ভ্রমণ- 'রেলগাড়িতে চড়ে' by মঈনুস সুলতান

ভিয়েতনামের দালাত শহরে আমাদের মতো অগতিদের গতি হচ্ছেন ট্যুর গাইড মি. হান। বছরপাঁচেকের একটি শিশু নিয়ে আমাদের সাকল্যে আড়াই প্রাণীর ভ্রাম্যমাণ সংসার।

মি. হানই আয়োজন করে দেন কী ধরনের গৃহে আমরা রাত কাটাব কিংবা কোথায় ঘুরে বেড়াব। বিকেলবেলা তিনি দালাতের খেলনা রেলগাড়িতে চড়ে দেখার প্রস্তাব দেন। আমরা সবার সঙ্গে সঙ্গে হৈ হৈ করে চলে যাই রেলস্টেশনে। বাগানবিলাসের ঝাড়ের পেছনের ফরাসি স্থাপত্যের কেতায় নির্মিত স্টেশনঘরের ছত্রির নিচে ঝলমল করছে অনেক দিনের অকেজো ঘড়ি।
এ স্টেশনে বোধ করি প্যাসেঞ্জার ইত্যাদি একেবারেই হয় না, তাই রেল কর্মকর্তা নিজেই চলে আসেন আমাদের অভ্যর্থনা জানাতে। মি. হানের তর্জমায় জানতে পারি_আমরা কিঞ্চিৎ ডলার ছাড়তে রাজি হলে তাঁরা আমাদের ডিলাঙ্ সেলুনকারে চড়িয়ে ছাড়বেন। খটাং খটাং করে ছোট্ট একটি আদ্যিকালের স্টিম ইঞ্জিনের পেছন পেছন মাত্র দুটি সাদামাটা বগি ও সেলুন জোড়া হয়। আমি সপরিবারে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বেলচা দিয়ে কয়লা ফেলে কালো স্টিম ইঞ্জিনকে ক্রমে ক্রমে তপ্ত আগুনের আঁচে গনগনে করে তোলা দেখি। অবশেষে ভেঁপু বাজিয়ে একরাশ স্টিম ছেড়ে যখন রেলগাড়িটি যাত্রার উদ্যোগ করে ঠিক তখনই হাঁফাতে হাঁফাতে ছুটে আসে নববিবাহিত এক দম্পতি। দম্পতিটি বিয়ের পোশাকে সুসজ্জিত। তাদের পেছন পেছন আসে ভিডিও ক্যামেরা ও গোটা দুই সুটকেস হাতে বোধ করি পারিষদ ও অনুচর। নববিবাহিতদের সপারিষদ একটি বগিতে তুলে অবশেষে ছোট্ট রেলগাড়ি গন্তব্যের পানে ঝিকঝিকিয়ে ধীর লয়ে চলে।
সেলুনখানা শুধু ডিলাঙ্ই নয়, অতি পুরনো, রংচটা এবং রীতিমতো অ্যান্টিক। প্রশস্ত কাউচ দুটির মাঝামাঝি কাঠের কারুকাজ করা গোলাকার সেন্টার টেবিল। দেয়ালে ঝোলানো পারা ওঠা শৌখিন আয়না, ছোট্ট ওয়াইন ক্যাবিনেট, কুলার ও পর্সেলিনের ছাইদানিসহ সিগার কেস। ট্রেনের কন্ডাক্টর এসে আমাদের পাশে বসে খোশগল্প জুড়ে দেন। মি. হানের তর্জমায় আমরা জানতে পারি, 'সেলুনখানায় একসময় ফ্রেঞ্চ ইন্দো-চায়নার গভর্নর জেনারেল স্বয়ং চড়তেন। এমনকি একবার ভিয়েতনামের শেষ সম্রাট বাওডাই অনুগ্রহ করে গাড়িখানায় চড়ে রেল কম্পানিকে ধন্য করেছিলেন।' এসব ঐতিহাসিক তথ্য জানার পর আমরা যে ডলারগুলো গচ্চা দিয়েছি তার জন্য মনে আর তেমন কোনো খেদ থাকে না। খেলনা রেলগাড়ি ঝিকঝিক করে যাচ্ছে দেখে খোশমেজাজি কন্ডাক্টর জানান, 'একসময় এ লাইনে ট্রেনে চড়ে সত্যি সত্যিই নানা জায়গায় যাওয়া যেত। ভিয়েতকং গেরিলারা ট্রেনটি যানবাহনরূপে ব্যবহার করত। তাই রেলসড়কের ওপর আমেরিকানরা এমন বেধড়ক বোমাবর্ষণ করে যে লাইনটি এখনো সম্পূর্ণরূপে মেরামত করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এখন শুধু পর্যটকদের জন্য এক ঘণ্টার মতো সার্ভিস দেওয়া হয়।'
