আবারও নায়ক যুবরাজ

কষ্ট করেই নাকি জেতা ভালো। জেতা ভালো স্নায়ুর পরীক্ষা দিয়ে দিয়ে। এতে স্নায়ু শক্ত হয়। আত্মবিশ্বাস বাড়ে। ভবিষ্যতের জটিলতর পরিস্থিতিতে কাজে দেয় এই অভিজ্ঞতা। এই তত্ত্ব গ্যারি কারস্টেনের। দল একের পর এক ম্যাচে ঘাম ঝরিয়ে জিতছে বলেই হয়তো এই দর্শন। ভারতের কোচ নিশ্চয়ই খুশি। কালও যে ঘাম ঝরিয়েই ৫ উইকেটে জিতল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
দিল্লিতে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা হল্যান্ড গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৮৯ রানে। কিন্তু সহজ এই লক্ষ্য ছুঁতে ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত। ঠিক যেন গত ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও ১০০-এর মধ্যে ৪ উইকেট হারানো ভারত জয়ের নাগাল পেয়েছিল ধোনি-যুবরাজের জুটিতে। কালও এ দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৫২ রানের জুটি এনে দিল ২ পয়েন্ট। অঙ্কের হিসাবে একটু ফাঁক আছে; না হলে বলে দেওয়াই যায়, কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
অপরাজিত ফিফটির পাশাপাশি ২ উইকেট, আবারও ম্যাচের নায়ক যুবরাজ সিং। তবে দিনটা হতে পারত শচীন টেন্ডুলকারের। ভালো শুরুও করেছিলেন। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে ২ হাজার রানের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন। কিন্তু গত ম্যাচের মতো এদিনও বাঁহাতি স্পিনে আউট হলেন টেন্ডুলকার। পিটার সিলার তাঁর আগের ওভারে আউট করেন বীরেন্দর শেবাগকেও।
টেন্ডুলকার-শেবাগের ওপেনিং জুটির ৬৯ রানের পরও এই যুগল আঘাতে ৮০ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় ভারত। আরও ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দিতে ইউসুফ পাঠানকে এদিন তিনে নামিয়েছিল ভারত। কিন্তু টেন্ডুলকারকে ফেরানোর চার বল পর সিলার তুলে নেন ইউসুফকেও। ৮২ রানে নেই ৩ উইকেট!
ভারত আরও চাপে পড়ে যায় দিল্লিরই ছেলে কোহলি পিটার বোরেনের বলে বোল্ড হয়ে গেলে। স্কোর বোর্ডে ১০০ ওঠার আগেই নেই ৪ উইকেট। এখান থেকেই পঞ্চম উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়েন যুবরাজ-গম্ভীর। দলীয় ১৩৯ রানে পঞ্চম উইকেট হিসেবে গম্ভীর আউট হলে হাল ধরেন যুবরাজ-ধোনি।
বল হাতেও এদিন ভালো করেছেন যুবরাজ। ‘ডেঞ্জারম্যান’ রায়ান টেন ডেসকাটকে ফিরিয়েছেন, ফিরিয়েছেন ওপেনিংয়ে নেমে অনেকক্ষণ ভোগানো ওয়েসলি বারেসিকেও। জহির ২০ রানে ৩টি আর চাওলা ৪৭ রানে ২ উইকেট নিলেও এদিনও উইকেটশূন্য হরভজন। বিশ্বকাপে চার ম্যাচ মিলে মাত্র দুটি উইকেট তাঁর।
কারস্টেন বলতে পারেন, ভবিষ্যতের জন্য উইকেট জমিয়ে রেখেছেন ‘ভাজ্জি’!

No comments

Powered by Blogger.