সিরিয়ার হোমস প্রদেশে ট্যাংক নিয়ে ঢুকে পড়েছে সেনারা

সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে সিরিয়ার সেনাবাহিনী গতকাল সোমবার ট্যাংকের সহায়তায় সংঘাতপূর্ণ প্রদেশ হোমসে ঢুকে পড়েছে। সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে এদিন প্রদেশের বেশ কয়েকটি শহরে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে কয়েকটি স্থানে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, হোমসের হুলা শহরে অজ্ঞাত এক বন্দুকধারীর গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া লাতাকিয়ায় নিহত হয়েছেন আরও একজন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, হুলা শহরের বাসিন্দারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সেনাসদস্যরা গুলিবর্ষণের মাধ্যমে ভীতি ছড়িয়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন এবং সন্দেহভাজন লোকজনকে গ্রেপ্তার করছেন।
আরেকটি মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, বিপুলসংখ্যক ট্যাংক আজ (সোমবার) সকালে হুলা শহরে প্রবেশ করেছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, হুলা শহরের প্রতিটি প্রবেশমুখে নিরাপত্তা বাহিনী চৌকি বসিয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের ভীতসন্ত্রস্ত করতে তারা ফাঁকা গুলি ছুড়তে শুরু করেছে। ঘরে ঘরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে লোকজনকে গ্রেপ্তার করছে তারা।
বন্দর নগর লাতাকিয়ায় যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করে ২৬ জনকে হত্যার এক দিনের মাথায় হোমস প্রদেশে সশস্ত্র অভিযান শুরু করল সেনাবাহিনী। গত ১৫ মার্চ দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর এটাই ছিল সমুদ্র থেকে সেনাবাহিনীর প্রথম হামলা চালানোর ঘটনা।
গতকাল ভোরে লাতাকিয়ার অনেক বাসিন্দা শহর ছেড়ে পালিয়েছে। সেনাসদস্যরা তাদের পালিয়ে যেতে সুযোগ দিলেও একটি তল্লাশি চৌকিতে ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন তাঁরা। এতে অন্তত একজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছে।
গতকাল স্পেনের একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাস ধরে চলমান এ সহিংসতার অবসান ঘটাতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে রাজি করাতে স্পেন গত মাসে দামেস্কে একজন বিশেষ দূত পাঠিয়েছে।
সৌদি বাদশা আবদুল্লাহ ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল গত রোববার জেদ্দায় বৈঠক করেছেন। সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ গতকাল এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, দুই শীর্ষ নেতা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। সিরিয়ায় বেসামরিক লোকজনের ওপর সরকারের দমনপীড়নের কথা তাঁরা বৈঠকে সরাসরি উল্লেখ না করলেও এই সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.