বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে আমন ও রবিশস্যের ব্যপক ক্ষতি

বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমন ও রবিশস্যের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) থেকে সংবাদদাতা মো. আব্দুল আউয়াল জানান, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে তিনদিনের গুঁড়ি গুঁড়ি ও টানা বৃষ্টিতে পাকা আমন ধান ও সবজিসহ রবিশস্যের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কৃষকের পাকা আমন ধান মাটিতে নেতিয়ে পড়ছে। কোন কোন স্থানে ক্ষেতে ধান কেটে রেখেছে কৃষকরা। কাটা ধানের সারির উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বৃষ্টির পানি। অন্যদিকে রাজিবপুর ও উচাখিলার চরে মওসুমি শাকসবজির ও রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ৫শ হেক্টর শিমের মাচায় প্রস্ফুটিত শিম ফুল বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। ৩শ হেক্টর আগাম জাতের আলু ক্ষেতের প্রায়টিতে পানি জমে যাওয়ায় আলো পচে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ৪শ হেক্টর বেগুন ক্ষেতের কোন কোন স্থানে পানি জমে থাকায় ফলন্ত বেগুন গাছ নেতিয়ে পড়ছে।
কয়েকটি পেঁপে বাগানে পানি জমে থাকায় গাছ গুলো নেতিয়ে পড়ছে। এছাড়াও ফুলকপি, বাঁধাকপি,মরিচ, ভূট্টা, পেয়াজ, রশুন, মুলা, ছোলা, মসুর ইত্যাদি সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সবজি ও বোর ধানের চারা পানিতে তলিয়ে গেছে। শ্রবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। বৃষ্টির কারণে তারা কাজ না পেয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছে। তবে গ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টিতে ভিজেও অনেক দিনমজুরদের কাজ করতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, আমন ধান ও সবজিসহ রবিশস্যের ক্ষতির আশঙ্কাতো রয়েছেই। তবে এখনো বৃষ্টিপাত থেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণটা কৃষক পুষিয়ে নিতে পারবে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর বেশঠান্ডা পরার আশঙ্কা রয়েছে। এতে সবজি কোল্ডইনজুরিতে পরতে পারে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি বিভাগ মাঠ পরিদর্শন করে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। নোয়াখালী থেকে মুহাম্মদ হানিফ ভুইয়া জানান, ভারি বর্ষণে নোয়াখালীতে রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সাগরে সৃষ্ট নিম্মচাপের প্রভাবে নোয়াখালীতে ভারিবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এতে রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বোরো ধানের চারা,শাকসবজিসহ রবিশষ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক সবজি ও বোরো ধান চারা পানিতে তলিয়ে যায়।

No comments

Powered by Blogger.