গণতন্ত্র বিকাশে ভিন্নমত ও রাজনৈতিক সংলাপ অপরিহার্য: বার্নিকাট

মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় কর্মরত মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাড ও
তাঁর সহকর্মীদের সই করা ঐতিহাসিক টেলিগ্রাম আজ রোববার দুপুরে মুক্তিযুদ্ধ
জাদুঘরে হস্তান্তর করেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। ছবি: প্রথম আলো
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, ভিন্নমতের প্রকাশ ও বিরোধীদের অধিকার চর্চার পর্যাপ্ত ও নিরাপদ সুযোগ এবং রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই গণতন্ত্র পুরোপুরি বিকশিত হতে পারে। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেন মার্শা বার্নিকাট। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় কর্মরত মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাড ও তাঁর সহকর্মীদের সই করা টেলিগ্রাম জাদুঘরে হস্তান্তর করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। টেলিগ্রাম গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সারোয়ার আলী, রবিউল হুসাইন, জিয়াউদ্দীন তারিক আলী ও আক্কু চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মার্শা বার্নিকাট বলেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এক পবিত্র স্থান। এটি একাত্তরের আখ্যান ও বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতীক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশ্বাসী অগণিত মানুষের কাছে এ জাদুঘর এক প্রেরণার উৎস। স্বাধীনতার জন্য আপনারা যুদ্ধ করেছিলেন। আর স্বাধীনতা গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
আর্চার কে ব্লাড ও তাঁর সহকর্মীদের সই করা ওই টেলিগ্রামকে ‘বিশেষ উপহার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সই করা ১৯৭১-এর বিখ্যাত এই টেলিগ্রাম এক সত্যায়িত উপহার। এই টেলিগ্রামে ওই কর্মকর্তারা বাংলাদেশ প্রশ্নে মার্কিন নীতির বিপক্ষে নিজেদের ভিন্নমত তুলে ধরেছিলেন।
মার্শা বার্নিকাট বলেন, পররাষ্ট্র সার্ভিসের প্রত্যেক কর্মকর্তার জন্য টেলিগ্রামটি ঐতিহ্যের স্মারক। বিদ্যমান শক্তি ও প্রশাসনিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া যে গুরুত্বপূর্ণ, এটি তা সুস্পষ্টভাবে মনে করিয়ে দেয়।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, গণতন্ত্র তখনই পুরোপুরি বিকশিত হতে পারে, যখন তা ভিন্নমতের প্রকাশ ও বিরোধীদের অধিকার চর্চার পর্যাপ্ত ও নিরাপদ সুযোগ এবং রাজনৈতিক সংলাপ নিশ্চিত করে।

No comments

Powered by Blogger.