রাজনৈতিক আলোচনা- আতঙ্কের রাজত্ব কায়েম হয়েছে ___খালেদা জিয়া

বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে ভুল, অসত্য, ভিত্তিহীন ও বিকৃত তথ্যে ভরা বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি তাঁর সরকারের প্রথম দুই বছরের সঙ্গে গত দুই বছরের তুলনা করতে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে রূপকথার গল্প উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ভোটের আগে শুনিয়েছিলেন ডিজিটাল গল্প। ওয়াদা করেছিলেন, ১০ টাকা কেজি দরে চাল, ফ্রি সার ও ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার।
তাঁর ডিজিটাল স্টোরি এখন ভয়ংকর দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও ব্যর্থতায় নির্মম পরিহাসে পরিণত হয়েছে।’ গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের দুই বছরের সাফল্য ও জোট সরকারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন; তার জবাব দিতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
গতকাল রবিবার বিকেল ৪টায় গুলশানে নিজের কার্যালয়ে খালেদা জিয়া প্রায় ৫০ মিনিটের লিখিত ভাষণ সাংবাদিকদের পড়ে শোনান। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ সদস্য ও যুগ্ম মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ভাষণে খালেদা জিয়া মন্তব্য করেন, ‘এক ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে বর্তমান শাসকদল তাদের ক্ষমতায় আরোহনের তৃতীয় বছরে পা রেখেছে।’
দেশবাসীকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘কেমন ছিলেন গত দুইটি বছর? আমি জানি, আজ দেশের সাধারণ মানুষ কেউই বলতে পারবেন না, তিনি ভালো ছিলেন কিংবা ভালো আছেন। তবে অল্প কিছু লোক নিশ্চয়ই বলবে, তারা ভালো আছে। এরা দেশের মালিক-মোকতার সেজে বসেছে। দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে। কেউ যাতে এর প্রতিবাদ করতে না পারে সেজন্য তারা দেশজুড়ে ভীতি ও আতঙ্কের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের ভয়ে কেউ টুঁ শব্দটিও করতে পারছে না।’
সরকারের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলের উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘ছাত্রলীগ যখন আনন্দ মিছিল করে তখন ছাত্র কিংবা শিক্ষকসমাজ কেবল নয়, সারা দেশের সকল পর্যায়ের মানুষই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কেননা, ছাত্রলীগ আজ মানুষের কাছে এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারী নির্যাতন-এ হেন অপকর্ম নেই যার সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত নয়। তাদের আনন্দ মিছিল প্রমাণ করে, গত দুই বছরে দেশজুড়ে সন্ত্রাস, লুণ্ঠন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুষ্কর্মের উৎসব চলেছে।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘কারো বক্তৃতা থেকে কিছু শোনার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, নিজের দেখা ও জানা। সেদিন ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ম্যানেজিং কমিটির ইলেকশন হয়ে গেল। এই নির্বাচনের ফলাফলকে গুণ্ডামির মাধ্যমে বানচালের অপচেষ্টা হয়েছিল। না পেরে এখন শাসকদলের মদদে মামলার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘যেখানেই সুযোগ ও পরিবেশ পাচ্ছে সেখানেই শাসকদলের বিরুদ্ধে জনগণ ব্যালট বিপ্লব ঘটাচ্ছে। আসন্ন পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু হলে সেখানেও ভোটাররা একই রকম রায় দেবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে আস্থাশীল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের জনমত জরিপেই তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’
আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে জেলে বন্দি, চ্যানেল ওয়ান বন্ধ, যমুনা টিভির সম্প্রচারের অনুমতি বাতিল, সরকারি হস্তক্ষেপে টিভির টক শো বন্ধের সমালোচনা করেন খালেদা জিয়া। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু, বক্তব্য ও আলোচক পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করছে। কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল তাঁর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচারের ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত সম্প্রচার না হওয়ায় তিনি উষ্মা প্রকাশ করেন।
সবাইকে এক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ক্রীতদাসে পরিণত করা হয়েছে-মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মানবতা আজ লাঞ্ছিত। শাসকদলের বাইরের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে অধঃপতিত করা হয়েছে। তাদের কারো মর্যাদা নেই। সামান্যতম নিরাপত্তাবোধও অবশিষ্ট নেই। শাসকদলের উৎপীড়ন ও ঘৃণা-বিদ্বেষের মাত্রা দেখে সকলের মনে হচ্ছে, এ যেন ভিনদেশি শত্র“কবলিত এক অচেনা স্বদেশ।’
খালেদা জিয়া বলেন, ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে মোটা চাল কেনার সামর্থ্য হারিয়ে গরিব মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। সারা দেশে চলছে নীরব দুর্ভিক্ষ। বিনা মূল্যে সার ও চাকরি এখন সোনার হরিণ হয়ে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। ক্ষমতাসীন সরকার গত দুই বছরে এসব চাওয়ার কতটা পূরণ করতে পেরেছে, দেশের মানুষ সে কথাই জানতে চান। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এখন আর কোনো কল্পকাহিনী কিংবা রূপকথা শুনতে চান না।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে দ্রব্যমূল্যের যে চিত্র দিয়েছেন তা সত্য নাকি বিকৃত, তা বাজারে গিয়ে প্রতিটি নাগরিকই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আমরা যখন সরকারে ছিলাম তখন বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও অন্যান্য জিনিসের দাম সাংঘাতিক বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে সময়কার বিরোধী দল আওয়ামী লীগ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পথ বেছে নিয়েছিল। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বিএনপি আমলের তুলনায় অনেক কম। এর পরও জিনিসপত্রের দাম জনগণের নাগালের বাইরে চলে গেল কেন?’
