গিলক্রিস্টের ১৪৯-ই সেরা

ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাস ৩৫ বছরের। এই ৩৫ বছরে ৯টি বিশ্বকাপে কত অনবদ্য ইনিংসই তো খেলেছেন কত ব্যাটসম্যান। ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ১৪৯ রানের ইনিংস, ’৮৩-তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কপিল দেবের অপরাজিত ১৭৫ অথবা প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের ১০২ রান—স্মৃতির সরণিতে জ্বলজ্বল করে এই ইনিংসগুলো।
যদি বলা হয় সেরার সেরা বাছতে? একটু কঠিনই হয়ে পড়ে কাজটা। কোনটা ছেড়ে কোনটাকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসাবেন আপনি! কঠিন এই কাজটাই করেছে ক্যাস্ট্রল ইনডেক্স রেটিং। বিশেষজ্ঞদের ভোটে এই রেটিংয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে গিলক্রিস্টের ১০৪ বলে খেলা ১৪৯ রানের ইনিংসটি। আর দ্বিতীয় সেরা নির্বাচিত হয়েছে টানব্রিজ ওয়েলসে করা কপিল দেবের ১৭৫।
তবে রেটিং করতে গিয়ে একেকজন বিশেষজ্ঞ ভোট দিয়েছেন একেকটি ইনিংসকে। ক্যাস্ট্রল সেই মতামতও প্রকাশ করেছে। ভারতের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার এবং বর্তমানে ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীর ভোটটি যেমন পেয়েছে ১৯৯৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অরবিন্দ ডি সিলভার ১০৭ রানের ইনিংসটিতে। শাস্ত্রীর সঙ্গে আইসিসির প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাতেরও বিশ্বকাপের সেরা ইনিংস মনে হয়েছে এটিকেই।
শাস্ত্রীর কাছে ডি সিলভার এই ইনিংসটিকে সেরা মনে হওয়ার যুক্তিও আছে, ‘এই ইনিংসটি দিয়ে ডি সিলভা বুঝিয়েছে ও বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। শ্রীলঙ্কা রান তাড়া করছিল। দল খুব দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। অরবিন্দই তখন ছিল শ্রীলঙ্কার একমাত্র ভরসা। আর এর আগে ওর দলও কোনো বড় টুর্নামেন্ট জেতেনি। আর গিলক্রিস্ট এর আগেও বিশ্বকাপ জিতেছে, পাশাপাশি সে এও জানত তারপর দলে আরও ভালো ভালো ব্যাটসম্যান আছে।’
লরগাতের কণ্ঠেও প্রতিধ্বনিত হয়েছে শাস্ত্রীর কথা, ‘শ্রীলঙ্কা তখনো নতুন একটি দল। আর অরবিন্দর ওই ইনিংসটাই সব বাজিকে মিথ্যা করে শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছে।’
ধারাভাষ্যকার হার্সা ভোগলে বিশ্বকাপের সেরা ইনিংস নির্বাচন করতে গিয়ে চলে গেছেন ৩৫ বছর পেছনে। ১৯৭৫ সালের প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্লাইভ লয়েডের ইনিংসটিই চির-উজ্জ্বল তাঁর স্মৃতিতে।

No comments

Powered by Blogger.