বিশ্বকাপের সাক্ষী হতে পারাই অনেক

চট্টগ্রামে বিশ্বকাপের আঁচ আগেই লেগেছিল। আগামীকালের ইংল্যান্ড ম্যাচ ও ১৪ মার্চের হল্যান্ড ম্যাচ যত কাছে আসছে উত্তেজনা তত বাড়ছে। ক্রিকেটারদের হোটেল ও স্টেডিয়ামের আশপাশে উন্মাদনাটা বেশি। ম্যাচের ফল যা-ই হোক, সবাই বিশ্বকাপের সাক্ষী হয়ে থাকতে চায়।
স্টেডিয়াম-সংলগ্ন এ কে খান মাঠের পাঁচটি কাউন্টার থেকে টিকিট বিতরণ শুরু হয়েছে। টিকিটের জন্য অনেকে ভোর থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
লাইনে দাঁড়ানো কয়েকজন সমস্বরে জানালেন, ‘ভোরে এসেছি ভাই। কিন্তু এখনো লাইনের মাঝামাঝি। আরও কয়েকটি কাউন্টার করলে ভালো হতো। তবে টিকিট না নিয়ে যাব না।’ যাঁরা আগে ব্যাংক থেকে নিশ্চয়তাপত্র সংগ্রহ করেছিলেন তাঁরাই এখান থেকে টিকিট পাবেন। আজও হবে টিকিট বিতরণ। দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানান, এখান থেকে দুই দিনে ৯ থেকে ১০ হাজার টিকিট বিতরণ হবে। প্রয়োজনে ম্যাচের দিন দুপুর পর্যন্ত কাজ চলবে। এত গেল স্থানীয় দর্শকদের কথা। বার্মি আর্মি নামের অতিপরিচিত ইংলিশ সমর্থকগোষ্ঠীর ৫০ জনের একটি দলও আজ পা রাখছে চট্টগ্রামে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ-কানাডা প্রস্তুতি ম্যাচের দিন কিছু সাংবাদিক ও স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকদের স্টেডিয়ামে ঢোকার পাস দিয়েছিল নগর পুলিশ। সিএমপির এমন ভুতুড়ে কাণ্ড সম্পর্কে অবগত ছিল না আইসিসি কিংবা বিসিবি। ফলে এই পাস নিয়ে স্টেডিয়ামের ফটকে গিয়ে অনেককে ফিরে আসতে হয়।
আগামীকালের ম্যাচ সামনে রেখেও সিএমপি একই ধরনের কিছু পাস দিয়েছে বলে অভিযোগ। ওই পাসে স্থানীয় এক ক্লাবের কর্মকর্তার পদবি লেখা হয়েছে ‘বিসিবি পরিচালক’।
সিএমপির উপকমিশনার (সদর) মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যাদের পাস দিচ্ছি তারা কেবল স্টেডিয়াম এলাকায় নিজ দায়িত্ব পালন করবেন। কোনোভাবেই গ্যালারি কিংবা প্যাভিলিয়নে ঢুকতে পারবেন না।’

No comments

Powered by Blogger.