অগ্রাধিকার পাবে জলাবদ্ধতা by আহসান হাবিব কামাল

কালের কণ্ঠ : বরিশাল সিটি করপোরেশনের আপনি প্রথম মেয়র ছিলেন। এর আগে আপনি বহু বছর এখানকার পৌর চেয়ারম্যান ও প্রশাসক ছিলেন। এবার আবার মেয়র পদে লড়ছেন, বিজয়ী হলে আপনি সবার আগে নগরী বা নগরবাসীর কোন ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেবেন?
আহসান হাবিব কামাল : এবার নির্বাচিত হলে আমি সবার আগে নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেব। এ জন্য নগরবাসীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে তাদের পরামর্শ নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করে কাজ করব।
কালের কণ্ঠ : জলাবদ্ধতা ছাড়া আর কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া দরকার বলে আপনি মনে করেন?
আহসান হাবিব কামাল : নগরীর বিশাল বর্ধিত এলাকায় তেমন কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বেশির ভাগ বর্ধিত এলাকায় কাঁচা রাস্তা, বিদ্যুৎ ও পানির সুবিধা নেই। নগরীর প্রাণকেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়নি। আমি পর্যায়ক্রমে বর্ধিত এলাকার মানুষের স্বার্থে প্রতিটি এলাকাকে উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসব। এ ছাড়া নগরীর বস্তিবাসীদের উন্নয়নে আরো বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি বরিশাল নগরীকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত রাখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালের কণ্ঠ : বরিশালের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ, এ ক্ষেত্রে আপনার কোনো পদক্ষেপ থাকবে কি?
আহসান হাবিব কামাল : অবশ্যই থাকবে। আমি এর আগেও চেষ্টা করেছিলাম। এবার নির্বাচিত হলে আমি ভোলা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে বরিশালে গ্যাস এনে আবাসিক ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
কালের কণ্ঠ : বরিশালে শিল্প-বাণিজ্যের অগ্রগতিকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন?
আহসান হাবিব কামাল : বরিশালকে একটি আধুনিক শিল্প নগরীতে পরিণত করার পরিকল্পনা আমার আগে থেকেই আছে। এবার মেয়র নির্বাচিত হলে আমি এদিকে বিশেষ নজর দেব।
কালের কণ্ঠ : ভোটারদের জন্য আপনার বিশেষ কিছু বলার আছে?
আহসান হাবিব কামাল : আমি জানি, বরিশালের মানুষ আমাকে ভালোবাসে। আমি যখন চেয়ারম্যান বা মেয়র ছিলাম, তখন কোনো দুর্নীতি-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি করিনি। নগরবাসীর কোনো ক্ষতি করিনি। তাই নগরবাসী নগরীর উন্নয়ন-অগ্রগতির স্বার্থে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে- এটাই আমার চাওয়া। কালের কণ্ঠ : ভোটগ্রহণ নিয়ে আপনার কোনো সংশয় আছে?
আহসান হাবিব কামাল : কিছু ক্ষেত্রে আশঙ্কা আছে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুু পরিবেশে অনুষ্ঠান নিয়ে। বিশেষ করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেসব প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা মোটেই নিরপেক্ষ নন। নিয়োগকৃত বেশির ভাগ শিক্ষক-কর্মচারী শওকত হোসেন হিরনের অনুসারী। তবে কোনো ধরনের কারচুপির চেষ্টা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তা প্রতিহত করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে ধন্যবাদ।
আহসান হাবিব কামাল : আপনাদেরও ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.