আঁচ করেও পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া দপ্তর: বিবিসি

ইউরোপে এ বছর প্রবল তুষারপাত হবে আঁচ করেও এ ব্যাপারে পূর্বাভাস দেননি ব্রিটেনের আবহাওয়া কর্মকর্তারা। এতে অগণিত মানুষ এবারের শীত মৌসুমের বিরূপ আবহাওয়া সম্পর্কে আগেভাগে কোনো আভাস পায়নি। এ দাবি করেছেন বিবিসির একজন বিশ্লেষক। আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে ২০০৯ সালের মতো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে, এ আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে তাঁরা বিষয়টি চেপে যান বলে ওই বিশ্লেষকের দাবি। এদিকে তুষারপাতের বিপর্যয় ও বড়দিনের ছুটি শেষে প্রায় দুই সপ্তাহ পর লোকজন যখন কর্মস্থলে যোগ দিতে শুরু করেছেন, তখন ব্রিটেনে নতুন করে তুষারপাত শুরু হয়েছে।দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিবিসির আবহাওয়া বিশ্লেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রজার হ্যারাবিন। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ব্রিটেনের আবহাওয়া দপ্তর গরমকালে প্রচণ্ড গরম পড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। তাদের পূর্বাভাস শুনে সাধারণ মানুষ গরম মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমনটি না হওয়ায় কর্মকর্তারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। হ্যারাবিন বলেন, ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, এ জন্য আবহাওয়া কর্মকর্তারা এবার তুষারপাতের পূর্বাভাস দেননি। তবে এবারের শীতকালে ‘ব্যতিক্রমী মাত্রার’ ঠান্ডা পড়বে বলে তাঁরা গত অক্টোবর মাসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের জানিয়েছিলেন। তাঁরা মৌসুমি পূর্বাভাস না দিয়ে মাসিক আবহাওয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আবহাওয়া কর্মকর্তারা যদি আগে থেকেই তুষারপাতের ঘোষণা দিতেন, তাহলে অনেকেই বরফ গলানোর জন্য আগেভাগে ট্রাকবোঝাই লবণ মজুদ রাখতেন। শেষ পর্যন্ত তুষারপাত না হলে আবহাওয়া দপ্তরকে ক্ষোভের মুখে পড়তে হতো।বড়দিনের ছুটি ও তুষারপাতের কারণে অফিস-আদালত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর যখন খুলেছে, তখন আবার তুষারপাত শুরু হয়েছে।
ব্রিটেনের উত্তর ইয়র্কশায়ার, ডেভোন, সামারসেট ও ওয়েলসের একাংশে রাস্তাঘাটে আবার বরফের স্তর জমতে শুরু করেছে। আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলেছেন, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানে তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকবে।

No comments

Powered by Blogger.