সানজামুলদের পাল্টা জবাব

সবারই জেদ চেপে গিয়েছিল। আমাদের দেশে এসে আমাদের এভাবে হারাবে? আমরা তো এতটা বাজে দল নই! নিজেদের প্রমাণ করার দায় ছিল, ছিল ওদের জবাব দেওয়ার প্রতিজ্ঞা। খুব ভালো লাগছে, আমরা পেরেছি’—সানজামুল ইসলাম চাইলে ‘আমরা’ না বলে বলতে পারতেন ‘আমি’ পেরেছি! বাঁহাতি এই স্পিনার তো ফতুল্লায় হারা ম্যাচটাতে একাদশেই ছিলেন না! সেই ইনিংস হারের পাল্টা জবাব জিপি-বিসিবি একাডেমি দিল ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েই। আর সানজামুল নিজেকে প্রমাণ করলেন মাত্র ৯২ রানে ১১ উইকেট নিয়ে।
দলটার নাম হয়তো জিপি-বিসিবি একাডেমি, কিন্তু প্রতিনিধিত্ব করছে তো দেশকেই। প্রথম ম্যাচে ইনিংস ও ৫৮ রানে হেরে তাই আঁতে যথেষ্টই ঘা লেগেছিল মিঠুন, মমিনুলদের। দক্ষিণ আফ্রিকা একাডেমিকে লজ্জাটা ফিরিয়ে দিয়েছে তারা দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচে ইনিংস ও ১২৫ রানে হারিয়ে।
সফরকারীদের ইনিংস পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তৃতীয় দিনই। ৮ উইকেটে ১৪১ রান নিয়ে কাল দিনের শুরু, ইনিংস পরাজয় এড়াতেই প্রয়োজন ছিল ১৩৯ রান। শেষ দুটি উইকেট নিতে জিপি-বিসিবির কাল লেগেছে মাত্র ১৯ বল। দুটিই নিয়েছেন সানজামুল। দিনের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে নিজের প্রথম বলেই বোল্ড করেছেন হারডাস ভিলিওনকে। পরের ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লু মার্চেন্ট ডি ল্যাঙ্গে। আগের দিন ৫ উইকেট পাওয়া শাকের আহমেদ কাল বল হাতে নেওয়ারই সুযোগ পাননি।
সানজামুল আর শাকের—দুই বাঁহাতি স্পিনার মিলেই নিয়েছেন ম্যাচে ১৭ উইকেট। পার্টটাইম অফ স্পিনার শুভাগত হোম চৌধুরী দুটি। ২০ উইকেটের একটি গেছে কেবল পেসারের (আলাউদ্দিন বাবু) পকেটে। ফতুল্লার ঘাসের উইকেট থেকে মিরপুরের মন্থর উইকেটে আসতেই কি বদলে গেল জিপি-বিসিবি একাডেমিও? অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন মানতে চাইলেন না, ‘শুধু উইকেটই আপনাকে জেতাবে না, নিজেদের মেলে ধরাটাও জরুরি। প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সবার কাজই আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো ঠিকভাবে করতে পেরেছি বলেই এই জয়।’ কোচ রস টার্নারও উইকেট নয়, জয়ের কৃতিত্ব বেশি দিলেন নতুন শিষ্যদের।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হচ্ছে আগামী পরশু, চট্টগ্রামে। সিরিজের শেষ ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি হবে আবার ঢাকায়।

No comments

Powered by Blogger.