রাজনৈতিক আলোচনা- 'এক-এগারোর প্রেতাত্মা চারপাশেই ঘুরছে' by আবেদ খান

ইচ্ছে ছিল মাননীয় প্রধান বিচারপতির বক্তব্য নিয়ে লেখাটা লিখব আজ। কিন্তু ইতিমধ্যে বেগম খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি নিয়ে যে তুলকালাম কাণ্ড হলো শনিবারজুড়ে এবং তার জের ধরে যে চরম গাড়ি ভাঙচুরের মহোৎসব হয়ে গেল ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায়, তাতে মূল প্রতিপাদ্যটি গেল ভণ্ডুল হয়ে।

এরই মধ্যে বিএনপি সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকে বসল। ঈদের আগে যখন মানুষ ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করছে, কেনাকাটা চলছে, শেষ মুহূর্তে অফিস থেকে টাকা উঠিয়ে কোরবানির উদ্যোগ আয়োজন করছে, যখন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট আর জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা চলছে, ঠিক তখন এ রকম একটি হরতাল ডেকে দেওয়া কতখানি সুচিন্তাপ্রসূত তা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন করা যায়।
অবশ্যই আজ মাননীয় প্রধান বিচারপতির বক্তব্য নিয়ে আলোচনা করব, তবে প্রথমে উল্লেখ করি বেগম খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি নিয়ে দিনভর নাটকের ঘটনাবলি, গাড়ি ভাঙচুর, যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরানো ও পরিশেষে হরতাল আহ্বানের প্রসঙ্গগুলো।
এক. বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি নিয়ে ঝামেলাটা চলছিল দুই বছর ধরেই। এটা নিয়ে বিএনপি নেতৃত্বের ভেতরে প্রথম দিকে এমন কোনো উদ্বেগ পরিলক্ষিত হয়নি। বিষয়টি প্রথম সামনে এল, যখন বিএনপির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আদালতের আশ্রয় নেওয়া হলো। বিএনপির আইনজীবীদের এক অংশ বিষয়টি আদালতে নেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন না। সম্ভবত তাঁরা আশঙ্কা করেছিলেন, আদালতে গেলে ফয়সালাটা তাঁদের অনুকূলে নাও যেতে পারে। কিন্তু আর এক অংশ কোন কারণে এত উৎসাহী হয়ে উঠলেন, তা অনুমান করা কঠিন। সরকার কিভাবে এ ব্যাপারে অগ্রসর হবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিল না। কিন্তু সুযোগটি তারা পেয়েই গেল। ফলে মামলা হলো, মোকদ্দমায় সাধারণত যা হয়_যুক্তিতর্ক উপস্থাপিতও হলো। শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতে রায়ও হয়ে গেল এবং তা গেল বেগম জিয়ার বিপক্ষেই। এ নিয়ে কয়েক দিন বিএনপির মধ্যেও অস্থিরতা গেল, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ চলল, কোনো কোনো নেতা রাজপথে এই সমস্যা সমাধানের কথা বললেন। ইতিমধ্যে উচ্চ আদালত বাড়ি ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। কয়েক দিন পরে বিএনপির পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হলো এবং শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হলো ২৯ নভেম্বর। তবে আদালত হাইকোর্টের রায় কার্যকর করার ব্যাপারে কোনো স্থগিতাদেশ দিলেন না এবং আরজিতেও সম্ভবত স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন করা হলো না। যেসব বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ আইনজীবী এ নিয়ে ছোটাছুটি করছিলেন কেমন করে এই আইনগত বিষয়টি তাঁদের দৃষ্টি এড়াল বোঝা মুশকিল। এমন হতে পারে যে তাঁরা ধরেই নিয়েছিলেন একটা তারিখ যখন দেওয়া হয়েছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু আরজিতে যে এটা উল্লেখ থাকতে হয়, সেটা তাঁরা গুরুত্ব দিয়ে ভাবেননি। কাজেই আইনের ফাঁক দিয়ে সুযোগটা এসে গেছে এবং সেই সুযোগ যারা নেওয়ার তারা নিয়ে ফেলেছে।
