কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঁচ দিনের অবস্থান শুরু

চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে কর্মবিরতির পর এবার পাঁচ দিনের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি বা স্বাস্থ্যকর্মী)। গতকাল শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাঁরা এ কর্মসূচি শুরু করেন। আন্দোলনকারী বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় দাবি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব মো. নঈম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের এই অবস্থান কর্মসূচি ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁরা আমরণ অনশন শুরু করবেন। গতকাল দুপুরের পর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে দেখা যায়,
কয়েক হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। সেখানে আগে থেকেই দুই ধরনের শিক্ষকদের অনশন চলছে। এর মধ্যেই হাজারো স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতিতে রাস্তার বেশির ভাগ জায়গা ভরে যাওয়ায় যানচলাচলের গতি কমে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া ক্লিনিক ছেড়ে আন্দোলনে থাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবায় বিঘ্ন ঘটছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, সারা দেশে এ রকম স্বাস্থ্যকর্মী আছেন ১৩ হাজার ৫৪৪ জন। অবস্থানে অংশ নেওয়া নরসিংদীর মনোহরদীর গোতাশিয়া ইউনিয়নের খোটমোড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. ফারুক মিয়া বলেন, তাঁরা এখন বেতন পান প্রকল্প থেকে (উন্নয়ন খাত)। তাঁদের মূল বেতন ১০ হাজার ২০০ টাকা। সর্বসাকল্যে পান ১৬ হাজার ৭০০ টাকা। রাজস্ব খাতে না হওয়ায় তাঁরা অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়। ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৮ সালের পর আবার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়। এগুলো পরিচালনায় নিয়োগপ্রাপ্তরা রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি করছেন।

No comments

Powered by Blogger.