মার্কিন দূতাবাসে লেবাননিদের হামলা

লেবাননের মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। নিরাপত্তা বাহিনী তাদেরকে বাধা দিতে গেলে সঙ্ঘর্ষের সৃষ্টি হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর সারা বিশ্বের মতো লেবাননেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসমুখী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী তাদের হটাতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। তাদের বিরুদ্ধে পানিকামানও ব্যবহার করা হয়। বিক্ষোভকারীদের রুখতে আগে থেকেই সেখানে ব্যারিকেড স্থাপন করা হয়েছিল। তবে বিক্ষুব্ধ অনেক লেবাননি ব্যারিকেড টপকিয়ে দূতাবাসে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। বিক্ষোভকারীদের অনেকে সাদা ও কালো স্কার্ফ পরেছিল।
এএফপি ‘বিক্ষোভের দিনে’ দুই ফিলিস্তিনি নিহত : জাতিসঙ্ঘে একা হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার প্রতিবাদে শুক্রবার ফিলিস্তিনিরা ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে। এই ইস্যুটি নিয়ে জাতিসঙ্ঘে একা হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ, ফিলিস্তিনীদের রকেট হামলা ও ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত দুই জন নিহত ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এক জরুরি বৈঠকে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সংস্থাটিতে এখন একা হয়ে পড়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ও জেরুসালেমে একদিনের বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও সহিংসতাকালে গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলে অন্তত তিনটি রকেট ছোঁড়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটিকে ইসরাইলের আয়রো ডোম এন্ট্রি মিসাইল সিস্টেম ভূপাতিত করেছে। আরেকটি রকেট পরিত্যক্ত স্থানে পড়েছে কিন্তু তৃতীয়টি ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী সেরোতে পড়েছে। যদিও ইসরাইলের সরকারি বেতার জানিয়েছে, রকেট বিস্ফোরিত হয়নি এবং এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই রকেট হামলার পর ইসরাইল গাজা ভূখণ্ডের দুটি হামাস মিলিটারি স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানায়, এই হামলায় ১৪ জন আহত হয়েছে। দিনের শুরুতে ইসরাইলি বাহিনরি সঙ্গে সংঘর্ষে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়। গাজা ও ইসলাইলকে বিভক্তকারী বেড়ার কাছে এই সংঘর্ষ ঘটে।

No comments

Powered by Blogger.