বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা ‘শান্তি পরিকল্পনা’র প্রস্তাব দিতে চেয়েছেন

ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়োগ করা প্রতিনিধিদলের কাছে ‘শান্তি পরিকল্পনা’র প্রস্তাব দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সিএএনএন-আইবিএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রতিনিধিদলের প্রধান দিলীপ পদগাওকর এ কথা জানান।
দিলীপ পদগাওকর বলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা দ্বিতীয়বার কথা বলতে চেয়েছেন। তাই আবার বৈঠকে বসেছি।’
দিলীপ পদগাওকর আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়বার দেড় ঘণ্টা বৈঠক হয়। বৈঠকের একপর্যায়ে তাঁরা আমাদের কাছে শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ওই সংগঠনগুলোর মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন এমন একজনই বিষয়টি আমাদের জানান।’
দিলীপ পদগাওকর বলেন, ‘তাঁদের জানানো হয়েছে, আমরা তাঁদের কথা শোনার জন্য এসেছি। কোনো প্রস্তাব দেওয়া হলে তা ভেবে দেখা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি একে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখছি। কোনো প্রস্তাব এলে তা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। আমাদের লোকজনের মধ্যেও এটা নিয়ে আলোচনা হতে হবে। এ ব্যাপারে জনগণের কাছ থেকে বার্তা পাওয়া যাবে।’
কাশ্মীরে সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সম্প্রতি তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল গঠন করে ভারত সরকার। দিলীপ পদগাওকরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে রয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাধাকুমার ও তথ্য কমিশনার এম এম আনসারি।
কাশ্মীরের উত্তরাঞ্চলে কারফিউ: হুররিয়াত সম্মেলনের ডাকা ধর্মঘটের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় কাশ্মীরের উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ অংশে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, গত শনিবার দিবাগত মধ্যরাতের পর থেকে বারমুন্ডা জেলার দিলিনা ও পালাহালান শহর, বান্দিপোড়া জেলা শহর ও কুপওয়ারা জেলার তিনটি শহরে কারফিউ জারি করা হয়। এর কিছু সময় পর কুপওয়ারা জেলার আরও কিছু অংশেও কারফিউ জারি করা হয়েছে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.