সবচেয়ে সুন্দরী বালিকা সুপার মডেল ক্রিস্টিনা পিমেনোভা

মাত্র আট বছর বয়সেই রাশিয়ার সুপার মডেল ক্রিস্টিনা পিমেনোভা। স্বীকৃতি মিলেছে বিশ্বের সেরা সুন্দরী বালিকারও। কিন্তু এসব খ্যাতি বা স্বীকৃতির কিছুই মেয়েকে বুঝতে দিতে চান না মা গ্লিকেরিয়া পিমেনোভা। এক সময়কার মডেল এই মায়ের চাওয়া, আর দশটা সাধারণ শিশুর মতোই বেড়ে উঠুক তাঁর সন্তান। আজ বৃহস্পতিবার এএফপির খবরে জানানো হয়, ক্রিস্টিনা এর মধ্যে ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান আরমানি ও রোবার্তো কাভালির হয়ে মঞ্চে ক্যাটওয়াক করেছে। ডাগর নীল নয়ন আর জাদুকরী হাসি দিয়ে জিতে নিয়েছে হাজারো ভক্তের হৃদয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তার সরব উপস্থিতি। যদিও এগুলো ক্রিস্টিনা নয়, তার মা পরিচালনা করে থাকেন। ফেসবুকে ক্রিস্টিনার ভক্তের সংখ্যা ২৫ লাখ, আর ইন্সটাগ্রামে তার প্রায় পাঁচ লাখ অনুসারী। মা গ্লিকেরিয়া পিমেনোভা বলেন, ‘মেয়ে আমার নিরহংকারী। সে তারকা-ম্যানিয়ার বিষয়টি বোঝে না। সে কখনো জনপ্রিয়তা শব্দটি আমাদের কাছ থেকে শোনেনি। আমরা বাড়িতে এমন শব্দ কখনোই ব্যবহার করি না।’ তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ক্রিস্টিনা পিমেনোভার কিছু ছবির ব্যাপারে ভক্তরা আপত্তি জানিয়েছে। তাদের ভাষ্য, বয়সের তুলনায় তার এই ছবিগুলো বেমানান। খানিকটা আপত্তিকরও বটে। কোনো কোনো ভক্ত আবার তাকে ‘শিশু’ থাকার পরামর্শ দিয়েছে। তবে এ ধরনের সমালোচনা নাকচ করে দিয়েছেন ক্রিস্টিনার মা। এ ব্যাপারে মা বললেন, ‘কেউ ছবি দেখে আপত্তি জানালে সেটা তার সমস্যা। এই ২৭ ডিসেম্বর নয় বছরে পা দিতে যাওয়া ক্রিস্টিনা শুধু শিশুদের পোশাকেই থাকে, মডেলিংয়ে ছবি তোলার সময় কালেভদ্রে ম্যাকআপ ব্যবহার করে। এ কারণে ফটো সেশনে তার অনেক কম সময় লাগে। যদি সে পোশাক-ম্যাকআপ নিয়ে ব্যস্ত থাকত তাহলে তাকে সারা দিনই কাজে ব্যস্ত থাকতে হতো।’ শিশু ক্রিস্টিনার ছবি নিয়ে আপত্তি বা সমালোচনার বিষয়ে কথা বলেছেন মার্কিন অভিনেত্রী, মডেল ও সাবেক শিশু তারকা ব্রুক শিল্ডস। এ মাসের শুরুর দিকে নিউইয়র্ক-ভিত্তিক এক টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ওই বয়সে আমারও এমন ছবি ছিল। তবে সামাজিক যোগাযোগের এই জমানায় ছবি প্রকাশের বিষয়টি খানিকটা বিপদও ডেকে আনতে পারে। আমার মনে হয় না ক্রিস্টিনার ছবিগুলো খারাপ। তবে কে কীভাবে দেখছে, সেটা তার বিষয়।’ ক্রিস্টিনার জন্ম ২০০৫ সালে মস্কোতে। তবে জন্মের পরপরই সে বাবা-মায়ের সঙ্গে চলে যায় ফ্রান্সে। তার ফুটবলার বাবা রুসলান পিমেনোভা এফসি মেটসের হয়ে খেলতেন। ক্রিস্টিনার মা জানালেন, ছোটবেলা থেকেই সে জিমন্যাস্টিকস পছন্দ করত। এটা তার কাছে শখের চেয়েও বেশি কিছু। দিনে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় সে শারীরিক কসরত করে কাটাত। সঙ্গে তিনি যোগ করলেন, ক্রিস্টিনা খুবই সাধারণ এক বালিকা। মস্কোর এক সাধারণ বিদ্যালয়ে সে পড়াশোনা করে। তবে তাকে অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। স্কুল শেষে সে জিমন্যাসটিকস ক্লাসে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত আটটা কিংবা তার চেয়েও বেশি বেজে যায়। সপ্তাহে একদিন মাত্র ছুটি মেলে তার। অন্য শিশুদের মতোই ভালোবাসে পিৎজা ও প্যানকেক খেতে। ‘অ্যালিইস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’, গ্রিক পৌরাণিক কাহিনি, ‘দ্য লিটল প্রিন্স’ পড়ে বা আইফোনে ছোট ছোট চলচ্চিত্র বানিয়ে অবসর সময় কাটায়। কারণ, ছোট্ট ক্রিস্টিনা স্বপ্ন দেখে অভিনেত্রী বা চলচ্চিত্র পরিচালক হওয়ার। মেয়ে ক্রিস্টিনাকে নিয়ে মা গ্লিকেরিয়া পিমেনোভার মন্তব্য, ‘ক্রিস্টিনার ভেতরে অসম্ভব সৌন্দর্য আছে। অন্যরা তা উপলব্ধি করতে পারে। সম্ভবত এ কারণেই তার মুখমণ্ডল বহু মানুষকে আকর্ষণ করে।’

No comments

Powered by Blogger.