বিদেশি কূটনীতিকদের আমন্ত্রণের কথা নিশ্চিত করেছে ইরান

পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনে বিদেশি কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানোর কথা নিশ্চিত করেছে ইরান। ইস্তাম্বুলে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে পরমাণু কর্মসূচিসংক্রান্ত বৈঠক সামনে রেখে এবং বিতর্কিত পরমাণু ইস্যুতে সমর্থন বাড়ানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে। স্থাপনা পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) কয়েকটি দেশ, ন্যাম (জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন) ও ছয়টি পরাশক্তিধর দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামিন মেহমানপারাশত সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
মুখপাত্র জানান, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির সহযোগিতামূলক অবস্থান প্রকাশের অংশ হিসেবে কূটনীতিকদের আমন্ত্রণের বিষয়টি এসেছে। তিনি বলেন, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বৈঠকের আগেই কূটনীতিকেরা দুটি পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শন করবেন। আইএইএর এক দূতের উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছিল, কূটনীতিকেরা বুশেহের ও নাতাঞ্জ স্থাপনায় যাবেন।
তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি প্রশ্নে অনুষ্ঠেয় ইস্তাম্বুল বৈঠকে ইরান এবং ছয় পরাশক্তি ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এই ইস্যুতে গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর জেনেভায় সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এবারের বৈঠকে ওই বৈঠকে গৃহীত বিষয়গুলোর আলোকে আলোচনা হবে।
ইরান ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যেই বিতর্কিত পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালাচ্ছে বলে ইইউ ও পরাশক্তিগুলো দীর্ঘ দিন থেকে অভিযোগ করছে। তারা তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের পক্ষপাতী। ইরান অবশ্য বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দেশটি দাবি করছে, কেবল শান্তিপূর্ণ কাজে এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জ্বালানির চাহিদার কথা মাথায় রেখেই তারা এই কর্মসূচি চালাচ্ছে।
এক জ্যেষ্ঠ ইউরোপীয় কূটনীতিক গত সোমবার রয়টার্সকে বলেন, ইরান আইএইএ ও ভিয়েনাভিত্তিক জাতিসংঘ পরমাণু সংস্থার কয়েকজন দূতকে তাদের পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইতিপূর্বে ইরানের ওপর চার দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধের দাবি জানিয়েছে। ইস্তাম্বুল বৈঠকে এ ধরনের দাবি নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ নাকচ করে দিয়েছেন ইরানের মধ্যস্থতাকারীরা।

No comments

Powered by Blogger.