মিরপুরে বন্দুকযুদ্ধে আরো ১ জন নিহত

রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। গত বুধবার রাত ৩টায় কাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আনুমানিক ২১ বছর বয়সী নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। তার বুকের দুইপাশসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে সাতটি গুলি লেগেছে। পুলিশের দাবি, তাদের ওপর পেট্রলবোমা ছুড়লে আত্মরায় গুলি চালালে ওই যুবক নিহত হন।
মিরপুর থানার এসআই মোক্তার হোসেন জানান, বুধবার রাত ৩টায় মিরপুরের কাজীপাড়ার পূর্ব মনিপুর এলাকায় পুলিশের একটি টহল গাড়ি ল্য করে ককটেল নিপে করা হয়। পুলিশ সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে গেলে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আত্মরার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। একপর্যায়ে অন্যরা পালিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ একজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে নিয়ে রাখা হয়।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহত যুবক হরতাল-অবরোধে পেট্রলবোমা ও ককটেল ছুড়ে নাশকতা সৃষ্টিকারী বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করতে চেষ্টা চলছে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহতের শরীরের সাতটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। বাম হাতে, বুকের দুই পাশে ও পাঁজরে গুলি লেগেছে।  এর আগে শনিবার রাতে মিরপুরের একটি মেস থেকে শিবির নেতা এমদাদ উল্লাহকে (২৩) আটকের পর রূপনগর বেড়িবাঁধে পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন। রোববার দুপুরে নিহতের ভাই হেদায়েত উল্লাহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। জানা গেছে, এমদাদ উল্লাহ জামালপুর সদর উপজেলার বানিয়ারপাড় গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে।
তিনি ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী (পশ্চিম) শাহআলী থানার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতিও ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.