বিমা লাইসেন্স পেতে ৭৭টি আবেদন

নতুন বিমা কোম্পানির লাইসেন্স (নিবন্ধন) পেতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থায় (আইডিআরএ) ৭৭টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে।
এর মধ্যে জীবনবিমা কোম্পানির ৭১টি এবং সাধারণ বিমা (নন-লাইফ) কোম্পানির ছয়টি আবেদনপত্র রয়েছে।
৭১টি জীবনবিমা কোম্পানির মধ্যে আবার তিনটি রয়েছে বিদেশি কোম্পানি, যেগুলোর সঙ্গে দেশীয় উদ্যোক্তারাও রয়েছেন। আইডিআরএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তিন দফা সময় বাড়ানোর পর গতকাল বুধবার ছিল নতুন বিমা কোম্পানির লাইসেন্সের জন্য আবেদনের শেষ দিন। আগের দিন মঙ্গলবার পর্যন্ত ২০টি আবেদন জমা পড়লেও গতকাল এক দিনেই পড়েছে ৫৭টি। এর আগে জীবনবিমা ও সাধারণ বিমা মিলিয়ে ১৭০টি কোম্পানি আইডিআরএ থেকে নামের ছাড়পত্র নিয়েছে।
দাখিল হওয়া আবেদনপত্রগুলোর মধ্যে ২৭টি প্রস্তাবিত কোম্পানি বিমাকারীর নিবন্ধন প্রবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকে কোনো অর্থ জমা করেনি বলে জানা গেছে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার প্রথম দিন থেকেই নতুন ব্যাংক ও বিমা কোম্পানির লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলা হচ্ছিল। এর মধ্যে নয়টি নতুন ব্যাংক লাইসেন্স পেয়েছে। কোনো কোনো ব্যাংক কার্যক্রমও শুরু করেছে।
এদিকে, ১৮ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন এবং এক কোটি ৫০ লাখ টাকা জামানত জমা না করেই বিমা কোম্পানির লাইসেন্সের আবেদন করা যাবে, হাইকোর্টের এমন রায় গতকাল বুধবার স্থগিত করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত। টাকা জমা দেওয়া ছাড়া যাঁরা আবেদনপত্র দাখিল করেছেন, সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজের দেওয়া গতকালের স্থগিতাদেশের ফলে আইডিআরএর প্রাথমিক বাছাইয়েই সেগুলো বাতিল হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত ফার্মার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে মো. আবু তালেব তালুকদার নামের এক ব্যক্তি ‘বিমাকারীর নিবন্ধন প্রবিধানমালা, ২০১৩’-এর শর্ত অনুযায়ী লাইসেন্সের জন্য টাকা জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে রিট আবেদনটি করেছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.