যুক্তরাষ্ট্রে ফের শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ

এবার যুক্তরাষ্ট্রের সেইন্ট লুইস শহরের বার্কলিতে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৮ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ টিনএজ কিশোর অ্যান্টোনিও মার্টিন। পুলিশের পক্ষ থেকে আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, অস্ত্রধারী ওই কিশোর এক পুলিশ কর্মকর্তার দিকে পিস্তল তাক করায় আত্মরক্ষার জন্য তিনি গুলি চালাতে বাধ্য হন। ৩৪ বছর বয়সী ওই পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। বার্কলির মেয়র থিওডর হসকিন্স বলেন, ফার্গুসন কিংবা নিউ ইয়র্কে এরিক গার্নারের ঘটনার সঙ্গে এ ঘটনাকে কোনভাবে তুলনাও করা যায়না। হসকিন্স জানিয়েছেন, এর আগে ফার্গুসনে পুলিশের গুলিতে মাইকেল ব্রাউন নিহতের ঘটনায় কোন ভিডিও ফুটেজ না থাকলেও, অ্যান্টোনিও মার্টিনের পিস্তল বের করার দৃশ্য ধরা পড়েছে গোপন নজরদারির জন্য ব্যবহৃত ক্যামেরায়। একটি দোকানে চুরির বিষয়ে মার্টিন ও অপর আরেক ব্যক্তিকে প্রশ্ন করছিলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে ওই কিশোর পিস্তল বের করে। এদিকে এ ঘটনা নতুন করে ক্ষোভ উস্কে দিয়েছে কৃষ্ণাঙ্গ জনসাধারণের মধ্যে। গত মঙ্গলবার অ্যান্টোনিও মার্টিনকে গুলি করে হত্যার পর প্রায় ৩০০ জন গ্যাস স্টেশনের কাছে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পুলিশের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। অনেকে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারেন পুলিশের অবস্থান লক্ষ্য করে। এ ঘটনায় সেইন্ট লুইস শহরতলির মেয়র সাধারণ মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল রাতে তুলনামূলকভাবে অল্প সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভে জড়ো হন। মহাসড়কেও বিক্ষোভ করেন অনেকে এবং কিছু সময়ের জন্য স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হয়। একই সঙ্গে তিনি আরও একটি তুলনার বিষয় তুলে ধরেন বার্কলির মেয়র। তিনি জানান, ফার্গুসনে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য অধিকাংশ শ্বেতাঙ্গ পুলিশ দায়িত্ব পালন করেন। অন্যদিকে, তার শহরের পুলিশ কর্মকর্তাদের ৯ হাজার জনই কৃষ্ণাঙ্গ। এর মধ্যে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারাও রয়েছেন। এর আগে ফার্গুসনের কাছে মাইকেল ব্রাউন নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর অবৈধভাবে সিগারেট বিক্রির অভিযোগে এরিক গার্নার নামে অপর এক কৃষ্ণাঙ্গকে মাটিতে ফেলে তাকে সজোরে চেপে ধরেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এক পুলিশ কর্মকর্তা তার গলায় চেপে ধরলে, শ্বাসরোধ হয়ে মারা যান তিনি। এতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভে নামেন মানুষ।

No comments

Powered by Blogger.