কন্ডাক্টরের সঙ্গে আলাপচারিতা শেষ হলে আমি কাজরিকে নিয়ে সেলুনের একচিলতে বারান্দায় এসে দাঁড়াই। আমাদের দৃষ্টিপথে নীল পাহাড়ের ধাপে ধাপে তৈরি টেরাস প্লানটেশনের লেটুস, টমেটো, বাঁধাকপি ও আর্টিচোকের সবুজ ক্ষেত। ট্রেনখানা দুই পাশে নিবিড় করে লাগানো মৌসুমি ফুলের টেরাসের ভেতর দিয়ে ভেঁপু বাজিয়ে ছুটে চলে। এবার আমরা দেখতে পাই পাহাড়ের ঢালে শত শত পলিথিনের গ্রিনহাউস। আমাদের চোখে ফুটে থাকা রকমারি ফুলের বর্ণ বিচ্ছুরণ এসে লাগে। গাড়ি উপত্যকায় স্টিমের মেঘ ছড়িয়ে দিয়ে সহসা থামে। এতক্ষণ বিষয়টি আমরা নজর করিনি, এবার পরিষ্কার দেখতে পেয়ে ঈষৎ অবাক হই। ঝোপের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসছে নানা বয়সের একদল কিশোরী ও যুবতী। তাদের মধ্যে জনাতিনেক প্রৌঢ়াও আছেন। নারীদের সবাই পিঠে বাঁধা বেতের ঝুড়িতে করে বহন করছেন অজস্র চন্দ্রমলি্লকা ও কাটা রজনীগন্ধার ঝাড়। কন্ডাক্টর ধৈর্য ধরে তাদের সবাইকে বগিতে উঠতে দেন। যেখানে ট্রেনটি থেমেছে সে স্থানের যেন আলাদা মায়া আছে। একটি পাহাড় ছোট্ট রুপালি ঝরনা বুকে নিয়ে যেন আমাদের দেখা দেওয়ার জন্য ওখানে দাঁড়িয়ে আছে। নববিবাহিত দম্পতি পোশাক বদলে ওখানে নেমে পড়ে ভিডিওতে ছবি তোলার জন্য। তাদের পোজ দেওয়া শেষ হলে তারা লাজুক হেসে ছবি তোলার জন্য সেলুনে আসতে চায়। আমরা তাদের খানিক সঙ্গ লাভের সম্ভাবনার কথা ভেবে খুশিই হই।
ট্রেন চলতে শুরু করলে নবদম্পতি সেলুনে বসে বিবিধ পোজে নিজেদের ইমেজ ভিডিও করতে থাকে। এক ফাঁকে কনে আয়নায় মুখ দেখে মেকআপের রং-তুলি বুলিয়ে তার স্বল্পবাক স্বামীর সঙ্গে গিয়ে দাঁড়ায় ব্যালকনিতে। ছেলে এবার মেয়েকে ইশারায় দূরের পাহাড় দেখিয়ে কানে কানে অন্তরঙ্গ কিছু বলার মূকাভিনয় করছে। ফটোগ্রাফার অতি কষ্টে তার শরীর বাঁকাচোরা করে দৃশ্যটি ভিডিওতে ধারণ করে। পুরো বিষয়টি কাজরির কাছে চমকপ্রদ মনে হয়। সে আমাদের জিজ্ঞেস করে, মেয়েটি ছেলেটির কানে কানে কী বলছে? এবার বর-কনে এসে কাজরির পাশে বসে ছবি ওঠাতে শুরু করে।
ট্রেনখানা থামে গাঁয়ের বাজার মতো এক স্থানে। আমরা_নবদম্পতি, মি. হান ও কন্ডাক্টর, সবাই বাজারের মধ্য দিয়ে দল বেঁধে হাঁটি। আমরা ঠিক বুঝতে পারি না, আমাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমাদের পেছন পেছন আসে ফুলের ঝুড়ি পিঠে মেয়েরা। এক স্থানে আমরা প্রায় পাহাড়সমান উঁচু ফুলের স্তূপ দেখি। এখানে ঘটনাটি কী তা একটু দাঁড়িয়ে দেখতে ইচ্ছা হয়। মেয়েদের সবাই ফুলের স্তূপের পাশে সারি দিয়ে দাঁড়িয়েছে। মি. হান আমাদের দাঁড়াতে ডিসকারেজ করেন। হাঁটতে হাঁটতে তিনি জানান, 'এখানে ব্যবসায়ীরা মেয়েদের কাছ থেকে ফুল কিনে তা সায়গন, হ্যানয় সর্বত্র ট্রাকযোগে রপ্তানি করে।' আমরা সামনে যেতে যেতে একটি প্যাগোডার সবুজাভ নীল-সাদায় মেশানো সুসামঞ্জস্যপূর্ণ চূড়া দেখি। পথের পাশ থেকে এক বুড়ি বাঁশের পাইপে ধূমপান করতে করতে ফোকলা