দুই. এসে পড়ে শেখ হাসিনার প্রথম আমলের শেষ দিকের গণভবন প্রসঙ্গটি। এখনকার সঙ্গে তখনকার পরিস্থিতির তফাতটা এই যে শেখ হাসিনার সরকার আমলের শেষ সময়ে তিনি নিজেই সেই বরাদ্দ বাতিল করে দিয়েছিলেন এবং ক্ষমতা ছাড়ার পর সরাসরি চলে গিয়েছিলেন সুধা সদনে স্বামীর বাসভবনে। আমরা যদি এ ক্ষেত্রে ওই দৃষ্টান্তটি দেখতে পারতাম, তাহলে এভাবে আদালতের বিষয়টি রাজপথে গড়াত না।
তিন. বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেছেন, প্রধান বিচারপতি এই বলে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন যে ২৯ নভেম্বরের আগে আদালত থেকে কিছু করা হবে না। প্রধান বিচারপতি কি তাঁদের লিখিতভাবে দিয়েছিলেন এই নির্দেশ, নাকি মৌখিকভাবে? যাঁরা ডকুমেন্ট ছাড়া একচুল নড়েন না, তাঁরা কিভাবে মৌখিক প্রতিশ্রুতিতেই আশ্বস্ত হয়ে গেলেন? তবে যদি লিখিত কিছু থেকে থাকে এবং সেই লিখিত নির্দেশ যদি মান্য করা না হয় কিংবা সেটা যথাস্থানে পেঁৗছাতে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে তা হবে ঘোরতর অন্যায় এবং আদালতকে অবজ্ঞা করার শামিল।
চার. কাগজে পড়লাম, স্বয়ং আইনমন্ত্রী নাকি এ ব্যাপারে কিছু জানতেন না। সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিমন্ত্রীও বলেছেন, এটার সঙ্গে সরকারের কিংবা সরকারি দলের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ জমি যাঁদের অধীনে, তাঁরা তাঁদের আইন অনুযায়ীই ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাহলে তো বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে। মাত্র তিন দিন আগে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বিরোধীদলীয় নেতার কাছে ঈদের শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। তাঁর পক্ষে কি সম্ভব ঈদের প্রাক্কালে এ রকম একটি অপ্রীতিকর ঘটনার অনুমোদন দেওয়া? বিশেষ করে তাঁর মানবিক মূল্যবোধের কথাটা তো অনেকেরই জানা।
পাঁচ. উত্তম হতো, যদি বেগম খালেদা জিয়া এ ধরনের প্রস্তুতির আগেই স্ব-উদ্যোগে বেরিয়ে আসতেন। মনে হয়, তাঁর পরামর্শদাতারা তাঁকে সঠিক পরামর্শ দিচ্ছেন না। তাঁর বাড়ি ছাড়া সম্পর্কে আইএসপিআর গভীর রাতে (যেটা কালের কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠার পঞ্চম কলামে ছাপা হয়েছে) প্রদত্ত ব্যাখ্যা যদি যথার্থ হয়ে থাকে, তাহলে বলতে হবে, এক বিপজ্জনক বিভ্রান্তি তাঁকে আচ্ছন্ন করেছে। রাজনৈতিক পরিপক্বতার পরিচয় হতো, যদি বিএনপি নেতারা এই হরতাল না দিয়ে কিছুকাল অপেক্ষা করতেন। জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আন্দোলনের কথা বিএনপি আগে বলেছিল। সেদিকে না গিয়ে হঠাৎ করে একটি ব্যক্তিগত ইস্যুতে হরতাল ডেকে দিয়ে ঈদের ঠিক