ইরানের পরমাণু চুক্তির তীব্র বিরোধিতা নেতানিয়াহুর

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ক্ষমতাধর ৬ রাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের প্রাথমিকভাবে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি একে ‘খারাপ চুক্তি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে নেতানিয়াহুর পরমাণু চুক্তি নিয়ে মতপার্থক্য হলেও, দীর্ঘদিনের বন্ধু-রাষ্ট্র ইসরাইলের পাশে থাকার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন ওবামা। তা সত্ত্বেও থেমে থাকেননি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহু চুক্তির কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, এ চুক্তি ইরানকে তার পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরাবে না। তিনি বলেন, ইরানে বিশাল পরমাণু অবকাঠামো রয়েছে। একটি ‘সেন্ট্রিফিউজ’ও ধ্বংস করা হয়নি। ভূগর্ভে ইরানের অবৈধভাবে নির্মিত পরমাণু স্থাপনাসহ একটি পরমাণু কেন্দ্রও বন্ধ করা হয়নি। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী আরও অভিযোগ আনেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে হাজার হাজার সেন্ট্রিফিউজ ঘুরতে থাকবে। এটা খারাপ চুক্তি। জটিল এ পরমাণু চুক্তির একটি অংশ অনুযায়ী, দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ইউরেনিয়াম সেন্ট্রিফিউজ বন্ধ করতে হবে ইরানকে। কারণ, সেন্ট্রিফিউজের মাধ্যমে পরমাণু কেন্দ্রের জন্য জ্বালানি ও পরমাণু বোমার রসদ তৈরি করা সম্ভব। এ সেন্ট্রিফিউজগুলো সক্রিয় থাকলে, ১০ বছরে ৬ হাজার ১০৪টি থেকে প্রায় ১৯ হাজার পরমাণু বোমার জ্বালানি তৈরি করা যাবে। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল বিরোধী অবস্থানে। ওবামা অবশ্য নেতানিয়াহুকে বারবারই আশ্বস্ত করছেন। ওদিকে এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এ পরমাণু চুক্তির শর্তসমূহ মেনে চলার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও মন্তব্য করেছেন। গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডে ইরান ও ক্ষমতাধর ৬ রাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি অনেকাংশে বন্ধ করলে, দেশটির ওপর থেকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপানো অর্থনৈতিক অবরোধসমূহ প্রত্যাহার করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.