দাঁতে হেসে হাত বাড়িয়ে ভিক্ষা চায়। অবশেষে আমরা প্যাগোডার সুরমা রঙের ড্রাগনের আকৃতিতে তৈরি সিরামিকের তোরণদ্বারের সামনে এসে পড়ি। ড্রাগন দেউড়ির ঠিক ওপরে গৌতম বুদ্ধের শ্বেতপাথরের মূর্তি। তার সামনে পড়ে তীব্রভাবে অসুস্থ এক লোক মাটিতে শুয়ে গোঙায়। নবদম্পতি প্যাগোডার তোরণের প্রেক্ষাপটে আধো আলিঙ্গনে শরীরে শরীর জড়িয়ে ছবি ওঠাচ্ছে। আমরা মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করি। ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে আমরা উঠে যাই মিনারের মতো উঁচু সংকীর্ণ কক্ষে। এখানে চন্দন কাঠের তৈরি সহস্র চোখ শত হস্ত অনাগতকালের বুদ্ধের মৃন্ময় মূর্তি। বাদুড়ের ডানার মতো দেখতে বিচিত্র কালো পোশাক পরা পুরোহিত কাঠের কচ্ছপের পিঠে কাঠি দিয়ে বাজাতে বাজাতে তালপত্রের পুঁথি পড়েন। এখানে সমাগম হয়েছে প্রচুর ভক্তের। নবদম্পতির এখানেও এসে ছবি তোলার বিরাম হয় না। আমার কেবলই রাস্তায় পড়ে থাকা অসুস্থ লোকটির কথা মনে হতে থাকে।
হলেন ও কাজরিকে ভেতরে রেখে আমি খানিক খোলা হাওয়ার জন্য প্যাগোডার বাইরে বেরিয়ে আসি। অসুস্থ লোকটির এখন মুখের কষ বেয়ে ফেনা গড়াচ্ছে। মিনি স্কার্ট পরা দুটি মেয়ে তাদের দেহ তীব্রভাবে দৃশ্যমান করে আমার সামনে দিয়ে হেঁটে যায়। তারা এবার শরীর ফিরিয়ে আমার চোখে সরাসরি তাকিয়ে হাসে। মি. হান সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে ফিসফিসিয়ে বলেন, 'এরা তোমাকে সঙ্গ দিতে চায়।' আমি তার কাছে জানতে চাই, 'সমাজতান্ত্রিক সমাজে এদের অবস্থান কোথায়?' মি. হান জবাবে বলেন, 'আংকেল হো'র সময় তীব্র সোশ্যালিস্ট শাসনে এদের অনেকেই চলে গিয়েছিল আন্ডারগ্রাউন্ডে। ক্রেতা তেমন কেউ ছিল না। এখন তো মার্কেট ইকোনমি। অনেকের হাতেই পয়সা। এদেরও আবার পথে-ঘাটে দেখা যাচ্ছে।' আমার মনে হতে থাকে, সমাজতান্ত্রিক মলমে বুঝি একজিমা কিছুদিনের জন্য সুপ্ত হয়েছিল; এবার বাজার অর্থনীতির তপ্ত স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় এরা জেগে উঠছে তীব্র চুলকানি নিয়ে। অসুস্থ লোকটির শরীরে এবার খিঁচুনি আসে। বিষয়টির দিকে কেউ ভ্রূক্ষেপ করে না। মিনি স্কার্ট পরা একটি মেয়ে আমার শরীর ঘেঁষে তার গুরু নিতম্ব দুলিয়ে খিলখিলিয়ে চলে যায়। পুরো পরিবেশের ওপর আমার এক ধরনের বিতৃষ্ণা সৃষ্টি হয়। ভাবি, এখানে আড়াই যুগ আগে বিপ্লব হলো। তৈরি হলো সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। কথা ছিল, এখানকার মানুষ এগিয়ে যাবে সাম্যের দিকে। কিন্তু হলো কী? সমাজতন্ত্রের সঙ্গে পুঁজিবাদ মিশ্রিত হয়ে তৈরি হলো বাজার অর্থনীতি! কত পরিবর্তন_কত কিছু হলো। কিন্তু রাস্তায় মুখে ফেনা তুলে যে খিঁচোচ্ছে তার ফায়দা কিছু হলো কি? যে কিশোরীদের প্রতিশ্রুতি ছিল শ্বেত কপোতের মতো শান্তির প্রতীক হওয়ার_তারা কেন শরীর অপ্রয়োজনীয়ভাবে অনাবৃত করে রাস্তায় খিলখিল করবে? রীতিমতো বিরক্ত লাগে।