আগে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করায় বিএনপিরও ক্ষতি হলো, খালেদা জিয়ার অশ্রুপাতেরও কোনো মূল্য রইল না। উপরন্তু বিএনপির ভবিষ্যৎ আন্দোলনের কর্মসূচিটিও ক্ষতিগ্রস্ত হলো। অর্থাৎ বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির অবস্থান একই সঙ্গে সামরিক বাহিনী ও জনগণের বিপরীত দিকে চলে গেল। এর অর্থ দাঁড়াল এই যে একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ভেতরে যে ঘুণ ধরেছে, সেটা বোঝা গেল।
ছয়. আওয়ামী লীগও যে এ থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে, তা কিন্তু নয়। আওয়ামী লীগের উঁচু পর্যায়ের অনেক নেতা বারবার নিজেদের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীদের কর্মকাণ্ড এবং আচরণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এমনকি স্বয়ং দলীয় নেত্রীও দুদিন আগে এই বলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন যে ক্ষমতায় থাকতে হলে মানুষের প্রয়োজনের এবং দুঃখ-দুর্দশার দিকটি খেয়াল রাখতে হবে। 'দল বড় হলে ছোটখাটো কিছু একটা ঘটেই থাকে' কিংবা 'আসলে আমাদের ছেলেরা নয়, অপকর্ম করছে ভেতরে ঢুকে পড়া ছদ্মবেশী দুর্বৃত্তরা'_এই ধরনের যুক্তি দিয়ে যারা দলীয় প্রধানকে প্রকৃত অবস্থা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়, তাদের ভেতরেই কেউ ঘাপটি মেরে আছে কি না, সেটাও ভালো করে খুঁজে বের করা দরকার। দলে অভিজ্ঞ সাংগঠনিক দক্ষতাসম্পন্ন এবং সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মানুষদের অনেককে কিন্তু অপাঙ্ক্তেয় করে রাখা হয়েছে। এর ফলে ক্ষমতা ও জনপ্রিয়তার বিশাল বোঝা বহন করতে ক্লান্ত ও অবসন্ন হয়ে পড়ছে ঐতিহ্যবাহী এই দলটি। ক্রমাগত এটি হয়ে পড়ছে নেহাতই একটি সরকারি দল_আওয়ামী লীগ নয়। যারা সংগঠনটিকে চাঙ্গা করে তুলতে পারত, তারা হয়ে পড়ছে নিষ্ক্রিয়।
সাত. এর ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকার চলছে সমন্বয়হীনভাবে। ইদানীং পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা একটু কমেছে বটে কিন্তু কাজকর্মে কি সমন্বয় ঘটছে? এর পরিষ্কার উত্তর_না। তাই প্রশাসনের স্থবিরতা কাটছে না। এক ঘণ্টার কাজ ছয় মাসেও হচ্ছে না। অহেতুক নিয়মের বেড়াজালে আটকে যাচ্ছে সব কাজ। একের পর এক প্রকল্প পিছিয়ে যাচ্ছে। হতাশা ছড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। সরকারকে ব্যর্থ করার উপাদানগুলো তিল তিল করে সংগৃহীত হচ্ছে। সরকারকে দিয়ে একের পর এক ফ্রন্ট খোলা হচ্ছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার ও প্রতিষ্ঠান।
আট. দুই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানই যদি ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের ভাবনা ক্রমেই বিপন্ন ও বিপর্যস্ত হতে থাকবে। আর যারা এই অশুভ লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে, তাদের ইচ্ছাপূরণের পথ প্রশস্ত হতে থাকবে ক্রমাগত।
