একই পরিবারের ৪ জনকে হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

ভালুকা উপজেলা লবণকোড়া গ্রামে একই পরিবারের চারজনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমান ওরফে তনুকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে টঙ্গী এরশাদ নগর থেকে লুটের মালামাল ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা’সহ তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তনু পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মঈনুল হক তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, তনু জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, সে শ্রমিকদল নেতা বাচ্চুকে (৩৫) দেড় বছর আগে গাড়ির ব্যবসার করার জন্য ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু লাভ-আসল কোন টাকা পরিশোধ না করায় অর্থ কষ্টে দিন কাটান সে। এনিয়ে বিরোধ চলছিল। পাওনা টাকা না পেয়ে এক পর্যায়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যার দুই দিন আগে থেকে বাচ্চুর সঙ্গে অবস্থান করেন তিনি। গত ১৫ই ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাস নিয়ে বাড়িতে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতেই দা দিয়ে কুপিয়ে রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে হত্যা করেন। পরে ঘরে প্রবেশ করে বাচ্চুর স্ত্রী পারুল আক্তারকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা করেন। তাদের শিশু কন্যা জিনিয়া আক্তার (৬) ও রিভা আক্তারকে (১৮মাস ) শ্বাসরোধ হত্যা করেন তনু। হত্যার পর তার ভায়রা ভাই রফিকুল ইসলামের সহয়োগীতায় নিহত বাচ্চুর ঘরের টিভি, নগদ টাকা, কাপড়-চোপড় ও স্বর্নালংকার নিয়ে ভোর রাতে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভালুকায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর ১৭ই ডিসেম্বর ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে নেত্রকোনা শহর ও জেলার পুর্বধলায় অভিযান চালিয়ে মূল হত্যাকারী গার্মেন্ট শ্রমিক তনুর স্ত্রী হোসনা, ভায়রা ভাই রফিকুল ইসলাম রফিক ও তার স্ত্রী জোসনাসহ ৩জনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তাদের তথ্য মতে তনুর শ্বশুরবাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার মৌজাবালি থেকে লুট হওয়া একটি টেলিভিশন, একটি টেপরেকর্ডার ও কাপড়-চোপড় উদ্ধার করা হয়। হাফিজুর রহমান তনু যশোর জেলা সদরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া (আমতলা মোড়) এলাকার বাসিন্দা মৃত খন্দকার শামছুর রহমানের পুত্র।

No comments

Powered by Blogger.