আর্সেনিকজনিত রোগে বছরে ৪৩০০০ মানুষের মৃত্যু

আর্সেনিক মুক্ত পানি সংগ্রহ করছেন এরা।
দেশের আর্সেনিক সমস্যা ২০ বছর আগে যে অবস্থায় ছিল, এখনো সে অবস্থায় রয়েছে। মূলত রাজনৈতিক কারণে এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। প্রতিবছর ৪৩ হাজার মানুষ আর্সেনিকজনিত রোগে মারা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়। সংবাদ সম্মেলনে ‘স্বজনপ্রীতি এবং অবহেলা: বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের খাবার পানিতে আর্সেনিক প্রতিরোধে ব্যর্থ প্রচেষ্টা’ শিরোনামের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিনিধিরা বলেন, দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ আর্সেনিক ঝুঁকির ভেতর রয়েছে। প্রতিবছর ৪৩ হাজার মানুষ আর্সেনিকজনিত রোগে মারা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের ৬৫ হাজার মানুষ আর্সেনিকজনিত রোগে ভুগছে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মনে করে, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিনিধিরা বলেন, নিরাপদ বা আর্সেনিকমুক্ত পানির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে গভীর নলকূপ দেওয়া হয়। এতে দেখা যাচ্ছে, এই নলকূপ পাওয়ার ক্ষেত্রে বা বসানোর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করে। সাংসদ বা উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যানরা এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে বলা হয়, কার্যত আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনো চিকিৎসাই আপাতত হচ্ছে না। সুতরাং, রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়টি এখানে অবান্তর।

No comments

Powered by Blogger.