দৃকের কর্মকর্তা ইরফানুল হত্যায় মামলা হয়েছে

ইরফানুল ইসলাম
আলোকচিত্র ও শিল্পকর্ম প্রদর্শন প্রতিষ্ঠান দৃক গ্যালারির প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইরফানুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ সোমবার তাঁর ভাই ইমদাদুল ইসলাম কলাবাগান থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। সেখানে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে পেশাদারি খুনিরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। শনিবার বেলা একটার দিকে আলোকচিত্র ও শিল্পকর্ম প্রদর্শন প্রতিষ্ঠান দৃক গ্যালারির মহাব্যবস্থাপক রেজাউর রহমানের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ওই প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইরফানুল ইসলাম ৩ লাখ ৮ হাজার টাকার একটি চেক ভাঙাতে শনিবার বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়ক-সংলগ্ন অফিস ছাড়েন। টাকা তোলার পর ১১টা ৪৮ মিনিটে তাঁর সঙ্গে দৃক গ্যালারি অফিসের শেষবারের মতো যোগাযোগ হয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ। শনিবারই বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবিদ হোসেন খান ইরফানুলের লাশ উদ্ধার করেন। তখনো লাশের পরিচয় ছিল অজানা। পুলিশের ধারণা, অন্য কোথাও খুন করে ইরফানুলের লাশ জালকুড়ির ঝোপে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ১৫০ শয্যা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, প্রথমে মাথায় আঘাত ও পরে শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর মাথার পেছনের দিকে আঘাতের চিহ্ন ও পিঠে আঁচড়ের দাগ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জে লাশ পাওয়ার পাঁচ ঘণ্টা আগেও শনিবার দুপুরে ঢাকার ধানমন্ডির ৮ নম্বর সড়কে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় ইরফানুল ইসলামকে দেখা গেছে বলে কলাবাগান থানার ওসি গতকাল রোববার রাতে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.