বিমা করপোরেশন আইন সংশোধনের উদ্যোগ

বিমা আইন এবং বিমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন প্রণয়নের পর এবার বিমা করপোরেশন আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যমান বিমা করপোরেশন আইন, ১৯৭৩-কে সংশোধন করে করা হবে বিমা করপোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০১০।
এ ব্যাপারে ১০ অক্টোবর সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ একটি বৈঠক ডেকেছে।
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিমা করপোরেশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০৮ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছিল। এর ভেটিংও সম্পন্ন করেছিল আইন মন্ত্রণালয়।
সূত্র জানায়, বিমা আইন এবং বিমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন পাস হওয়ার বছর হতে চললেও আইনের কোনো বিধি এখনো প্রণীত হয়নি। ফলে পুরোনো আইনের মাধ্যমেই চলছে দেশের বিমা খাত।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নতুন বিমা আইনে অনেক কিছুরই পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা বিমা করপোরেশনের বিদ্যমান কার্যপ্রণালি বিধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সুতরাং সময় এসেছে বিমা করপোরেশন আইনেও সংশোধনী আনা।
যোগাযোগ করলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, বিমা করপোরেশন আইনের সংশোধন নিয়ে আগামী সপ্তাহে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে আইনটি যুগোপযোগী করা নিয়ে আলোচনা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অনুমোদিত বিমা করপোরেশন আইনে কোম্পানিগুলোর অনুমোদিত মূলধনের ব্যাপারে সংশোধনী আনা হয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের কিছু অধ্যাদেশকে আইনে রূপ দিলেও অনেক অধ্যাদেশকেই রাখা হয় এর বাইরে। বিমা করপোরেশন (সংশোধন) আইনটিও সেগুলোরই একটি।
সূত্র জানায়, বিদ্যমান বিমা করপোরেশন আইনের পাঁচ নম্বর ধারায় কোম্পানিগুলোর অনুমোদিত মূলধনের আকার সম্পর্কে বলা হয়েছে। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে উপদেষ্টারা বিমা করপোরেশন এবং বিমা কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, দেশে সাধারণ বীমা করপোরেশন এবং জীবন বীমা করপোরেশন নামে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা করপোরেশন রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.