নয়. দেশের মানুষের আশা-ভরসার সর্বশেষ আশ্রয়কেন্দ্র হচ্ছে বিচারব্যবস্থা। পাকিস্তান আমল থেকে এই বিচার বিভাগই হয়ে আসছে সামরিকতন্ত্রের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। সামরিকতন্ত্র যখন কায়েম হয়েছে, তখন তার প্রথম কাজটি হয় সেই আমল এবং সেই আমলের অন্যায় কার্যক্রমকে বৈধতা দেওয়া। এ জন্য তারা সব সময় চেষ্টা করে এই প্রতিষ্ঠানটিকে বিতর্কিত করে রাখতে। যেসব রাজনৈতিক দলের ঘাড়ে সামরিকতন্ত্রের অদৃশ্য ভূত আছে, তারা সব সময় চায় বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করতে, নিজস্ব আধিপত্য বিস্তার করে একে নিজের মুঠোর মধ্যে ঢুকিয়ে রাখতে। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে যে কথা বলেছেন তা থেকে বোঝা যায় এ দেশের বিচারব্যবস্থা কী ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে ধাবমান। অর্থাৎ এই প্রতিষ্ঠানটিও যদি বিতর্কিত হয়ে পড়ে, তাহলে মানুষের ভেতরে যে অন্তহীন হতাশার সৃষ্টি হবে, তা গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে তুলবে। এর ফলে লাভবান হবে সেই অপশক্তিই, যারা চায় এই দেশ জঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্যবাদের মৃগয়াক্ষেত্রে পরিণত হোক।
দুই প্রধান দলের প্রতি এই বিনীত অনুরোধ, নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রদত্ত অঙ্গীকার স্মরণ করুন। আমাদের দেশে ইদানীং একের পর এক যেসব ঘটনা ঘটে চলেছে, সেগুলো খুব ভালোভাবে পর্যালোচনা করা দরকার। তা হলেই বোঝা যাবে, কী বিপন্ন সময় পার করছি আমরা। এক এগারোর প্রেতাত্মা কিন্তু আগের চেয়ে অনেক বেশি সাবধানী ও নিষ্ঠুরভাবে আমাদের চারদিকে ঘুরছে এবং ঘুরছেই। আমরা অন্ধের মতো সেই দিকে যেন পা না বাড়াই।
=========================
খবর- মহাজোট আছে মহাজোট নেই!' by পার্থ প্রতীম ভট্টাচায্য  আলোচনা- 'বাঙ্গালির বদলে যাওয়া' by সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম  খবর- আফগানিস্তান শান্তি কত দূর?' by তৌহিদ আজিজ  গল্প- 'ঝল্সে ওঠে জরিণ ফিতা' by রফিকুর রশীদ  ফিচার- ‘আক্রান্ত' by জাফর তালুকদার  স্মরণ- 'একজন বিস্মৃতপ্রায় বুদ্ধিজীবী' by আহমাদ মাযহার  গল্প- 'অলৌকিক উপাখ্যান' by হাসান মোস্তাফিজুর রহমান  গল্প- 'জয়মন্টপের জায়াজননী' by জামাল উদ্দীন  আলোচনা- 'তুর্গিয়েনেফ প্রসাদাৎ' by হায়াৎ মামুদ  গল্প- 'একটাই জীবন' by হাজেরা নজরুল  ফিচার- 'এটি একটি সংখ্যামাত্র' by রণজিৎ বিশ্বাস  গল্প- 'সোনালি চিল' by সৈয়দ মোফাজ্জেল হোসেন  গল্প- 'বোবা ইশারা' by মণীশ রায়  গল্প- 'চিরদিনের' by মঈনুল আহসান সাবের  স্মরণ- 'আবদুল মান্নান সৈয়দ সাহিত্যের এক সর্বসত্তা  আলোচনা- 'বাংলা চর্চা পরিচর্যা ও ইংরেজি শেখা'  আলোচনা- 'আমার ছেলেবেলার ঈদ আর বুড়োবেলার ঈদ'  আলোচনা- 'নৈতিক চেতনা : ধর্ম ও মতাদর্শ' by আবুল কাসেম ফজলুল হক খবর- গণতান্ত্রিক সব শক্তির সঙ্গে কাজ করতে চাই: সু চি  ফিচার- ‘নিজের কথা : বেঁচে আছি' by হুমায়ূন আহমেদ  কবিতা- সাম্প্রতিক সময়ের কিছু কবিতা  আলোচনা- 'মোস্লেম ভারত' পত্রিকায় চর্চিত মুসলিম ধর্ম- দর্শনের স্বরূপ  ইতিহাস- 'চারশ' বছরের ঢাকা লোক ঐতিহ্যের দশ-দিগন্ত' by আনিস আহমেদ  গল্পালোচনা- 'মৃত্যুর মুশায়রা' by সেলিনা হোসেন



কালের কণ্ঠ এর সৌজন্য
লেখকঃ আবেদ খান


এই খবর'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.