ভারতের সমালোচনায় ট্রেমলেট

প্রথম থেকেই রেফারেল পদ্ধতিতে আপত্তি ভারতের। তার পরেও আইসিসি কিন্তু এর প্রয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবেই ঘটিয়েছে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় সিরিজে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এ পদ্ধতি ছিল অনেক বিতর্কেরই মূলে। গ্রুপ পর্বে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচে এর একটি সিদ্ধান্ত ভারতের বিপক্ষেও গিয়েছিল। তবে বিভিন্ন সুবিধা থাকায় ক্রিকেট বিশ্ব কিন্তু এই রেফারেল পদ্ধতি বা ইউডিআরএসকে বেশ খুশি মনেই মেনে নিয়েছিলে। এ পদ্ধতির সবচেয়ে সুবিধা হলো এতে ধরা পড়ে যান অনেক বিতর্কিত আম্পায়াররা। শ্রীলঙ্কার অশোকা ডি সিলভা যে কি ধরনের আম্পায়র সেটা কিন্তু প্রকাশিত হয়ে পড়েছে এই রেফারেল পদ্ধতির মাধ্যমেই। তাঁর বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত রেফারেলে ভুল প্রমাণিত হওয়ায় আইসিসি কিন্তু বিশ্বকাপ থেকে অশোকাকে একপ্রকার প্রত্যাহারই করে নিয়েছিল।
এত কিছুর পরেও এই রেফারেল পদ্ধতি থাকছে না আসন্ন ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট সিরিজে। ব্যাপারটি ঘটতে চলেছে অনেকটা ভারতের আপত্তির মুখেই। তবে ব্যাপারটি মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। এ যেমন ইংলিশ বোলার ক্রিস ট্রেমলেট রেফারেল পদ্ধতির বিরোধী হওয়ায় কড়া সমালোচনা করেছেন ভারতের।
ট্রেমলেট বলেছেন, ‘আমি এ পদ্ধতির খুব একটা ভক্ত নই। কিন্তু একটি পদ্ধতির প্রয়োগ যখন শুরু হয়েছে, তখন আপনি এটিকে ঠেকাতে যাবেন কেন।’
তিনি ভারতের সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা এ পদ্ধতিটির বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। সবাই জানে, তাদের উদ্দেশ্যটা কী? কেন তারা এর বিরোধিতা করছে।’
তিনি বলেন, এ পদ্ধতি কিন্তু বোলারদেরই বেশি ভোগায়। অনেক সময় বোলারদের আবেদনে আম্পায়াররা সারা দিয়ে দেন। কিন্তু, রেফারেলে এমন অনেক সিদ্ধান্তই বোলারদের বিপক্ষে গেছে।
ট্রেমলেট মনে করেন এই রেফারেল পদ্ধতির কিছু সুফলও রয়েছে। মোট কথা একটি পদ্ধতির প্রয়োগ যখন শুরু হয়েছে তখন এটিকে বন্ধ না করে এর উন্নয়ন ঘটানো উচিত।
ট্রেমলেটের মতে, ‘টেস্ট ম্যাচে রেফারেলের প্রয়োগ প্রয়োজন। অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অনেক কিছুই আম্পায়ারের দৃষ্টি বা শ্রুতি এড়িয়ে যেতে পারে। রেফারেল এ ভুলগুলোকে শুধরে দিতে পারে।’
সবশেষে ট্রেমলেট বলেন, ‘যেটা শেষ ছয় মাসে সাফল্যজনকভাবে প্রয়োগ হয়েছে সেটার বিরোধিতা করে তাকে বন্ধ করে দেওয়া বোধ হয় উচিত নয়।’

No comments

Powered by Blogger.