নির্বাচনে জয়ের পর ঐক্যের প্রতিশ্রুতি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর

তুরস্কের সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করেছে। নির্বাচনে জেতার পর বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে মতৈক্য গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ান।
গত রোববার পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে একেপি প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট বা ৩২৫টি আসনে জয়লাভ করে। ২০০৭ সালে একেপি ৩৩১টি আসনে জিতেছিল।
ইতিমধ্যে ভোট গণনা শেষ হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, পার্লামেন্টের ৫৫০টি আসনের মধ্যে ৩২৫টি আসনে জয়লাভ করেছে একেপি। তবে এককভাবে সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন পেতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। সংবিধান সংশোধনের জন্য অন্তত ৩৬৭টি আসন প্রয়োজন।
৩৩০ আসন পেলে কোনো দল সংবিধান সংশোধনের জন্য তাদের প্রস্তাব সরাসরি গণভোটের জন্য পাঠাতে পারবে। আর ৩৩০ আসনের কম পেলে সংবিধান সংশোধনের জন্য বিজয়ী দলকে অন্য কোনো দলের সমর্থন নিতে হবে ।
নির্বাচনে জেতার পর প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ান বলেন, ‘মতৈক্য ও আলোচনার মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য জনগণ আমাদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধান বিরোধী দল, অন্যান্য বিরোধী দল, পার্লামেন্টের বাইরের রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম, এনজিও, সুশীল সমাজসহ যাদেরই কিছু বলার আছে তাদের সবার সঙ্গেই মতৈক্য চাই।’
তুরস্কে ভোটারের সংখ্যা পাঁচ কোটির বেশি। এনটিভি টেলিভিশন জানায়, নির্বাচনে ৮৪ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর একেপির সমর্থকেরা রোববার রাতে রাজধানী আংকারার রাস্তায় রাস্তায় আনন্দ-উল্লাস করেন। উল্লসিত এক সমর্থক বলেন, ‘আমি সত্যিই আনন্দিত। আশা করছি, এই ফল দেশ ও জাতির পক্ষে যাবে। আনন্দ প্রকাশের জন্য আমি কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’
নির্বাচনে ধর্মনিরপেক্ষ রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) ১৩৫টি আসনে জয়লাভ করেছে। গত নির্বাচনের চেয়ে দলটি ২৩টি আসন বেশি পেয়েছে। কট্টর ডানপন্থী ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি পেয়েছে (এমএইচপি) ৫৪টি আসন। গত নির্বাচনের চেয়ে দলটি ১৭টি আসন কম পেয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.