যেমন সরকারের দরকার

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই মেরুতে দুই দল। এক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার-পদ্ধতির পক্ষে, অন্য দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। মাঝখানে যথারীতি চিড়েচ্যাপটা ম্যাংগো পাবলিক। সবার মঙ্গলের জন্য সমঝোতা জরুরি।
দুই পদ্ধতি নিয়ে যেহেতু বিরোধ, সেহেতু বিকল্প পদ্ধতির সরকারই পারে সেই কাঙ্ক্ষিত সমঝোতা আনতে। কীভাবে গঠিত হতে পারে নির্বাচনকালীন সেই বিকল্প পদ্ধতির সরকার? দেখাচ্ছেন শাহরিয়ার মুক্তার আঁকা শিখা

জাতীয় শিশু সরকার
শিশু অধিকার নিয়ে আমাদের কত তোড়জোড়। ‘শিশুর আছে সমান অধিকার’, ‘শিশুদের জন্য হ্যাঁ বলুন’ কত-কী! অথচ স্বাধীনতার ৪২ বছরে শিশুরা যে একবারও সরকার গঠনের সুযোগ পায়নি, সে হিসাব কেউ রাখে না। সুযোগ এসেছে কলঙ্ক থেকে মুক্তি পাওয়ার। সে হিসাবে এবারের ক্ষমতার ভার শিশুদের দেওয়া যেতে পারে। শিশুরা যেহেতু নিষ্পাপ ও নিরপেক্ষ, সেহেতু নির্বাচনকালীন তাদের ওপর পূর্ণ আস্থাও রাখা যায়।
স্যার, কালকে নির্বাচন। আজকে জরুরি মিটিং আছে। চলুন।
আমি মিতিং-ফিতিংয়ে যাব না। আমি এখন ডোরেমন দেখব। আতক্রিম খাব, মিমি খাব।
স্যার, ওনাকে কোলে করে নিয়ে যাই?

‘সরকার’-এর সরকার
যাদের নামের শেষে ‘সরকার’ টাইটেল আছে (যেমন: অসীম সরকার, জসীম সরকার), তাদের দিয়ে নতুন পদ্ধতির নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন করা যায়।
বস, সবাই তো এফিডেফিট ফি দিয়ে নামের শেষে ‘সরকার’ লাগিয়ে নেবে।
সবার নামে ‘সরকার’ থাকলে ক্ষমতায় কে বসবে, এটা নিয়ে লাগবে ক্যাচাল। তখন নতুন নিয়ম হবে, যাদের নামের শেষে ‘সরকার’ নেই, তারা ক্ষমতায় বসবে। সবাই আবার ‘সরকার’ বাদ দেবে। আবারও ক্যাচাল। এভাবে ক্যাচাল চলতেই থাকবে। মাঝখানে ক্ষমতা আর এফিডেফিট ফি দুটোই আমাদের। মুহাহাহাহা...স্নেক ডাইড, স্টিক আনব্রোকেন।

জাতীয় সাঁতারু সরকার
কথিত আছে দৌড়ে ফার্স্ট হলে মন্ত্রী হওয়া যায়। এবার দৌড় বাদ। আগ্রহী ব্যক্তিদের নিয়ে এবার সাঁতারের আয়োজন করা হোক। যিনি ফার্স্ট হবেন, তিনি হবেন সরকারপ্রধান।
ভাবতেছি, সাঁতারে নামার আগে উসাইন বোল্টের থেকে একজোড়া কেডস ধার নিমু। ওইটা পইরা পানিতে ঝাঁপ দিলে আমারে ঠেকাইব, এমন বাপের বেটা এই বঙ্গ দেশে এখনো পয়দা হয় নাই।
পারলে কারও কাছ থেকে একটা হুইলচেয়ারও
ধার নিয়েন। এইডা
নিয়া ঝাঁপ দিলেও আপনারে কেউ ঠেকাইতে পারব না।

‘রিয়েলিটি’ সরকার
রিয়েলিটি শো ‘কৌন বনেগা সরকার’ আয়োজন করা যায়। অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের জন্য প্রশ্নোত্তর তো আছেই, চাপার জোরের (দেশ চালাতে এটাই যেহেতু বেশি দরকারি) ওপরও দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে প্রতি পর্বের বিজয়ীরা মিলে নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন করবেন।
ও মাই গড, আপনি এক মিনিটে ‘তেলে চুল তাজা, জলে চুন তাজা’ ১০০ বারের জায়গায় ২০০ বার বলতে পেরেছেন! আপনার সাফল্যের রহস্য কী? হাউ কাম!
আরে ভাই, আমি তো শুধু মুখ নাড়াইছি। নাটের গুরু তো টেপরেকর্ডার। অপারেশন কইরা পেটের ভেতর আগে থেকে সেট কইরা রাখছিলাম।

No comments

Powered by Blogger.