গ্রেপ্তার আতঙ্ক কাটছে না বিরোধী প্রার্থীদের by কাফি কামাল

প্রচার-প্রচারণায় হাতে সময় মাত্র ৭ দিন। সরকারি দল সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা দাবড়ে বেড়াচ্ছেন মাঠ। সমানে চালাচ্ছেন গণসংযোগ। তাদের পক্ষে ভোট চেয়ে মাইকিং, মিছিল ও গণসংযোগে মুখর সরকারদলীয় কর্মী-সমর্থকরা। অন্যদিকে বিরোধী জোট সমর্থিত প্রার্থীদের বেশির ভাগই এখন পর্যন্ত আত্মগোপনে। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অনেকেই এখনও কারাগারে। মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে দল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের কর্মীরাও। প্রার্থীদের দু-একজন সাহস করে প্রচারণায় নামলেও তাদের পিছু তাড়া করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। অন্যরা চেষ্টা করছেন উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনের। সেখানেও কাটছে না অনিশ্চয়তা। বিএনপি নেতাদের অনেকেই ধারণা করেছিলেন, মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাস জামিন পেলে তারই ধারাবাহিকতায় অন্যদের জামিনের পথ সুগম হবে। কিন্তু মির্জা আব্বাসের জামিনের বিষয়টি ঝুলে থাকায় অন্যরা সামনে আসতে পারছেন না। এদিকে প্রতিদিন নিয়ম করে তাদের বাসা-বাড়িতে যাচ্ছে পুলিশ। ফলে প্রচারণা চালানো দূরের কথা প্রকাশ্যেই আসতে পারছেন না তারা। কাটিয়ে উঠতে পারছেন না গ্রেপ্তার আতঙ্ক। নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের ভরসা এখন স্বজন ও কর্র্মী-সমর্থকরা। কিন্তু তারাও নেই স্বস্তিতে। কেবল গ্রেপ্তার আতঙ্কই নয়, ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে তাদের। বাধা দেয়া হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন প্রার্থীর পরিবারের সদস্য, স্বজন ও কর্মী-সমর্থকরা। রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে আয়োজিত প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীনের কাছে ভয় আর আতঙ্কের কথাই জানিয়েছিলেন প্রার্থীরা। সেদিন বিরোধী প্রার্থীদের সঙ্গে একই সুরে এ আতঙ্কের কথা জানিয়েছিলেন সরকারি দলের সমর্থন বঞ্চিত কিছু কাউন্সিলর প্রার্থীও। প্রার্থীদের বিনা কারণে হয়রানি না করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতি নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তারপর কেটে গেছে এক সপ্তাহের বেশি সময় কিন্তু পরিস্থিতির কোন উন্নতি ঘটেনি। সিইসির নির্দেশনা গুরুত্ব পায়নি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে। যদিও নির্বাচনে জয়-পরাজয় দুটোই ‘সাপে বর’ বিবেচনা করে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও নির্বাচনী মাঠ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত একাধিক প্রার্থী, তাদের স্বজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
কেবল কাউন্সিলর প্রার্থীই নয়, মেয়র প্রার্থীরাও পার করছেন প্রতিকূল পরিস্থিতি। ঢাকা দক্ষিণে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাস আগাম জামিনের জন্য হাজির হয়েছিলেন উচ্চ আদালতে। প্রথম দিন রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষা এবং দ্বিতীয় দিন বিভক্ত রায় পেয়েছেন উচ্চ আদালত থেকে। গ্রেপ্তার-হয়রানি না করার জন্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি নির্দেশনার কারণে দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরেছেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ ও গণমাধ্যমে কথা না বলার নির্দেশনা থাকায় মুখ খুলতে পারছেন না তিনি। ফলে নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় হতে পারছেন না এ মেয়র প্রার্থী। অন্যদিকে ঢাকা উত্তরে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী প্রচারণায় মাঠে সক্রিয় আছেন। কিন্তু গ্রেপ্তার আতঙ্কের কারণে পাশে পাচ্ছেন না নেতাকর্মীদের। শনিবার গাবতলী এলাকায় প্রচারণা চালাতে গিয়ে তাবিথ আউয়াল আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমাদের নেতাকর্মী প্রতিনিয়ত গুম-খুন হচ্ছেন, মামলায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন। এখনও গুম-হত্যার শঙ্কা কাটেনি। এ অবস্থায় আমি নেতাকর্মীদের গুম হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছি।’ ঢাকা উত্তরে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ ও দাখিল করেছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু। পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার ছেলে তাবিথ আউয়াল দলের সমর্থন পেয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ছেলের পক্ষে প্রচারণার মাঠে নামতে পারেননি তিনি। ওদিকে ঢাকা দক্ষিণে মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন তার সহধর্মিণী আফরোজা আব্বাস। তিনি অভিযোগ করেছেন পুলিশি হয়রানি, প্রচারকাজে বাধা ও ভয়-ভীতি দেখানোর। ইতিমধ্যে তার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার সময় পেছন   থেকে বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। কয়েক জায়গায় প্রচারে বাধা ও হামলার ঘটনাও ঘটেছে। একইভাবে বংশালে মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে গণসংযোগ করার সময় ছাত্রদলের একটি টিমকে বাধা দেয় পুলিশ। মির্জা আব্বাসের নির্বাচনী সেল থেকে পাঠানো বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, শনিবার বিকালে প্রচারণাকালে জজকোর্ট এলাকায় কয়েকজন সমর্থককে মারধর করা হয়েছে এবং প্রচারণার মাইক ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার রাতে খিলগাঁও বাগিচা মোড়ে পোস্টার টানানোর সময় আব্বাসের প্রচারকর্মী শরীফুল ইসলাম উজ্জ্বলের উপর হামলা করে সরকার সমর্থকরা। পরে শাজাহানপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে দুটো মামলা করে। এ ছাড়া ঝিলপাড়ে সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও কিছু স্থানীয় সন্ত্রাসী নির্বাচনী প্রচার কাজে বাধা দিয়ে একটি রিকশা ভ্যানে স্থাপিত মগ প্রতীক ভেঙে দেয় এবং হুমায়ুন নামে মির্জা আব্বাসের এক সমর্থককে মারধর করে। গতকাল সকালে ঝিগাতলায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা খায়ের মহিউদ্দিনের উপর হামলা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা।
সমর্থিত প্রার্থীদের নাম প্রকাশের পর আদর্শ ঢাকা আন্দোলন ও বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছিল, পরিস্থিতি বুঝে ধীরে ধীরে প্রার্থীরা প্রচারে নামবেন। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। বিরোধী জোট সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে অন্তত ৫৪ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ফৌজদারি মামলা। এদের মধ্যে একজন সর্বোচ্চ ৪৭ মামলার আসামি। আশঙ্কা-আতঙ্কের মধ্যেও তাদের কেউ কেউ নির্বাচনী প্রচারণার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ঢাকা উত্তর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী এএলএম কাওছার আহমেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় মিরপুর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাবউদ্দিনকে গণসংযোগ চালানোর সময় গ্রেপ্তার করে মিরপুর থানা পুলিশ। একইভাবে প্রচারণা চালানোর সময় শনিবার রাত ৮টায় রাজধানীর চামেলীবাগ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বিএনপি নেতা কাজী হাসিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পল্টন থানা পুলিশ। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. নাঈমের বাসায় শুক্রবার রাতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এসব ঘটনার পর যারা প্রকাশ্যে আসার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তারাও ফের আত্মগোপনে চলে গেছেন। ঢাকা দক্ষিণ ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মোহন জানান, বাসার সামনে সব সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার পরও তাদের এমন আচরণ দেখে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, সরকার বড় না পুলিশ বড়। তিনি বলেন, মামলার কারণে প্রকাশ্যে জনসংযোগ করতে পারছি না। আমাদের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের জামিনের বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় আমরাও জামিন পাচ্ছি না। মামলায় জামিন না পাওয়ায় গ্রেপ্তারের ভয়ে এখনও প্রচারণা চালাতে পারেননি ঢাকা উত্তর সিটির ২৭নং ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ২৪নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুল আলম মন্টু, ঢাকা দক্ষিণ ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হারুন-অর রশিদ, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী লোকমান