বড় জয়ে দুঃখমোচন মোহামেডানের

মোহামেডান ফুটবল দলের দুঃখ ছিল টানা তিন ম্যাচ হারের। ক্লাবের ফুটবল ইতিহাসে এটা বাজে রেকর্ডও। কাল আবারও যদি কোনো অঘটন ঘটত, মুখ লুকোনোরই জায়গা পেত না সাদা-কালো শিবির। জয় দিয়েই ওই হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়েছে তারা। জয়টা অনেক বড়ও। তিন পরাজয়ের পর জয় পাওয়া মোহামেডানের কাছে এখন সুখের আরেক নাম!
আগের তিন ম্যাচে ৫ গোল খেয়ে নিজেরা একটি গোলও করতে পারেনি। কাল আরামবাগের বিপক্ষে জয়ে ফেরার ম্যাচে মোহামেডান খেয়েছে এক গোল, দিয়েছে চার গোল! চার গোলের প্রথম তিনটিই তিন আফ্রিকানের। জয়ের বাড়তি কৃতিত্ব তাঁদেরই। অতিরিক্ত সময়ে বদলি স্ট্রাইকার আনোয়ার শেষ গোলটি করে ব্যবধান বাড়িয়েছেন।
মোহামেডান জয়ের পথে যাত্রা শুরু করে ১৩ মিনিটে, যখন এমেকা দারুণ এক হেডে করেন প্রথম গোল। বাংলাদেশ লিগে প্রথম গোলের দেখা পেলেন সাদা-কালো অনেক আশা-ভরসার এমেকা। দুই মিনিট পরই ১-১! গোলদাতা আরামবাগের লাইবেরিয়ান স্ট্রাইকার বেঞ্জামিন। তবে ১৯ মিনিটে অধিনায়ক শরিফের ফ্রি-কিক থেকে নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার এমেকা লাকির মাপা হেডে ২-১ হলে আবার স্বস্তি সাদা-কালো শিবিরে। ২৯ মিনিটে রুয়ান্ডান মিডফিল্ডার আমানির শটে ৩-১ হওয়ার পর মোহামেডানকে আর জয় নিয়ে ভাবতেই হয়নি।
আরামবাগ তাদের এই পরাজয়ের জন্য দায়ী করেছে বাফুফেকে। দুই ম্যাচ করে নিষিদ্ধ হওয়া গিনিয়ান ডিফেন্ডার মোস্তফা কাবা ও অধিনায়ক দ্বীন মোহাম্মদ না থাকায় আরামবাগের রক্ষণ এদিন ভেঙে পড়ে মোহামেডানের আলতো ধাক্কাতেই। এ কারণে বাফুফের ‘মুণ্ডুপাত’ করে দুই খেলোয়াড়ের শাস্তির প্রতিবাদে বিবৃতিও দিয়েছে আরামবাগ। দ্বীন মোহাম্মদসহ অন্য খেলোয়াড়েরা মাঠেই বলে বসলেন, ‘রেফারিকে না মেরেই শাস্তি। তাহলে তো মারাই...!’
মোহামেডান কোচ শফিকুল ইসলাম, সমর্থক, কর্মকর্তা সবাই খুশি। তিন হারের পরও এখনো এক ম্যাচ বেশি খেলে তারকায় ঠাসা শেখ জামালের চেয়ে এক পয়েন্ট বেশি মোহামেডানের (৭ ম্যাচে মোহামেডান ১২, ৬ ম্যাচে শেখ জামাল ১১)! অন্যদের চেয়েও মোহামেডানও খুব একটা পিছিয়ে নেই। ৭ ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা ১৬, আবাহনী ১৪।
মোহামেডান: আল হাসান, এমেকা লাকি (আনোয়ার), আরাফাত রনি, আমানি, হাসান আল মামুন, শরিফ, ইসমাইল (শরিফুল), রনি (বিপুল), রমজান, ইয়াসিন, এমেকা।
আরামবাগ: মাসুদ (বিষ্ণু), শরিফ, ফয়সাল, সাইফুল্লাহ, সুবাইর, বেঞ্জামিন, কাশেম, ডালিম (মামুন/তূর্য), মনু, এমেকা, বাঙ্গুরা।

No comments

Powered by Blogger.