নেপালে ভারতের সব টিভি চ্যানেল বন্ধ

নেপালের ক্যাবল টিভি অপারেটররা দেশটিতে ভারতের সব টিভি চ্যানেল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন।
আজ রোববার বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সীমান্ত দিয়ে নেপালে পণ্য আসার ক্ষেত্রে ভারতের ‘অনানুষ্ঠানিক অবরোধ’ আরোপের প্রতিবাদে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন তাঁরা। ওই ‘অনানুষ্ঠানিক অবরোধ’ আরোপের ফলে ভারত-নেপাল সীমান্তে পণ্যবাহী অনেক ট্রাক আটকে আছে। নেপালের অভিযোগ, নতুন সংবিধানের বিরুদ্ধে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তরাই অঞ্চলে থারু ও মদেশীয়দের বিক্ষোভের কারণেই ওই অবরোধ আরোপ করা হয়েছে।  অন্যদিকে, এ অভিযোগ অস্বীকার করে ভারত বলছে, নিরাপত্তার কারণে ট্রাকচালকেরা যেতে চাইছেন না বলেই পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এদিকে নেপালে ভারতবিরোধী মনোভাব বাড়ার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত। নেপালে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রঞ্জিত রাই গত শুক্রবার বলেন, ‘ভারতবিরোধী মনোভাব বাড়ায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই ধরনের মনোভাব উৎসাহিত করা ভারত ও নেপাল উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। নেপালের পার্লামেন্টে সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয় নতুন সংবিধান। ওই সংবিধান প্রণয়ন-প্রক্রিয়া দেশটিতে ব্যাপক মতবিরোধের সৃষ্টি করে। সংবিধান নিয়ে প্রভাবশালী প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গেও নেপালের তিক্ততা সৃষ্টি হয়। নেপালের নতুন সংবিধানের বিষয়ে ভারতের মত, এটা যথেষ্ট ব্যাপকতার ভিত্তিতে হয়নি। সংবিধানকে কেন্দ্র করে দেশটিতে বিশেষত সীমান্তের তরাই অঞ্চলের সহিংসতার আঁচ ভারতেও লাগবে। এদিকে তরাইয়ের বাসিন্দা জাতিগত মদেশি ও থারু সংখ্যালঘুদের আশঙ্কা, নতুন সংবিধানের অধীনে নেপাল বিভিন্ন প্রদেশে ভাগ হলে তারা রাজনৈতিকভাবে প্রান্তিক হয়ে পড়বেন, যদিও তাঁরা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ। মদেশিদের সঙ্গে ভারতের কিছু জায়গায় জাতিগত ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.