সঙ্কট সমাধানে পৃথক প্রস্তাব

চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিকল্পধারার সভাপতি প্রফেসর বদরুদ্দোজা চৌধুরী। এছাড়া দেশে নির্বাচনের প্রয়োজন আছে কিনা তা যাচাইয়ে গণভোটের আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে তারা এসব প্রস্তাব দেন। বি. চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে- বন্ধু রাষ্ট্রের কূটনীতিকরা দেশের সঙ্কট সমাধানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন ‘প্রেসিডেন্টের অধীনে সবগুলো দলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচন’ প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন। কিন্তু আমি মনে করি- বিএনপি চেয়ারপারসনের মেনে নেয়া প্রস্তাবের সঙ্গে আরও তিনটি শর্ত যুক্ত করলে স্থায়ীভাবে চলমান সঙ্কটের সমাধান হবে। এরমধ্যে প্রথমটি হলো- যেহেতু দশম জাতীয় সংসদ অবৈধ তাই নবম সংসদের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়েই প্রেসিডেন্টের অধীনে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। দ্বিতীয়. গঠিত ওই জাতীয় সরকারে যারা থাকবেন তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তৃতীয়. জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার পর তার প্রধান কাজ হবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন এবং সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দেয়া। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশ এখন গণতন্ত্রের অপেক্ষায়। যে দেশের ৯০ ভাগ মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে, সেখানে কোনভাবেই গণতন্ত্র ধ্বংস করা যাবে না। পেট্রল বোমা মেরে সহিংসতা করাকে যেমন আন্দোলন বলা যায় না। ঠিক তেমনি বিচারবহির্ভূতভাবে একজন মানুষ হত্যা করাও গণতন্ত্রকেই হত্যা করা। ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন যদি বিতর্কিত না হয়ে থাকে, তাহলে এখন নির্বাচনের প্রয়োজন আছে কিনা তা যাচাই করতে একটি গণভোট দিন। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান চলে আসবে। আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল হক, এ্যাব-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ ন হ আক্তার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

No comments

Powered by Blogger.