মনটা বেজায় রকমের খিন্ন হয়ে ওঠে। তাই প্যাগোডা থেকে খানিক দূরে সরে একা দাঁড়িয়ে থাকি কিছুক্ষণ। হলেন ও কাজরি এসে আমার সঙ্গে যোগ দেয়। হলেন উৎসাহিত মুখে বলে, 'মি. হান বলেছেন আমরা ঘণ্টা দেড়েক এ এলাকায় একা একা হাঁটাহাঁটি করতে পারি।' গাইড ছাড়া খানিক সময় ঘুরে বেড়ানোর স্বাধীনতাটুকু আমাদের বেশ লাগে। আমরা এলোমেলো হাঁটতে শুরু করি। হঠাৎ বুঝতে পারি, আমরা এতক্ষণ পাহাড়ের মতো উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের পশ্চাতে সিরামিকে গড়া সবুজাভ নীল-সাদাটে প্যাগোডা বিকেলবেলার সূর্যালোকে চলমান সময়ের বাতিঘর হয়ে জ্বলে। আমাদের সামনে টিলার ঢাল বেয়ে নেমে গেছে সরু পায়ে চলা ট্রেইল। আমরা ট্রেইলটি ধরে ধীরে ধীরে নামতে থাকি। আমাদের দুই পাশে সূর্যজ্বলা সিঁড়ির মতো টেরাসের ধাপে ধাপে ফুটে আছে অজস্র চন্দ্রমলি্লকা। আমরা যেতে যেতে লাজুক পুষ্পের ঈষৎ বাতাসে দুলে ওঠার ভঙ্গি দেখি। মনে হয়, আমরা চলে এসেছি মৌমাছির গুঞ্জনময় হাজারো প্রজাপতির মায়াবী রাজ্যে। একটি ফুলের টেরাসের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে কনিক্যাল হ্যাট মাথায় এক বৃদ্ধা বাঁক কাঁধে হাঁটেন। তার বাঁকে রাখা ঝুড়িতে রাশি রাশি সদ্য ফোটা চন্দ্রমলি্লকা। তার পেছন পেছন গুঞ্জন করে ওড়ে বেশ কিছু মৌমাছি।
============================
'উৎসবের আমেজ সময়ের সংস্কৃতির' by শামসুজ্জামান খান  গল্প- 'কাজল রানীর হারেম' by পাপড়ি রহমান  রাজনৈতিক আলোচনা- 'এক-এগারোর প্রেতাত্মা চারপাশেই ঘুরছে by আবেদ খান  খবর- মহাজোট আছে মহাজোট নেই!' by পার্থ প্রতীম ভট্টাচায্য  আলোচনা- 'বাঙ্গালির বদলে যাওয়া' by সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম  খবর- আফগানিস্তান শান্তি কত দূর?' by তৌহিদ আজিজ  গল্প- 'ঝল্সে ওঠে জরিণ ফিতা' by রফিকুর রশীদ  ফিচার- ‘আক্রান্ত' by জাফর তালুকদার  স্মরণ- 'একজন বিস্মৃতপ্রায় বুদ্ধিজীবী' by আহমাদ মাযহার  গল্প- 'অলৌকিক উপাখ্যান' by হাসান মোস্তাফিজুর রহমান  গল্প- 'জয়মন্টপের জায়াজননী' by জামাল উদ্দীন  আলোচনা- 'তুর্গিয়েনেফ প্রসাদাৎ' by হায়াৎ মামুদ  গল্প- 'একটাই জীবন' by হাজেরা নজরুল  ফিচার- 'এটি একটি সংখ্যামাত্র' by রণজিৎ বিশ্বাস  গল্প- 'সোনালি চিল' by সৈয়দ মোফাজ্জেল হোসেন  গল্প- 'বোবা ইশারা' by মণীশ রায়  গল্প- 'চিরদিনের' by মঈনুল আহসান সাবের  স্মরণ- 'আবদুল মান্নান সৈয়দ সাহিত্যের এক সর্বসত্তা  আলোচনা- 'বাংলা চর্চা পরিচর্যা ও ইংরেজি শেখা'  আলোচনা- 'আমার ছেলেবেলার ঈদ আর বুড়োবেলার ঈদ'  আলোচনা- 'নৈতিক চেতনা : ধর্ম ও মতাদর্শ' by আবুল কাসেম ফজলুল হক খবর- গণতান্ত্রিক সব শক্তির সঙ্গে কাজ করতে চাই: সু চি


কালের কণ্ঠ এর সৌজন্য
লেখকঃ মঈনুস সুলতান


এই লিখা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.