জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষে মালিবাগ রণক্ষেত্র

রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট এলাকায় জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও শটগানের গুলিতে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে   জামায়াত।
আহতদের মধ্যে দলের ঢাকা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুলও রয়েছেন বলে দাবি করা হয়। পুলিশ সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২০ জন জামায়াত-শিবির কর্মীকে আটক করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিকাল সোয়া চারটায় রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের কয়েক শ’ নেতা-কর্মী মিছিল বের করে। মিছিলটি মালিবাগ কাঁচাবাজারের দিকে যাওয়ার পথে আশপাশের বিভিন্ন গলিতে আগে থেকেই অবস্থান নেয়া আরও কয়েক শ’ কর্মী মিছিলে যোগ দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মিছিলের পেছন থেকে ধাওয়া দেয়। পুলিশের ধাওয়া খেয়েও নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়। এ পর্যায়ে পুলিশ প্রথমে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। জামায়াত-শিবির কর্মীরা এ সময় পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আনুমানিক  আধা ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষের সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের যান চলাচল।  বিক্ষোভ মিছিলে দলের মজলিশে সূরা সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন ও লস্কর মো. তাসনীম, ড. রেজাউল করিম, ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, শিবিরের দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান, সাহিত্য সম্পাদক নিজামূল হক নাঈম, প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো. ইয়াহইয়াহ, রাশেদুল ইসলাম রানা, নেতৃত্ব দেন। ঢাকা মহানগর জামায়াতের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশ বিনা উস্কানিতে মিছিলে হামলা চালিয়ে পথচারীসহ জামায়াত-শিবিরের প্রায় ৫০ নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। আটক করেছে ২০ জনকে। মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল মিছিল-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বলেন, বিচারপতির স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার  মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের বিচারে সরকারের অনাকাঙিক্ষত হস্তক্ষেপ প্রমাণিত হয়েছে। এ কেলেঙ্কারির দায় নিয়ে বিচারপতি নাসিমের পদত্যাগের পর মূলত ট্রাইব্যুনাল গ্রহণযোগ্যতা ও বৈধতা হারিয়েছে। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে সরকারের হস্তক্ষেপে এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায়। এ ঘটনার মাধ্যমে দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর কালিমা লেপন করা হয়েছে। তাই এ প্রহসনের বিচারের কোন গ্রহণযোগ্যতা ও আইনগত ভিত্তি নেই। এদিকে মিরসরাই সোবহানিয়া দরবার শরীফের পীর মাওলানা আবদুল মোমেন নাছেরী গতকাল এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিলের আহ্বান জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, শেষ ভাল যার সব ভাল তার। শেষ বেলায় আলেম-উলামাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। এতে আপনার সম্মান বাড়বে।

No comments

Powered by Blogger.