এফবিসিসিআই সরকারের কাছে ৩০ কোটি টাকা চেয়েছে

নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের কাছে ৩০ কোটি টাকা চেয়েছে দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষস্থানীয় সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।
ব্যবসা-বাণিজ্য তথা শিল্পোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে এফবিসিসিআইকে আধুনিক সংস্থা হিসেবে গড়ে ওঠা জরুরি—এ কথা উল্লেখ করে সংগঠনটি কারওয়ানবাজারের বহুতলবিশিষ্ট জনতা টাওয়ারটিও এফবিসিসিআইয়ের নামে বরাদ্দ দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব দাবি উত্থাপন করেন।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদের নেতৃত্বে ৪০ সদস্যের প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের প্রথম সহসভাপতি জসিম উদ্দিন, সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, পরিচালক আবদুল হক, হারুন উর রশিদ, হেলাল উদ্দিন, এম এ মোমেন প্রমুখ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনোজ কুমার রায় এবং শওকত আলী ওয়ারেছী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআইয়ের নেতারা তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের ব্যবসায় উৎসে কর কমানো, রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দেওয়া, ব্যাংক সুদের হারকে এক অঙ্কের ঘরে নামিয়ে আনা, শিল্প পুলিশ গঠন, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন, রাষ্ট্রায়ত্ত লোকসানি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া, অবকাঠামোগত সহায়তা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা দাবি করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান ব্যবসায়ীদের দাবির মধ্যে অনেকগুলোই বিবেচনাযোগ্য বলে উল্লেখ করেন। তিনি একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে ব্যবসার পরিবেশকে আরও উন্নত করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব এবং সুপারিশগুলো বাস্তবসম্মত করে আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে পেশ করার পরামর্শ দেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কিছু লোক সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বিশেষ করে পোশাকশিল্পের কারখানাগুলোতে অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে এ শিল্পকে অস্থির করে তুলছে একটি গোষ্ঠী। এ দেশের সাধারণ শ্রমিকেরা এর সঙ্গে জড়িত নন উল্লেখ করে তাঁরা এ ব্যাপারে সরকারের জোরালো সহযোগিতা চান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সবাই না থাকলেও দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর সঙ্গে অনেক ব্যবসায়ীই জড়িত থাকেন। এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। সভায় গত দেড় বছরে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি বলে দাবি করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ফারুক খান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে চিনির দাম কিছুটা বেড়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, চিনির দাম ৪০ থেকে বেড়ে ৬৫ টাকা হয়েছিল। পরে আবার তা ৪০ টাকায় নেমে আসে। গত বছর অক্টোবরের দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়াই এর কারণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার সারা বছরের জন্যই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ব্যাংক সুদের হার কমানো এবং টিসিবির মাধ্যমে পণ্য আমদানির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বছরের শেষদিকে টিসিবি এসব পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করবে।

No comments

Powered by Blogger.