যুদ্ধাপরাধের যুদ্ধাপরাধের রুয়ান্ডার গোয়েন্দাপ্রধান লন্ডনে গ্রেপ্তার

ইমানুয়েল কারেনজি কারাকে
রুয়ান্ডার জাতীয় গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তা বিভাগের মহাপরিচালক জেনারেল ইমানুয়েল কারেনজি কারাকেকে লন্ডনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানান। তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে স্পেনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। খবর এএফপির।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, জেনারেল কারাকেকে গত শনিবার হিথরো বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আগামী (আগামীকাল) বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।’
কারাকের গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জানায়, ৫৪ বছর বয়সী রুয়ান্ডার এই জেনারেলকে আদালতে হাজির করার আগে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আওতায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
কারাকেকে গ্রেপ্তারের এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন রুয়ান্ডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইস মুশিকিওয়াবো। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, ‘পশ্চিমারা এককাট্টা হয়ে আফ্রিকানদের মর্যাদা হানি করছে। এটি বরদাশত করা যায় না।’
জেনারেল কারাকে রুয়ান্ডার জাতীয় গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তা বিভাগের মহাপরিচালক। ২০০৮ সালে একজন স্প্যানিশ বিচারক তাঁকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। ১৯৯০-এর দশকে রুয়ান্ডার সামরিক গোয়েন্দাপ্রধানের দায়িত্বে থাকার সময় তিনি ৪০ জন সেনা কর্মকর্তাকে গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
১৯৯৪ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে প্রায় আট লাখ রুয়ান্ডানকে হত্যা করে হুতু চরমপন্থীরা। নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই সংখ্যালঘু তুতসি সম্প্রদায়ের এবং রাজনৈতিকভাবে উদারপন্থী হুতু ছিলেন। এঁদের মধ্যে স্পেনের নয়জন নাগরিকও ছিলেন। তাঁরা শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করতে রুয়ান্ডা গিয়েছিলেন।
ওই সময় রুয়ান্ডার সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান ছিলেন জেনারেল কারাকে। তুতসি নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের আন্দোলন ‘রুয়ান্ডা প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট (আরপিএফ)’ উগান্ডা থেকে দেশটিতে প্রবেশ করে দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হয়।

No comments

Powered by Blogger.