বিশ্বকাপের প্রলোভনে প্রায় ২ কোটি পাউন্ড বৃথা বিনিয়োগ

ব্রাজিল বিশ্বকাপের সম্ভাবনা দেখিয়ে সেখানে জমি কেনার জন্য বৃটিশ একটি রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ করে। সব মিলিয়ে ১ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড বিনিয়োগ করেছে বৃটিশ বিনিয়োগকারীরা। এখন তারা বুঝতে পারছেন তারা প্লটপ্রতি গড়ে যে ১০ হাজার পাউন্ড ব্যয় করেছেন তা ফিরে আসার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। তারপরও বিনিয়োগের অর্থ পুনরুদ্ধারের আশায় তারা আইনজীবীদের শরণাপন্ন হয়েছেন। অন্তত কিছু অর্থ ফিরে পাবার জন্য আইনি প্রক্রিয়াই এখন তাদের একমাত্র উপায়। এ বিতর্কের কেন্দ্রে যে প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে তার নাম প্যান্থিয়ন রিয়েলটি কনসালটেন্ট। লন্ডনের দামি এলাকায় ছিল তাদের ঠিকানা। কোম্পানি হাউজে ছিল প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের বিস্তারিত। ২০১৩ সালের শুরুতে ওই প্রতিষ্ঠান বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামের তথাকথিত নিকট এলাকায় প্লট বিক্রি করে। ওই প্লটগুলোকে হোটেল ও রিসোর্ট হিসেবে গড়ে তোলার কথা ছিল। সেখান থেকে বিনিয়োগকারীর ফেরত পাবার কথা ছিল বছরে ২০ শতাংশ। এখন দেখা যাচ্ছে ১০ হাজার পাউন্ড ব্যয়ে কেনা জমিগুলো মূল্যহীন। সেখানে আদৌ হোটেল গড়ে ওঠার সম্ভাবনাও খুব একটা দেখছেন না বিনিয়োগকারীরা। ২০১৩’র আগস্টে ইনসলভেন্সি সার্ভিস একজন লিকুইডেটন নিয়োগ দেয় এবং জনস্বার্থে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। সে সময় একজন ইনসলভেন্সি মুখপাত্র বলেন, এ প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক স্পোর্টস ইভেন্টের সঙ্গে ভুয়া সুযোগের প্রলোভন দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে। এখন অনেক বিনিয়োগকারী লন্ডনভিত্তিক ল’ ফার্ম কার্টার লেন ক্যামেরনসের শরণাপন্ন হয়েছে। বিনিয়োগকৃত অর্থের কিছু অংশ ফিরে পাওয়ার আশায় তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিবিসি’র টুডে অনুষ্ঠানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারণার থেকে বেশি সংখ্যক বিনিয়োগকারী ওই ভুয়া প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে। সব মিলিয়ে তাদের সংখ্যা ৬০০। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ৮০’র কোঠায় বয়স এমন একজন বিনিয়োগ করেছেন ৭০ হাজার পাউন্ড। আর ২০-এর কোঠায় বয়স এক যুবক ২৬ হাজার পাউন্ড বিনিয়োগ করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.