহিতা নেই। জবাবদিহি করার যে প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদ ও সংবাদমাধ্যম, তা কার্যকর নেই। সংসদে সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। আর সংবাদপত্র আইনের মারপ্যাঁচে আটকে যাচ্ছে। ফলে উন্নয়নের জন্য যে অর্থের প্রবাহ সৃষ্টি হচ্ছে তাতে পর্যবেক্ষণের বিষয়টি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এর ফলে দুর্নীতি করে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করার সুযোগ হচ্ছে। সরকারি মহল থেকেই এর স্বীকৃতি আসছে। তাই গণতন্ত্র না থাকলে সুশাসন থাকে না। আর সুশাসন বজায় না থাকলে দুর্নীতি বিস্তার লাভ করে। সরকারের পক্ষ থেকে উন্নয়নের বিষয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে। দেশের মানুষ উন্নয়ন ত্বরান্বিত হোক, এটা চায়। কিন্তু উন্নয়ন কার্যক্রমের কতগুলো যে নেতিবাচক উপসর্গ রয়েছে তার প্রতিবিধান হওয়া উচিত অবশ্যই। সুশাসনের যে কাঠামোগুলো রয়েছে, সেগুলো এখন কার্যকর নেই। উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত কাঠামোগুলো সংস্কার করা, একে কার্যকর করার দায়িত্ব কিন্তু সরকারের। এখন লক্ষ করা যাচ্ছে, সুশাসনের ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরাই। তারা প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার বা চাপ সৃষ্টি করে তাকে সঠিক পথে চলা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন। প্রশাসনে তারা হস্তক্ষেপ করছেন। প্রশাসনও সরকারি আনুকূল্য পাওয়ার জন্য বিপথে হাঁটছে। আর তাতে সমস্যায় পড়ছে সাধারণ মানুষ। দেশে যে অনিয়ম-অনাচার চলছে তা ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের পৃষ্ঠপোষকতায় হচ্ছে,
তাতে সন্দেহ নেই। এ ক্ষেত্রে তাদেরই অভিযুক্ত হতে হবে; কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে শুধু রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকাই তো সব নয়। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমলাদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সমাজের মেধাবী তরুণদের নানাভাবে বাছবিচার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সরকারি দায়িত্বে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে; যাতে এই আমলা শ্রেণী প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে রাষ্ট্রকে একটি গতিশীল ও অনাচারমুক্ত প্রশাসন উপহার দিতে পারে এবং রাষ্ট্র দ্রুত একটি কল্যাণমূলক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হতে পারে। আমলা শ্রেণী দক্ষতা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে জনগণের সেবা করবে, এটাই জাতি আশা করে। কিন্তু এখন লক্ষ করা যায়, আমলা শ্রেণী রাজনীতিকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়েন। রাজনীতিকদের অনিয়ম-অনাচার সব সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অথচ আমলা শ্রেণীর কোনো এতে প্রতিরোধমূলক ভূমিকা দেখা যায় না। অথচ মেধাবী উচ্চশিক্ষিত এই শ্রেণীর কাছে জাতির আশা, তারা রাজনীতির হীনস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশসেবা করবেন। স্বার্থদুষ্ট রাজনীতিকদের কাছে আত্মসমর্পণ করে বসলে দেশের হাল যা হওয়ার এখন সেই দুরবস্থাই সৃষ্টি হয়ে আছে। অবশ্য স্বীকার করা উচিত সংখ্যায় কম হলেও কিছু আমলা স্রোতের বিপরীতে হাঁটার চেষ্টা করছেন। তাদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাক, এই আশা করছি।

No comments

Powered by Blogger.