হোসেন ফকির। ঢাকা দক্ষিণের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হামিদুল হকের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৮টি মামলা। পুলিশ তাকে খুঁজছে। দলের সমর্থন পেলেও গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। অবিভক্ত ঢাকা সিটির প্যানেল মেয়র ছিলেন দক্ষিণে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শামসুল হুদা। তার অভিযোগ এলাকায় তার পোস্টার পর্যন্ত সাটাতে দিচ্ছে না। প্রতিরাতেই তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। যাদের নামে মামলা নেই হয়রানি থেকে তাদেরও রেহাই মিলছে না। ঢাকা উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সেগুনের নামে মামলা বা কোন জিডিও নেই। কিন্তু প্রতিদিনই তার বাসায় গিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছে পুলিশ। ফলে গ্রেপ্তারের ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছেন না তিনি। ঢাকা উত্তরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণায় নিয়োজিত কর্মী-সমর্থকদের পরোক্ষভাবে হুমকি দিচ্ছেন প্রভাবশালী প্রার্থীরা। আদর্শ ঢাকা আন্দোলন সূত্রে জানা গেছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের আইডি কার্ডের ফটোকপি ও ফোন নম্বর সংগ্রহের ঘটনাও ঘটেছে। মির্জা আব্বাসের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, এদিকে শনিবার বিকাল ৪টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপি নেতা মো. আলমগীরের বাসায় যৌথ অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব ও পুলিশ। একই সময়ে যাত্রাবাড়ী থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শ্যামলের বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় বাসায় ভাঙচুর ও প্রতিবেশীদের হুমকি-ধমকি দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এদিকে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্র জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় লালবাগ থানা ছাত্রদলের বাসায় যৌথ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও র‌্যাব। গণসংযোগকালে ঢাকা দক্ষিণের ২, ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী শামীমা আক্তারের নির্বাচনী পরিচালক সালেহ আহমেদকে গোড়ান এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোশাররফ হোসেন চঞ্চলের নির্বাচনী গণসংযোগকালে শাজাহানপুর আমতলা থেকে তার ৪ সমর্থককে পুলিশ আটক করেছে পুলিশ। এদিকে কোথাও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করার সময় অতিরিক্ত লোক সংযোগের কথা বলে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। নয়াটোলা পাগলা মাজার এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও রমনা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ আমীর হোসেন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে প্রচারণা চালাতে বারণ করেন। একপর্যায়ে কর্মীদের আটকের চেষ্টা করলে গণসংযোগ বন্ধ করে দেন শেখ আমির হোসেন। কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের স্বজনরা জানান, মামলার কারণে তারা এলাকার বাইরে আছেন। যে কারণে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারছেন না। তাদের বাসার সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স রাখা হয়েছে। বাসায় কোন লোকজন এলেই ফেরার পথে তাদের জেরা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। ফলে নির্বাচনী প্রচারণায় তাদের কর্মী-সমর্থকরাও সক্রিয় মাঠে নামতে পারছেন না। যে কারণে কর্মীরা প্রচারণা চালাতে পারছেন না।
আদর্শ ঢাকা আন্দোলন ও বিএনপি নেতারা অভিযোগ করছেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে বারবার দাবি জানানো হলেও কোন প্রতিকার মিলছে না। এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তরে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সিটি নির্বাচনে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। বিএনপির প্রার্থীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি করা হচ্ছে। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বারবার বলার পরও তারা সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারেননি। কমিশন আমাদের অভিযোগ আমলেই নিচ্ছে না।

No comments

Powered by Blogger.