অভিষেকেই ফিকরুর গোল

বক্সের মধ্যে চট্টগ্রাম আবাহনীর মিডফিল্ডার শরীফুলকে টেনে ধরে
এভাবেই পেনাল্টি উপহার দিলেন মুক্তিযোদ্ধা গোলরক্ষক মামুন।
ফিকরু জেইদার শরীর বেয়ে দরদরিয়ে ঘাম ঝরছে। সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকে কেনা শেখ রাসেলের এই ইথিওপিয়ান ফরোয়ার্ড ম্যাচ শেষে ডাগ আউটে এসে সবার সঙ্গে হাত মেলালেন। ভারতীয় সুপার লিগে (আইএসএল) অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতার সাবেক এই ফুটবলারের চোখেমুখে তখন স্বস্তি। স্বাধীনতা কাপ দিয়ে কাল বাংলাদেশে ক্যারিয়ার শুরু হলো ফিকরুর। প্রথম ম্যাচে গোলও পেলেন। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কাল ফিকরু ও পল এমিলির গোলে আরামবাগকে ২-১ গোলে হারিয়েছে শেখ রাসেল। আদালতের নিষেধাজ্ঞায় শেখ রাসেল মাঠে নামাতে পারেনি জামাল ভূঁইয়া ও আলমগীর রানাকে। জামালের জায়গায় খেলেছেন ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিলি। খারাপ খেলেছেন বলা যাবে না। ১-১ ম্যাচে ৮১ মিনিটে শেখ রাসেলের জয়সূচক গোলটি করেছেন পল এমিলিই। দ্বিতীয় মিনিটে আরামবাগের ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার ইয়োকো সামনিকের থ্রু ধরে কেস্টার আকন এগিয়ে নেন আরামবাগকে (১-০)। তবে ৪ মিনিটেই ফিকরুর গোল ফেরায় শেখ রাসেলকে। ফ্রি কিক থেকে মিশুর শট, বক্সের মধ্যে দাঁড়ানো ফিকরু জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসা আরামবাগের গোলরক্ষক মিতুলকে ফাঁকি দিয়ে বল পাঠান জালে। ম্যাচ শেষে ফিকরুকে খুশিই দেখাল, ‘প্রয়োজন ছিল ৩ পয়েন্টের। সেটা পেয়ে আমরা খুশি। প্রতি ম্যাচেই গোল করতে চাই। প্রথম ম্যাচে মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হলেও আশা করি পরের ম্যাচগুলোতে আর সমস্যা হবে না।’ আরামবাগের কোচ সাইফুল বারী টিটু অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার তৃপ্তি পেতেই পারতেন। কিন্তু মাঝমাঠে ভালো খেললেও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় তা আর হয়ে ওঠেনি।

No comments

Powered by Blogger.