মাঠের বাইরে ওরা বন্ধু

ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান। মাঠের লড়াই দু’দেশের কেউই মাঠের বাইরে নিয়ে যাননি কখনও। বরং ফাইনাল ম্যাচ শেষে দু’দলেরই খেলোয়াড়দের দেখা গেছে হাসিখুশি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিরাট কোহলিও মাঠে আড্ডা জমিয়েছিলেন পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে। এ নিয়ে যে কেউ কেউ ভুরু কোঁচকাননি তা নয়। কিন্তু মাঠের বাইরে যে তারা বন্ধু, তা আবারও প্রমাণ করলেন পাকিস্তানের আজহার আলী। দেশে ফিরে ভাসলেন শুভেচ্ছার জোয়ারে। আপ্লুত গোটা দল। তার আগে ইংল্যান্ডে ভারতীয় দলের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে রীতিমতো খুশি আজহার আলীর দুই ছেলে। হতে পারে পাকিস্তানি ক্রিকেটারের ছেলে। কিন্তু তারাও যে ধোনি, বিরাটদের ফ্যান। তাই ছেলেদের সঙ্গে ধোনি, বিরাট ও যুবরাজের ছবি নিজের মোবাইল ক্যামেরায় ধরে রাখলেন আজহার। দেশে ফিরে সেই ছবি পোস্ট করলেন টুইটারে। সেখানে তিনি লেখেন, ‘এসব কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে ধন্যবাদ, যারা আমার ছেলেদের সময় দিয়েছেন। ওরা খুব খুশি।’
সামিকে সামলালেন ধোনি
এক পাকিস্তানি সমর্থক শুরু করলেন মাঠের বাইরে স্লেজিং। বিরাটরা তখন একে একে সিঁড়ি বেয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরছেন। সুযোগটা কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন ওই পাক সমর্থক। বিরাট, বুমরাহ, ভুবনেশ্বর যখন সিঁড়ি বেয়ে উঠছেন, তখন ভারত অধিনায়ককে টিপ্পনি কেটে ওই পাক সমর্থক প্রথমে বলেন, ‘অহঙ্কার কোথায় গেল বিরাট? সব তো ভেঙে খানখান!’ কোহলি এ কথায় কান দেননি। ড্রেসিংরুমে চলে যান। ওই পাক সমর্থক এবার চিৎকার শুরু করেন, ‘বাপ কৌন হ্যায়?’ পাক সমর্থকের এ আচরণে মেজাজ হারান ভারতীয় ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ সামি। ঘুরে দাঁড়িয়ে ওই পাক সমর্থককে কিছু বলার জন্য উদ্যত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই সামলে নেন ধোনি। তিনি সামিকে আটকে দেন। নিয়ে যান ড্রেসিংরুমে। ভাগ্যিস, ধোনি ছিলেন সামনে। তাই অপ্রীতিকর কিছু ঘটার আগেই থামানো গেছে। না হলে হারার পর নতুন বিতর্ক তৈরি হতে সময় লাগত না। তবে ভিডিওতে এটা পরিষ্কার নয় যে, সামি পাকিস্তান সমর্থককে পাল্টা কিছু বলেছিলেন কিনা। ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.