তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ২১ দেশে হামলা নস্যাৎ করা হয়েছে

মার্কিন শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দাবি করছেন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসএ) মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের কর্মসূচির বদৌলতেই যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্তত ২১টি দেশে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে। তা ছাড়া সংগৃহীত এসব তথ্য-উপাত্ত পাঁচ বছর পর পর ধ্বংস করে দেওয়া হয়। কর্মকর্তারা অবশ্য ওই সব দেশের নাম বা কথিত হামলার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি। তাঁরা আরও দাবি করেন, লাখ লাখ টেলিফোন কলের তথ্য-উপাত্ত প্রতিদিন সংগ্রহ করা হলেও যাচাই করে দেখা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩০০ টেলিফোনের তথ্য। এটি সমালোচকদের অভিযোগের তুলনায় নিতান্তই কম। তা ছাড়া আইন মেনেই এসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করা হয়। বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রসংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান। এনএসএর প্রধান জেনারেল কিথ আলেক্সান্ডার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতার বিস্তারিত তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে। তাই এসব তথ্য আগেই আংশিকভাবে প্রকাশের সম্ভাবনা নেই। কর্মকর্তারা বলেন, ২০০৯ সালে আল-কায়েদার সন্ত্রাসীরা নিউইয়র্ক নগরের সাবওয়ে (পাতালরেল) উড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। টেলিফোনের তথ্য ঘেঁটে ওই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আল-কায়েদার কর্মী নাজিবুল্লাহ নাজির ফোনালাপের রেকর্ড কাজে লেগেছিল। এনএসএর সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন সম্প্রতি জনসাধারণের ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর মার্কিন গোয়েন্দাদের গোপন নজরদারিসংক্রান্ত তথ্য ফাঁস করে আলোড়ন তোলেন। ওয়াশিংটন পোস্ট ও যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকার কাছে তিনি এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন। আইএএনএস, এএফপি ও রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.