খালেদা জিয়া সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির ২০০৬ ও ২০১০ সালের দ্রব্যমূল্যের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা ক্ষমতা ছাড়ার সময় মোটা চালের দাম ছিল ১৭ টাকা, এখন ৩৬ টাকা। সরু চাল ২২ টাকা, এখন ৫০ টাকা। আটা (খোলা) ১৮ টাকা, এখন ৩৪ টাকা। আলু ছয় টাকা, এখন ২২ টাকা। সয়াবিন তেল (খোলা) ৪৬ টাকা, এখন ১০০ টাকা।’
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘বিএনপি সরকারের আমলের প্রথম চার বছরের কথা বলছি না। আমাদের দায়িত্ব ছাড়ার বছরে জিনিসপত্রের যে দাম ছিল, অন্তত সেই পর্যায়ে দ্রব্যমূল্য নামিয়ে আনুন।’
খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত সে কথা আমরা সরকার সমর্থক প্রথম আলো পত্রিকার মাধ্যমে অনেক আগেই জানতে পেরেছি। টিসিবির জন্য দেশের ভেতর থেকেই চড়া দামে পেঁয়াজ কেনার বাণিজ্য তিনি তাঁর এক নিকটাÍীয়কে দিয়েছিলেন।’
খালেদা জিয়া মন্তব্য করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই শেয়ারবাজার লুট হয়ে যায়। এবারও একই আলামত শুরু হয়েছে। অব্যবস্থাপনার ফলে দুই বছরেই পুঁজিবাজার ও মানি মার্কেট দুটোকেই সরকার অস্থির করে ফেলেছে। ১৯৯৬-এর মতো একটি চক্রকে লুটপাটের সুযোগ করে দিতে সরকারের একেকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বারবার পুঁজি হারাচ্ছেন।
কিছু উন্নয়ন প্রকল্প চালু রাখা এবং রুটিন কাজকর্মকে উন্নয়ন বলে জাহির করার চেষ্টা হাস্যকর মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন জোট সরকারের প্রথম দুই বছর আর বর্তমান সরকারের দুই বছরের মধ্যে তুলনা করতে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর এই অনুরোধকে স্বাগত জানাই।’
খালেদা জিয়া তাঁর ভাষণে জোট সরকারের প্রথম দুই বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৫০টি উন্নয়নচিত্র তুলে ধরেন। তিনি অপারেশন ক্লিনহার্ট ও র‌্যাব গঠনের উল্লেখ করে বলেন, উন্নয়নের অনুকূল পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে প্রথমেই অপারেশন ক্লিনহার্টের মাধ্যমে দেশে সন্ত্রাস দমন ও শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা হয়। র‌্যাট ও পরে র‌্যাব গঠন করা হয়। এই বাহিনীকে এখনকার মতো দলীয় ও রাজনৈতিক নিপীড়নের হাতিয়ার না করে বরং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগানো হয়।
জোট সরকারের সময় এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎও উৎপাদিত হয়নি মর্মে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘ডাহা মিথ্যা’ মন্তব্য করে খালেদা জিয়া অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০১০ সালের ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা’ গ্রন্থের উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের সরকারের পাঁচ বছরে নতুন এক হাজার ২৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযোজন করা হয়েছে। এই তথ্য গোপন করে শীর্ষ পর্যায় থেকে যদি অবিরাম মিথ্যা বলা হয়, তাহলে মানুষ কার ওপর আস্থা রাখবে?’
অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আইনশৃঙ্খলা এখন ভালো-প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকারি হিসেবেই গত দুই বছরে খুন হয়েছে আট হাজারের বেশি মানুষ। নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে পাঁচ হাজারের বেশি। গত অক্টোবর-নভেম্বর এই দুই মাসেই ১৮৯ জন গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রায় ৫০০ লোক নিহত ও প্রায় ২৭ হাজার লোক আহত হয়েছেন। গত বছর ইভ টিজিংয়ের ঘটনায় পাঁচ শতাধিক ও প্রতিবাদ করায় ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন প্রায় আড়াই শ জন।
খালেদা জিয়া বিদ্যুৎ খাতের বিভিন্ন প্রকল্প, অবৈধভাবে ভারতীয় কম্পানি এয়ারটেলকে ৪০০ কোটি টাকার ট্রান্সফার ফি মাফসহ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির ইঙ্গিত দেন। জাতীয় শিক্ষানীতি ‘সার্বজনীন’ হয়ে ওঠেনি দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমাদের আমলে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত ও কার্যকর হয়েছিল। সেই নীতি বাদ দিয়ে হঠাৎ নতুন নীতি প্রণয়নের প্রয়োজন কেন পড়ল, তার ব্যাখ্যাও প্রধানমন্ত্রী দেননি।’
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘আমরা সংসদে কার্যকর ও অর্থবহ ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত আছি। বিতর্কিত নির্বাচনের রায় মেনে নিয়ে আমরা প্রথম দিন থেকেই সংসদে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কী রকম আচরণ করা হয়েছে, জাতীয় নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে কী ধরনের অশালীন উক্তি করা হয়েছে তা সকলেই জানেন। দেশ-জাতির সমস্যা নিয়ে যে সংসদে কথা বলার সুযোগ নেই, সেই সংসদের প্রতি মানুষের কোনো আস্থা থাকে না। বিচার বিভাগ পর্যন্ত বলছে, এই সংসদ সার্বভৌম নয়। এরপর আমাদের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনো কথা বলার মুখ থাকে কি?’
খালেদা জিয়া আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নানান রকম চুক্তি করে ভারত সফর শেষে বলেছিলেন, ‘আমি জয়ী হনু আজ।’ আশ্চর্যের বিষয়, দুই বছর পূর্তির ভাষণে ভারত সফর ও চুক্তি নিয়ে তিনি একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। এতে সকলে হতবাক হয়েছে। তাহলে কি এতদিন পর তিনি বুঝতে পেরেছেন, জয়ী নন, তিনি পরাজিত হয়ে এসেছিলেন?”
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আগে শুনতাম, ভারতকে ট্রানজিট দিলে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। এখন শুনছি, গাড়ি ও মাল পরিবহনের টোল দিতেও ভারত রাজি নয়। সিঙ্গাপুর তত্ত্বের প্রবক্তারা এখন চুপ হয়ে গেছেন। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ স্থবির হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে সে সম্পর্কেও নিশ্চুপ থেকেছেন।’
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধীরা অনেকেই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া।
===============================
মানবকল্যাণ আমাদের মন্ত্র  ট্রানজিট নিয়ে সবে গবেষণা শুরু  ভারতের একতরফা সেচ প্রকল্পঃ বাংলাদেশের আপত্তিতে বিশ্বব্যাংকের সাড়া  আমলাদের যাচ্ছেতাই বিদেশ সফর  সরকারের ব্যর্থতায় হতাশাঃ বিরোধী দলের ব্যর্থতায় বিকল্পের অনুপস্থিতি  ক্ষমতা ও গণতন্ত্র  পানি সংকট পানি বাণিজ্য  ২০১০ সালের অর্থনীতি কেমন গেল  গণতান্ত্রিক বিকাশের পথে বাধা অনেক  কপাটে তালা দিয়ে কেন এই মৃতু্যর আয়োজন  বিজয়ের অর্থনীতি ও সম্ভাবনা  মুক্তিযুদ্ধের বিজয়লক্ষ্মীর মুখোমুখি  একেই কি বলে আমলাতন্ত্র?  আত্মসমর্পণের সেই বিকেল  আমরা তাঁদের ভুলতে পারি না  সংবিধানের অনেক বক্তব্য পারস্পরিক সংঘাতমূলক  পরাশক্তির বিরুদ্ধে এক ‘ভবঘুরের’ স্পর্ধা  আবু সাঈদ চৌধুরীর ভাষণ দেওয়া হলো না  শুভ নববর্ষ ২০১১- দিনে দিনে বর্ষ হলো গত  এরশাদের বিচারে দুই দলেরই আগ্রহ কম  কিশোরদের সাদামাটা ফল  জিপিএ-৫ পেয়েছে আট হাজার ৫২ জন  এরশাদের বিচার হওয়া উচিত  ছোটদের বড় সাফল্য  প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষাঃ পাস ৯২%, প্রথম বিভাগ বেশি  বাংলাদেশের বন্ধুঃ জুলিয়ান ফ্রান্সিস  নিষ্ফল উদ্ধার অভিযানঃ দখলচক্রে ২৭ খাল  জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  ভ টিজিং : জরুরি ভিত্তিতে যা করণীয়  প্রতিশ্রুতির দিন  শোকের মাস, বিজয়ের মাস  চীনা প্রধানমন্ত্রীর পাক-ভারত সফর  দায়িত্বশীলদের দায়িত্বহীন মন্তব্য  নতুন প্রজন্ম ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা  খিলক্ষেতে আগুনঃ কয়েলের গুদামে রাতে কাজ হতো ঝুঁকিপূর্ণভাবে  ভারতে বিহার রাজ্যের নির্বাচন  স্বপ্ন সত্যি হওয়ার পথে  আমাদের আকাশ থেকে নক্ষত্র কেড়ে নিয়েছিল যারা...  মুক্তির মন্দির সোপান তলে  আবেগ ছেড়ে বুদ্ধির পথই ধরতে হবে


দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
খালেদা জিয়ার ভাষণে মহাজোটের দুই বছর


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.